Risingbd:
2025-06-16@06:03:16 GMT

“ভাবিনি ১৫ বছর একসাথে খেলব”

Published: 7th, April 2025 GMT

“ভাবিনি ১৫ বছর একসাথে খেলব”

আইপিএলের প্রথম আসর থেকেই খেলছেন বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মা। প্রথম তিনটা মৌসুম ডেকেন চার্জার্স হায়দরাবাদের হয়ে খেলার পর ২০১১ থেকে মুম্বাই ইন্ডিয়ানসে যোগ দান করেন ঘরের ছেলে রোহিত। অন্যদিকে আইপিএলের একদম প্রথম ম্যাচ থেকেই রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর জার্সিতে খেলছেন কোহলি। সোমবার (৭ এপ্রিল) রাত ৮টায় আইপিএলের ১৮তম আসরে মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন ভারতীয় ক্রিকেটের এই দুই মহারথি। ম্যাচের আগে এক ভিডিও বার্তায় দুজনের সম্পর্ক নিয়ে আবেগঘন মন্তব্য করলেন কোহলি।

মুম্বাই আইপিএলে সবচেয়ে সফল ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর একটি। অন্যদিকে ব্যাঙ্গালুরু দুটি ফাইনাল খেলার পরও শিরোপার ছোঁয়া পায়নি। তবে, এবারের মৌসুমের শুরুটা একেবারে ভিন্নভাবে করেছে ব্যাঙ্গালুরু। মুম্বাইয়ের চেয়ে অনেক বেশি প্রতিশ্রুতি দেখাচ্ছে তাদের। এই হাইভোল্টেজ ম্যাচের আগে, বিরাট তার এবং রোহিতের সম্পর্কের বিষয়ে কথা বলেছেন।

ভারতীয় দলে কোহলি ও রোহিতের সম্পর্ক শীতল, এমন অনেক গুঞ্জণ রয়েছে। তাদের মধ্যে দ্বন্দ্বের গুঞ্জনও শোনা গেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও গণমাধ্যমে এই বিষয় খুব চর্চিত ছিল। সেই ব্যাপার গুলো কোহলির এই ভিডিওবার্তার পর খুবই ঠুনকো লাগছে।

আরো পড়ুন:

আরো একটি বিশ্বকাপে খেলার বিষয়ে যা বললেন কোহলি

প্রায় ১৮ বছর পর ঘরের মাঠে চেন্নাইয়ের ‘অন্যরকম’ হার

কোহলি বলেন রোহিতের সাথে দীর্ঘদিন একসাথে খেলার কারণে, তারা একে অপরের সাথে বিভিন্ন আলোচনা করেন ও শিখেন, “আমি মনে করি, এটি খুব স্বাভাবিক। যখন আপনি কারও সাথে এত বছর খেলেন, তখন খেলা নিয়ে আপনার যে অন্তর্দৃষ্টি থাকে তা, একে অপরের সাথে শেয়ার করেন। একে অপর থেকে শিখেন। সমস্ত ধরনের প্রশ্ন এমনকি কোন ব্যাপারে দ্বিধা থাকলে সেটাও শেয়ার করেন।”

কোহলি আরও জানান, ম্যাচের কঠিন পরিস্থিতে তারা যখন আলোচনা করতেন, তখন এক ধরনের বিশ্বাস কাজ করত তাদের ভেতর, “আমরা দলের (ভারত) নেতৃত্বের ক্ষেত্রে খুব ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছি, তাই সর্বদা আইডিয়া নিয়ে আলোচনা হতো। বেশিরভাগ সময়, আমরা একই সিদ্ধান্তে চলে আসতাম। একটি বিশ্বাসের সম্পর্ক ছিল।”

কোহলি আরও বলেন, তিনি বা রোহিত কেউই ভাবেননি যে, তারা ১৫ বছর ধরে দেশের হয়ে খেলা চালিয়ে যাবেন, “আমরা অবশ্যই একসাথে খেলার সময়টা উপভোগ করেছি। তাই আমাদের ক্যারিয়ার দীর্ঘায়িত হয়েছে। যখন আমদের বয়স কম ছিল, তখন এটি নিশ্চিত ছিল না যে, আমরা ১৫ বছর ভারতের হয়ে খেলব। দীর্ঘ ও ধারাবাহিক যাত্রা। আমরা খুব কৃতজ্ঞ এবং খুশি সমস্ত স্মৃতি এবং সমস্ত মুহূর্তের জন্য।”

ঢাকা/নাভিদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক হল

এছাড়াও পড়ুন:

জামিন দেওয়াকে কেন্দ্র করে আদালতে হাতাহাতি, স্টেনোগ্রাফার আহত

লক্ষ্মীপুরে আদালতে একটি জামিনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে একজন বিচারকের আদালত বর্জন করেছে আইনজীবীরা। এ সময় আইনজীবীদের সাথে আদালতের কর্মচারীদের হাতাহাতি ও এজলাসে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। এতে আহত হন ওই এজলাসের স্টেনোগ্রাফার আশরাফুজ্জামান। 

রবিবার (১৫ জুন) দুপুর ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আদালত বর্জন করায় ভোগান্তিতে পড়েন বিচারপ্রার্থীরা। 

জানা গেছে, রায়পুর প্রিন্সিপাল কাজী ফারুকী স্কুল অ্যান্ড কলেজের ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক আহম্মেদ কাউসার উদ্দিন জামান (৩৫) এর বিরুদ্ধে গত ৬ জুন সদর থানায় চুরির মামলা দায়ের করেন তারই প্রতিবেশি জেলা জজ আদালতের আইনজীবী আবু তৈয়ব। মামলায় আরও দুইজনকে আসামি করা হয়। ওই মামলায় আসামি কাউসার ও রুবেল গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে ছিলেন। এরপর গত ১০ জুন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ এর বিচারক এম সাইফুল ইসলাম তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। এ নিয়ে তাৎক্ষণিক ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানায় আইনজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দসহ আইনজীবীরা। 

মামলায় অভিযোগ আনা হয়, বাদী এবং আসামিদের মধ্যে পূর্ব বিরোধ রয়েছে। ৫ জুন দিবাগত গভীর রাতে আসামিরা পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে বাদীর ভবনের সামনে থাকা একটি লোহার গেট কেটে নিয়ে এবং গেটের পিলার ভেঙে একটি পিক-আপ গাড়িতে করে রায়পুরের দিকে নিয়ে যায়। রায়পুর বাসাবাড়ি এলাকায় গেলে পিকআপ গাড়িটি টহল পুলিশ আটক করে। পরে গাড়িটি জব্দ ও চালক রুবেলকে আটক করে পুলিশ। মামলায় বাদী আড়াই লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে উল্লেখ করেন।

আদালত সূত্র জানায়, গত ৯ জুন আসামিদের জামিন প্রার্থণা করা হয়। এতে আসামিপক্ষ উল্লেখ করেন, মামলার বাদি আইনজীবী হওয়ায় আদালতে তাদের পক্ষে কোন আইনজীবী জামিন শুনানিতে অংশ নিতে ইচ্ছুক নয়। আসামিরা তাদের পক্ষে আইনজীবী না পেয়ে জামিন শুনানির জন্য লক্ষ্মীপুর লিগ্যাল এইড অফিসে আইনি সহায়তা চান। সেখান থেকে দুইজন আইনজীবীকে শুনানি করতে বলা হলেও তারা অন্য আইজীবীদের দ্বারা হেনস্তার ভয়ে জামিন শুনানিতে অংশ নেননি। অন্যদিকে বাদী পক্ষের আইনজীবী আসামিদের বিরুদ্ধে জামিনের বিরোধিতা করেন। 

আদালত সূত্র আরও জানায়, আসামিরা ৯ জুন জামিনের জন্য আবেদন করলে পরদিন ১০ জুন নথি প্রাপ্ত সাপেক্ষে জামিন শুনানির জন্য রাখা হয় এবং তদন্তকারী কর্মকর্তা ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। 

বিষয়টি নিয়ে আদালতের পর্যালোচনায় উঠে আসে, ঈদুল আজহার বন্ধে আদালতের স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় এবং গ্রেপ্তারের পর থেকে আসামিরা জামিনের শুনানির সুযোগ পাননি। চারদিন তাদের হাজতবাস হয়েছে। ৬ জুন আসামি গ্রেপ্তার হলেও বাদী একজন আইনজীবী হওয়ায় আসামিরা জামিন শুনানির জন্য কোন আইনজীবী পাননি এবং লিগ্যাল এইড অফিসের আইনজীবীরাও শুনানিতে অংশ নিতে অনীহার বিষয়টি পরিষ্কার হওয়ায় ১৪ জুন পর্যন্ত ঈদের ছুটিতে আদালতের স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় জামিন অযোগ্য ধারায় গুরুতর অভিযোগ না থাকায় উভয় পক্ষের শুনানি অন্তে উভয় দরখাস্ত নিষ্পত্তি করা হলো। 

আদালত আসামিদের রিমান্ড না মঞ্জুর করে চারদিনের হাজতবাস ও ঈদ বিবেচনা করে আসামি কাউসার ও রুবেলকে ১০০ টাকা বন্ডে একজন গণ্যমান্য ব্যক্তির জিম্মায় জামিন মঞ্জুর করেন। তাদের জামিন হওয়ায় পর থেকেই আইনজীবীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করে। এ ঘটনায় তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করে বিচারকের অপসারণের দাবি জানান।

ঈদের বন্ধ শেষে রবিবার (১৫ জুন) আদালতের স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু হয়। আইনজীবী সমিতি বৈঠক করে ওই আদালতের বিচারক এম সাইফুল ইসলামের আদালতের বর্জনের ঘোষণা দেন। এদিন সকাল থেকে ওই বিচারকের কক্ষে বিচারপ্রার্থীরা এসে উপস্থিত হয়। 

প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন বিচারপ্রার্থী জানান, আদালতের বিচারক এজলাসে বসা ছিলেন। এ সময় ৭-৮ জন আইনজীবী কক্ষে ঢুকে আদালত বর্জনের ঘোষণা দেন। এতে হট্টগোল দেখা দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিচারক আদালত কর্মচারীদের দরজা বন্ধ করে দিতে বলেন। এ সময় আইনজীবী ও কর্মচারীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। আহত হন এজলাসের স্টেনোগ্রাফার আশরাফুজ্জামান। এতে বিচারকার্য সম্পন্ন না করেই এজলাস থেকে নেমে যান বিচারক। 

আহত আশরাফুজ্জামান বলেন, ‘‘আইনজীবীরা হট্টগোল করায় বিচারকের নির্দেশে আমি দরজা বন্ধ করতে গেলে আমার ওপর আইনজীবীরা হামলা করে। এতে আমার বাম চোখের পাশে রক্তাক্ত জখম হয়।’’  

উপস্থিত আইনজীবীদের মধ্যে অ্যাডভোকেট আশিকুর রহমান জানান, কয়েকজন আইনজীবী এজলাসে গিয়ে আদালত বর্জনের বিষয়টি জানিয়ে দিতে গিয়েছেন। আদালত কর্মচারীরা উল্টো তাদের ওপর হামলা করেছে। এতে তিনি নিজেও আহত হন।

ঢাকা/লিটন/টিপু 

সম্পর্কিত নিবন্ধ