মার্সেলের বিপুল অঙ্কের টাকা আত্মসাৎকারী অসাধু ডিস্ট্রিবিউটর গ্রেপ্তার
Published: 7th, April 2025 GMT
বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স পণ্য প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান মার্সেলের প্রায় চার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গ্রেপ্তার হলেন গাজীপুর সদর থানার ভবানীপুরে প্রতিষ্ঠানটির ডিস্ট্রিবিউটর পুষ্প ইলেকট্রনিক্সের সত্ত্বাধিকারী অজয় কুমার সাহা। বিপুল অঙ্কের টাকা আত্মসাৎকারীর গ্রেপ্তার হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন মার্সেলের সৎ এবং ভালো ডিস্ট্রিবিউটররা।
সূত্র জানায়, দেশব্যাপী কয়েক সহস্রাধিক ডিস্ট্রিবিউটরের মাধ্যমে গ্রাহকদের হাতে সাশ্রয়ী দামে সেরা মানের ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স পণ্য সামগ্রী তুলে দেওয়ার মধ্য দিয়ে দ্রুত ক্রেতাদের আস্থা অর্জন করে নিয়েছে মার্সেল ব্র্যান্ড। ক্রেতাদের আস্থা বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে প্রতি বছরই বাড়ছে মার্সেল পণ্যের চাহিদা ও বিক্রি। এতে করে ব্যবসায়ীকভাবে লাভবানও হচ্ছেন মার্সেলের ডিস্ট্রিবিউটররা। তবে কতিপয় অসাধু ডিস্ট্রিবিউটর কর্তৃক কোটি কোটি টাকার পণ্য বাকিতে নিয়ে অর্থ পরিশোধ না করায় আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে মার্সেল। শুধু তাই নয়; বাকিতে নেয়া পণ্যের টাকা আত্মসাৎ করার লক্ষ্যে অসাধু ডিস্ট্রিউিটর কর্তৃক কোম্পানির বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রচারণা চালানোর প্রচেষ্টায় মার্সেল ব্র্যান্ডের সুনামও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এছাড়াও অসাধু ডিস্ট্রিবিউটর কর্তৃক আন্ডার রেটে পণ্য বিক্রি করায় ব্যবসায়ীকভাবে মারাত্মক ক্ষতির শিকার হন মার্সেলের সৎ এবং ভালো ডিস্ট্রিবিউটররা।
উল্লেখ্য, অর্থ আত্মসাতের কূটকৌশল হিসেবে অজয় কুমার সাহাসহ আরো একজন ডিস্ট্রিবিউটর গাজীপুর জেলায় সংশ্লিষ্ট জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে কোম্পানির দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নালিশী মামলা দায়ের করলে আদালত শুনানি নিয়ে অভিযোগের ভিত্তি নাই মর্মে মামলা দুটিকে খারিজ করে দেন।
আরো পড়ুন:
মার্সেল ফ্রিজ কিনে ১০ লাখ টাকা পেলেন কুষ্টিয়ার মিঠুন
প্রথমবারের মতো ইয়েমেনে এসি রপ্তানি করল মার্সেল
দীর্ঘদিন ধরে অসাধু ব্যবসায়ীদের অর্থ আত্মসাৎ এবং নেতিবাচক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার জোর দাবি জানিয়ে আসছেন মার্সেলের সৎ ডিস্ট্রিবিউটররা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে কতিপয় অসাধু ডিস্ট্রিউিটরকে আইনের আওতায় আনার পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে মার্সেল।
মার্সেল কর্তৃপক্ষ জানায়, ২০১৩ সাল থেকে চলতি বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত মার্সেলের কাছ থেকে বাকিতে ৩ কোটি ৯৫ লাখ ৬১ হাজার ৪৬৮ টাকার পণ্য নেন গাজীপুর সদরের ভবানীপুরে মার্সেলের পরিবেশক ‘পুষ্প ইলেকট্রনিক্স’ এর সত্ত্বাধিকারী অজয় কুমার সাহা। দীর্ঘদিন ধরে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী উক্ত অর্থ পরিশোধ না করায় তার বিরুদ্ধে গত ২৬ মার্চ, ২০২৫ কালিয়াকৈর থানায় অর্থ আত্মসাতের মামলা করা হয়। মামলা নম্বর-৫৩। উক্ত মামলায় গত ৬ এপ্রিল গ্রেপ্তার হন অজয় সাহা।
ঢাকা/এস/এসবি
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ড স ট র ব উটর
এছাড়াও পড়ুন:
বিস্ফোরক মামলায় চিন্ময় দাসকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ
চট্টগ্রামে বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপত্র চিন্ময় দাসকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়েছেন আদালত। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আলাউদ্দিন এ আদেশ দেন।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, কারাগারে থাকা চিন্ময় দাসকে কোতোয়ালি থানার বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে আদালত তা মঞ্জুর করেছেন।
গত বছরের ২৬ নভেম্বর সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপত্র চিন্ময় দাসের জামিনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের মধ্যে আইনজীবী সাইফুলকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ হত্যার ঘটনায় তাঁর বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন। এ ছাড়া পুলিশের ওপর হামলা, কাজে বাধা এবং আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের ওপর হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও পাঁচটি মামলা হয়। ৬টি মামলায় গ্রেপ্তার হন ৫১ জন। তাঁদের মধ্যে হত্যায় জড়িত অভিযোগে ২১ জন গ্রেপ্তার রয়েছেন।
আদালত সূত্র জানায়, সাইফুল হত্যার আসামিদের মধ্যে চন্দন দাস, রিপন দাস ও রাজীব ভট্টাচার্য আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এতে উল্লেখ করা হয়, আইনজীবীর ঘাড়ে বঁটি দিয়ে দুটি কোপ দেন রিপন দাস। আর কিরিচ দিয়ে কোপান চন্দন দাস। পরে রাস্তায় পড়ে থাকা সাদা শার্ট ও কালো প্যান্ট পরা এই আইনজীবীকে লাঠি, বাটাম, ইট, কিরিচ ও বঁটি দিয়ে তাঁরা ১৫ থেকে ২০ জন পিটিয়ে হত্যা করেন।
গত বছরের ৩১ অক্টোবর চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও মোহরা ওয়ার্ড বিএনপির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ খান বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় চিন্ময় দাসসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননায় রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মামলা করেন। পরে ফিরোজ খানকে বিএনপি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এ মামলায় চিন্ময় দাসকে ২৫ নভেম্বর ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।