কোচিং স্টাফে অদলবদল বাংলাদেশ ক্রিকেটে নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় এবার নতুন ফিল্ডিং কোচ নিয়োগ দিলো বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) কাজ করা জেমস প্যামেন্টকে নিয়োগ দিয়েছে তারা। নিক পোথাসের স্থালাভিষিক্ত হবেন তিনি।
সোমবার (৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্যামেন্টের নিয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা। ২০২৭ সালের অক্টোবর–নভেম্বরের ওয়ানডে বিশ্বকাপ পর্যন্ত জাতীয় দলের ফিল্ডিং কোচের দায়িত্বে থাকবেন তিনি। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আসন্ন দুই টেস্টের সিরিজের আগেই দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে তার।
৫৬ বছর বয়সী প্যামেন্ট নিউ জিল্যান্ডের সাবেক ক্রিকেটার। তবে কখনো জাতীয় দলের জার্সি গায়ে জড়াননি। তার জন্ম ইংল্যান্ডে হলেও তিনি নিউ জিল্যান্ডেই বড় হয়েছেন এবং ক্যারিয়ার থিতু করেছেন।
বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে মুখিয়ে আছেন প্যামেন্ট। নিজের অনুভূতি জানিয়ে প্যামেন্ট বলেছেন, ‘‘প্রতিভায় ভরা বাংলাদেশ দলের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সুযোগ পেয়ে সত্যিই খুব রোমাঞ্চিত। আমি অধীর আগ্রহে দলের খেলোয়াড় ও কোচিং স্টাফদের সঙ্গে যোগ দেওয়ার অপেক্ষায় আছি।’’
প্যামেন্ট সর্বশেষ কাজ করেছেন মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের সহকারী কোচ হিসেবে। এর আগে নিউ জিল্যান্ডের নর্দান ডিস্ট্রিক্ট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান কোচ হিসেবে পাঁচ বছর দায়িত্ব পালন করেছেন প্যামেন্ট। বিভিন্ন সময় কাজ করেছেন নিউ জিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে। তাদের বয়সভিত্তিক দলের সঙ্গেও কাজ করেছেন। অন্তর্বতী কোচ ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র ক্রিকেট দলেরও।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে বাংলাদেশের ফিল্ডিং কোচের দায়িত্ব নেন শন ম্যাকডারমট। তিনি দায়িত্ব ছাড়ার পর ফিল্ডিংয়ে কোচের দায়িত্ব দেওয়া হয় এর আগে সহকারী কোচের পদে থাকা নিক পোথাসকে। কয়েক মাস আগে তিনিও বিসিবির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেন।
ঢাকা/রিয়াদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কর ছ ন ক জ কর
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’