মিয়ানমার সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে উড়ে গেল বাংলাদেশি জেলের পা
Published: 6th, April 2025 GMT
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে মাছ শিকার করতে যাওয়া বাংলাদেশি এক জেলের ডান পা বিচ্ছিন্ন হয়ে উড়ে গেছে। আজ রোববার বেলা একটার দিকে সীমান্তের মিয়ানমারের অভ্যন্তরে তোতারদিয়া নামক এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আহত জেলের নাম মোহাম্মদ ফিরোজ ওরফে ফিরোজ আলম (৩০)। তিনি টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের আমতলী এলাকার মো.
প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন উখিয়া-৬৪ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন। তিনি বলেন, আজ বেলা একটার দিকে শূন্য লাইন হতে আনুমানিক ১০০ গজ মিয়ানমারের অভ্যন্তরে তোতারদিয়া নামক স্থানে পুঁতে রাখা মাইন বিস্ফোরণে মোহাম্মদ ফিরোজ নামের একজন বাংলাদেশি জেলের পা বিচ্ছিন্ন হয়। পরে আশপাশের লোকজনের সহযোগিতায় তাঁকে উদ্ধার করে বিএম পোস্ট এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে এনে চিকিৎসার জন্য উখিয়ার কুতুপালং এমএসএফ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি করে তাঁর চিকিৎসা চলছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় একজন জনপ্রতিনিধি বলেন, ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় সে দেশের সরকারি জান্তা বাহিনীর সঙ্গে স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) টানা প্রায় ১১ মাস যুদ্ধ চলে। এর মধ্যে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে কক্সবাজারের টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের বিপরীতে মিয়ানমারের নাইক্ষ্যংদিয়া পর্যন্ত এলাকা গত বছরের ৮ ডিসেম্বর দখলে নেয় আরাকান আর্মি। ওই সময় তারা বাংলাদেশ সীমান্তের বিভিন্ন স্থানে এসব স্থলমাইন পুঁতে রেখেছিল। এর পর থেকে বাংলাদেশি জেলেরা নাফ নদের বিভিন্ন অংশে মাছ শিকারে গেলে প্রায়ই মাইন বিস্ফোরণে আহত হচ্ছেন।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
আপনার এত সাহস হয় কী করে, সাংবাদিককে নায়িকা
ভারতীয় সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী লক্ষ্মী মাঞ্চু। তার পরবর্তী সিনেমা ‘ঢাকসা’। এ সিনেমার মুক্তি উপলক্ষে নানা ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন ৪৭ বছরের এই অভিনেত্রী। কয়েক দিন আগে গ্রেট অন্ধ্রকে সাক্ষাৎকার দেন লক্ষ্মী। এ আলাপচারিতার পোশাক নিয়ে প্রশ্ন করায় লক্ষ্মী বলেন— “আপনার এত সাহস হয় কী করে!”
মুম্বাইয়ে যাওয়ার ফলে কি আপনার পোশাকের স্টাইলে কোনো প্রভাব পড়েছে? এ প্রশ্নের জবাবে লক্ষ্মী বলেন, “আমি আমেরিকাতে থেকেছি। সেখান থেকে হায়দরাবাদে, এখন মুম্বাইয়ে আছি। আমি কঠোর পরিশ্রম করেছি নিজেকে এইভাবে উপস্থাপন করার জন্য। এই পরিশ্রম আমাকে আত্মবিশ্বাসী করেছে, যা আমাকে আমার মতো পোশাক পরতে উৎসাহ দেয়।”
এরপর সাংবাদিক সরাসরি লক্ষ্মীর পোশাক নিয়ে প্রশ্ন করেন, জবাবে এই অভিনেত্রী বলেন, “আপনি কি একজন পুরুষকে একই প্রশ্ন করতেন? আপনার এত সাহস হয় কী করে! আপনি কি মহেশ বাবুকে বলতেন—‘আপনার তো এখন ৫০ বছর বয়স, তাহলে আপনি কেন জামা খুলে ছবি তুলছেন?’ তাহলে একজন নারীকে কেন এই প্রশ্ন? মানুষ আপনার এই প্রশ্ন থেকে কী শিখবে? একজন সাংবাদিক হিসেবে আপনার দায়িত্বশীল হওয়া উচিত।”
পরে সাংবাদিক স্বীকার করেন যে, এই ধরনের প্রশ্ন একজন অভিনেতাকে করতেন না। প্রশ্নটি করার কারণ ব্যাখ্যা করে সাংবাদিক জানান, তার পোশাক নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা ধরনের চর্চা চলছে, যার কারণে এই প্রশ্ন সামনে নিয়ে আসা।
লক্ষ্মী মাঞ্চুর অন্য পরিচয় তিনি তেলেগু সিনেমার বরেণ্য অভিনেতা মোহন বাবুর কন্যা। ৫০ বছরের অভিনয় ক্যারিয়ারে অসংখ্য সিনেমায় অভিনয় করেছেন মোহন বাবু। ব্যক্তিগত জীবনে বিদ্যা দেবীর সঙ্গে ঘর বাঁধেন তিনি। এ সংসারে রয়েছে কন্যা লক্ষ্মী ও পুত্র বিষ্ণু মাঞ্চু। তারা দুজনেই অভিনয়শিল্পী।
তথ্যসূত্র: দ্য ফ্রি প্রেস জার্নাল
ঢাকা/শান্ত