ঢাকা থেকে ঝিনাইগাতী আসার পথে তাকিফ পরিবহনে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়াকে কেন্দ্র করে বাসের সুপারভাইজারের ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছেন সাকিল আহমেদ নামে এক যুবক। তিনি নকলা উপজেলার ডিজিটাল গণপদ্দী ইউনিয়নের বাড়ইকান্দি এলাকার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে।
 
রোববার দুপুরে শেরপুর-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক সড়কের নকলা ও সদর উপজেলার মাঝামাঝি স্থানে এই ঘটনা ঘটে। আহত যুবককে শেরপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ভুক্তভোগীর ফুফাতো ভাই হাসানের ভাষ্য, সাকিল নকলা থেকে শেরপুরে যাওয়ার জন্য গাড়িতে ওঠেন। এ সময় বাসের সুপারভাইজার তাঁর কাছে ভাড়া চান। ছাত্র হিসেবে সে গাড়ির ভাড়া অর্ধেক দিতে চাইলে তর্কাতর্কি শুরু হয়। এক পর্যায়ে সরকার নির্ধারিত ভাড়া ৪৩ টাকা নিতে রাজি হন সুপারভাইজার। ভাঙতি টাকা না থাকায় সাকিল ৪৫ টাকা রাখতে বলেন। কিন্তু কিছুতেই দুই টাকা বেশি নিতে রাজি হননি সুপারভাইজার। এক পর্যায়ে সাকিলের সঙ্গে সুপারভাইজার, হেলপার ও চালকের তুমুল বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। এ সময় চালকের সিটের সামনে থাকা একটি ছুরি নিয়ে সাকিলের পিঠে আঘাত করে সুপারভাইজার। 

অবস্থা খারাপ দেখে যাত্রীরা চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করলে চালক গাড়ি দ্রুত চালিয়ে শেরপুর অষ্টমীতলা বাস টার্মিনালে নিয়ে যান। ইতোমধ্যে বাসের কয়েকজন যাত্রী জাতীয় জরুরি সেবার ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে ঘটনা জানালে পুলিশ গিয়ে বাসটি আটক করে। কিন্তু বাসের চালকসহ সবাই পালিয়ে যায়। পরে টার্মিনাল এলাকা থেকে চালক আলমগীরকে আটক ও বাসটি জব্দ করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।

শেরপুর সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো.

আশরাফ বলেন, বাসচালককে আটক করা হয়েছে। সুপারভাইজারসহ অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে পুলিশ। আহত শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।


 

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ