ফেনী সীমান্তে বিজিবির হাতে তানজানিয়ার এক নারী গ্রেপ্তার
Published: 7th, April 2025 GMT
ফেনীর পরশুরাম সীমান্তে বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের সময় তানজানিয়ার এক নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। গতকাল রোববার রাতে সীমান্তের পরশুরামের মির্জানগর ইউনিয়নের নিজকালিকাপুর এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ওই নারীর নাম তিজাইব্রাহিমু আমিনা শাবান (৩২)। তিনি তানজানিয়ার নায়মাঙ্গানা প্রদেশের বাসিন্দা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিজিবি ৪ ফেনী ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন।
বিজিবি জানায়, পরশুরামের নিজকালিকাপুর বিওপির টহল দল সীমান্ত থেকে প্রায় ১৫০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে নিজ কালিকাপুর সীমান্ত দিয়ে তিউনেশিয়ার ওই নাগরিক বাংলাদেশ অতিক্রম করে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করছিলেন। এ সময় পূর্ব নিজকালিকাপুর মজুমদার বাড়ির মসজিদের সামনে তাঁকে আটক করা হয়। তল্লাশি করে তাঁর কাছে তানজানিয়ার পাসপোর্ট পাওয়া যায়। তবে বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশের কোনো ভিসা বা ভ্রমণনথি পাওয়া যায়নি।
বিজিবির জিজ্ঞাসাবাদে ওই নারী জানান, তিনি অজ্ঞাতনামা কয়েকজন বাংলাদেশি নাগরিকের সহায়তায় নিজকালিকাপুর সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভিসা ছাড়াই ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করেন। পরে তাঁকে পরশুরাম মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়।
পরশুরাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরুল হাকিম বলেন, বিজিবির অভিযানে আটক হওয়া তানজানিয়ার নাগরিকের বিরুদ্ধে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। আজ সোমবার তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।
এর আগে গত ২২ মার্চ সোমালিয়ার একজন নাগরিক, ১৯ মার্চ নাইজেরিয়ার একজনকে আটক করা হয়েছে। গত এক বছরে নিজকালিকাপুর ও বিলোনিয়া সীমান্ত থেকে ৯ জন বিদেশি নাগরিককে আটক করেছে বিজিবি।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’