পাশাপাশি কক্ষে পড়ে ছিল ভাই-বোনের অর্ধগলিত লাশ
Published: 7th, April 2025 GMT
নওগাঁর পোরশা উপজেলার একটি বাড়ির পৃথক কক্ষ থেকে ভাই-বোনের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল রোববার মধ্যরাতে পোরশা পূর্ববাড়ি গ্রাম থেকে লাশ দুটি উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত দুজন হলেন নূর মোহাম্মদ শাহ (৫৫) ও তাঁর বোন রেজিয়া বেগম (৫৮)।
পুলিশ ও স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দার সূত্রে জানা গেছে, স্বামীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ির পর ১৫ বছর ধরে নূর মোহাম্মদের বাড়িতে বসবাস করছিলেন বোন রেজিয়া বেগম। নূর মোহাম্মদের স্ত্রীও মারা গেছেন। একমাত্র মেয়ের বিয়ে হয়েছে পাশের নিয়ামতপুর উপজেলায়। বাড়ির ভেতর থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে প্রতিবেশীরা গতকাল রাতে তাঁদের খুঁজতে যান। একপর্যায়ে বাড়ির পৃথক কক্ষে তাঁদের লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর পাঠানো হয়।
লাশ উদ্ধারের বিষয়ে পোরশা থানার উপপরিদর্শক মাহবুব আলম জানান, অর্ধগলিত অবস্থায় লাশ দুটি পাশাপাশি ঘর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। নূর মোহাম্মাদের পেটে ধারালো চাকু কিংবা ছুরি দিয়ে আঘাতের চিহ্ন আছে। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। অন্যদিকে পাশের কক্ষ থেকে রেজিয়ার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। রেজিয়ার ঘর থেকে বেশ কিছু স্বর্ণালংকার চুরি গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, চুরি কিংবা ডাকাতির কাজে বাধা দেওয়ায় তাঁদের হত্যা করা হয়েছে।
লাশ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য আজ সোমবার সকালে নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে পোরশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, এটি চুরি কিংবা ডাকাতি কারণে হত্যাকাণ্ড নাকি পরিকল্পিত, সেটির রহস্য উদ্ঘাটনে তদন্ত হচ্ছে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দরে বিভিন্ন ওয়ারেন্টে গ্রেপ্তার ৪
বন্দরে একাধিক মামলার ওয়ারেন্টভূক্ত আসামীসহ বিভিন্ন ওয়ারেন্টে ৪ পলাতক আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতদের বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উল্লেখিত ওয়ারেন্টে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এর আগে গত বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে বন্দর থানার বিভিন্ন এলাকায় ওয়ারেন্ট তামিল অভিযান চালিয়ে এদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো বন্দর থানার ২২ নং ওয়ার্ডের লের্জাস ১নং গল্লী এলাকার মৃত আজিম মিয়ার ছেলে বন্দর থানা ও নারায়ণগঞ্জ সদর থানার একাধিক জিআর মামলার ওয়ারেন্টভূক্ত আসামী রুবেল (৩৪) একই থানার সোনাকান্দা মসজিদ এলাকার ইব্রাহিম মিয়ার ছেলে জিআর মামলার ওয়ারেন্টভূক্ত আসামী জনি (৩৫)|r
একই থানার রামনগর এলাকার মৃত সিদ্দিক মুন্সী ছেলে সিআর মামলার ওয়ারেন্টভূক্ত আব্দুল কুদ্দুস (৫২) ও গকুলদাশেরবাগ এলাকার আনোয়ার মিয়ার ছেলে সিআর মামলার ওয়ারেন্টভূক্ত আসামী ইব্রাহিম (৩০)।