২০২২ কাতার বিশ্বকাপের পর থেকেই চোটের সঙ্গে লড়াই করছেন লিওনেল মেসি। চোটের কারণে এখন পর্যন্ত বেশ কিছু ম্যাচ মিস করতে হয়েছে আর্জেন্টাইন অধিনায়ককে। সর্বশেষ আন্তর্জাতিক বিরতিতে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচেও মেসি ছিলেন স্কোয়াডের বাইরে।

এমন পরিস্থিতিতে মেসিকে বিশ্রাম দিয়ে খেলানো নিয়েও বেশ কথা হচ্ছে। বিশেষ করে ২০২৬ বিশ্বকাপ পর্যন্ত ফিট থেকে খেলা চালিয়ে যেতে মেসিকে সব ম্যাচ না খেলানোর পরামর্শ দিয়েছেন অনেক বিশেষজ্ঞ।

মেসির ফিটনেস নিয়ে নানামুখী আলাপের পরও ভিন্ন পথে হাঁটছেন ইন্টার মায়ামি কোচ হ্যাভিয়ার মাচেরানো। কোনো ধরনের বিশ্রাম ছাড়াই মেসিকে একের পর এক ম্যাচে খেলিয়ে যাচ্ছেন তিনি।

আরও পড়ুনবিশ্রামের ফাঁকে ফাঁকে খেলাটাই এখন মেসির নিয়তি০৯ অক্টোবর ২০২৪

শুধু ম্যাচ খেলাচ্ছেন এমন নয়, বেশির ভাগ ম্যাচে পুরো ৯০ মিনিট মেসিকে মাঠে রেখেছেন মায়ামি কোচ। চোট আশঙ্কা থাকার পরও সর্বশেষ ৪ ম্যাচের ৩টিতেই (আন্তর্জাতিক বিরতির পর খেলা তিন ম্যাচের দুটিতে) পুরো ৯০ মিনিট খেলেছেন মেসি, যা বর্তমান পরিস্থিতিতে কিছুটা অবাক হওয়ার মতোই।

মায়ামি কোচ মাচেরানোর সঙ্গে মেসি.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

মুশফিকের প্রেমকাহিনির মঞ্চে ম্যাথুসের বিদায়ী সুর

* শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২৬ টেস্টে বাংলাদেশের একটাই জয়। সেটি আবার শ্রীলঙ্কাতে। সেই জয় বাংলাদেশের শততম টেস্টে বলে আপনার তা খুব ভালোমতোই মনে থাকার কথা।

* টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের ৬০০ ছাড়ানো একমাত্র স্কোরটি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। সেটিও শ্রীলঙ্কাতে।

* টেস্টে বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। হ্যাঁ, হ্যাঁ, সেটিও শ্রীলঙ্কাতেই।

শেষ দুটি আবার একে অন্যের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। দুটি একই টেস্টে। ২০১৩ সালে যে টেস্টে বাংলাদেশের ৬৩৮, সেটিতেই মুশফিকুর রহিমের ডাবল সেঞ্চুরি। টানা ১২ টেস্টে হারার পর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ড্র-ও।

এই পুরোনো প্যাচাল খুব বেশি অপ্রাসঙ্গিক লাগবে না, যখন জানবেন ওই টেস্টটা হয়েছিল গল ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে। পশ্চাৎপটে অতিকায় গল ফোর্টের পাথুরে কাঠামো আর দুই পাশে সাগর মিলিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর স্টেডিয়ামের একটি। ২০০৪ সালে সুনামিতে লন্ডভন্ড হয়ে যাওয়ার পর পুনর্জন্ম নেওয়া গলের সেই মাঠেই আজ শুরু বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা প্রথম টেস্ট। শুরু আসলে তিন ধরনের ক্রিকেটেই একে অন্যের নাড়ি-নক্ষত্র বুঝে নেওয়ার লড়াই। যাতে টেস্ট আছে, ওয়ানডে আছে, আছে টি-টোয়েন্টিও। দুই টেস্টের পর সাদা বলের সিরিজে তিনটি করে ম্যাচ।

আরও পড়ুনআমিনুল ইসলাম বুলবুলকে চিনতে হলে এই লেখাটা পড়তে হবে০২ জুন ২০২৫

দুই দল পরস্পরের খুব চেনা। বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি ২৬টি টেস্ট খেলেছে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। ঘন ঘন দেখা হলে হৃদ্যতা যেমন হয়, তেমনি রেষারেষিও। বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার ক্ষেত্রেও তা-ই হয়েছে। গত কয়েক বছরে এই দুই দল মুখোমুখি হলেই মাঠে বা মাঠের বাইরে উত্তেজনার ফুলকি ছুটেছে। ‘টাইমড আউট’ হয়তো সেটির এক নম্বরে, এর বাইরেও নানা কিছু মিলে লঙ্কা-বাংলা এখন গনগনে এক দ্বৈরথের নাম।

গত চার বছর দুই দলের মধ্যে চতুর্থ টেস্ট সিরিজ। দুই দলের জন্যই রণকৌশল ঠিক করা তাই খুব সহজ হওয়ার কথা। বাংলাদেশ দলের জন্য হয়তো তা থাকছে না শ্রীলঙ্কা দলে নতুনের সমারোহে। ১৮ জনের দলের এক–তৃতীয়াংশই এখনো টেস্ট খেলার অপেক্ষায়। বাংলাদেশ দলেও কিছু পরিবর্তন আছে, তবে তা ধর্তব্যের মধ্যে নয়।

টেস্টের প্রস্তুতিতে গলে অনুশীলন করেছে বাংলাদেশ দল

সম্পর্কিত নিবন্ধ