নিষেধাজ্ঞা মুক্ত হওয়ার দিনেই প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে দেখা যাবে জাতীয় দলের সাবেক অলরাউন্ডার নাসির হোসেনকে। চলমান ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে রূপগঞ্জ টাইগার্সে ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে খেলবেন তিনি। রেলিগেশন জোনে থাকা টাইগার্সের আট ম্যাচে তিন পয়েন্ট। রাউন্ড রবিন লিগের বাকি তিন ম্যাচের দুটিতে জিতলে রেলিগেশন সেভ হলেও হতে পারে। সোমবার গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের সঙ্গে রূপগঞ্জ টাইগার্সের ম্যাচ মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে। ১০ এপ্রিল ধানমন্ডি স্পোর্টস ক্লাবের বিপক্ষে বিকেএসপিতে আর ১২ তারিখ শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের সঙ্গে শেষ ম্যাচ খেলবে নাসিরের দল।
নাসিরের সঙ্গে আবাহনী যোগাযোগ করেছিল প্রথমে। টাকায় বনাবনি না হওয়ায় রূপগঞ্জ টাইগার্সে যোগ দেন তিনি। যদিও নাসির বলছেন অন্য কথা,‘আমি ম্যাচ খেলতে চাই। সে কারণে ছোট দলে যোগ দিয়েছি। টানা তিনটি ম্যাচ খেলতে পারলে এবং ভালো করা গেলে জাতীয় দলে খেলার সুযোগ তৈরি হবে।’
রূপগঞ্জ টাইগার্সকে রেলিগেশন লিগ খেলতে হলে মোট পাঁচটি ম্যাচ খেলা হবে নাসিরের।
২০২২ সালে আবুধাবি টি১০ লিগে আইফোন নিয়ে নিয়ম ভেঙেছিলেন নাসির। আইসিসির নিয়ম হলো ৭০০ ডলার সমপরিমান মূল্যের কোনো উপহার পেলে সেটা দুর্নীতিদমন বিভাগের কর্মকর্তাদের জানাতে হবে। নাসির রিপোর্ট না করায় তার বিরুদ্ধে তিনটি ধারায় অভিযোগ গঠন করে আইসিসির লিগ্যাল ও দুর্নীতিদমন বিভাগ। ২০২৩ সালে শুনানিতে ডাকা হলেও প্রথমে সাড়া দেননি নাসির। যদিও পরবর্তীতে সব অভিযোগ মেনে নেওয়ায় দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয় ছয় মাস স্থগিত শাস্তি বহাল রেখে। ৭ এপ্রিল থেকে সব ধরনের ক্রিকেট খেলার জন্য উন্মুক্ত হবেন তিনি।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ইভ্যালির রাসেল ও তাঁর স্ত্রীর আরও এক মামলায় ৩ বছর কারাদণ্ড
প্রতারণার আরও একটি মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল ও তাঁর স্ত্রী প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে তিন বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। তাঁদের পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ডও দেওয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মনিরুল ইসলাম এ রায় দেন। রায় ঘোষণার পর রাসেল ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। এ নিয়ে প্রতারণার পৃথক পাঁচটি মামলায় রাসেল ও শামীমা নাসরিনের ১২ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হলো।
এর আগে সর্বশেষ গত ১৪ এপ্রিল প্রতারণার একটি মামলায় রাসেল ও তাঁর স্ত্রীর তিন বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত।
আজ যে মামলায় রাসেল দম্পতির সাজা হয়েছে, সেই মামলায় প্রতারণার মাধ্যমে ২৩ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০২৩ সালের ৭ ডিসেম্বর তাঁদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন আবুল কালাম আজাদ নামের একজন গ্রাহক।
৬ এপ্রিল ঢাকার সিএমএম আদালত প্রতারণার আরেকটি মামলায় এই দম্পতিকে তিন বছর কারাদণ্ড দেন। এ ছাড়া গত ২৯ জানুয়ারি প্রতারণার অভিযোগে করা আরেকটি মামলায় তাঁদের দুই বছর কারাদণ্ড দেন আদালত।
গত বছরের ২ জুন চেক প্রত্যাখ্যানের মামলায় রাসেল ও তাঁর স্ত্রী শামীমা নাসরিনকে এক বছর করে কারাদণ্ড দেন চট্টগ্রামের আদালত।
২০২১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে রাসেল ও শামীমাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে দুজন জামিনে মুক্ত হন।
আরও পড়ুনইভ্যালির রাসেল ও তাঁর স্ত্রীর আরও ৩ বছর কারাদণ্ড১৩ এপ্রিল ২০২৫