হামলা-লুটপাটের ঘটনায় গ্রাহকদের যে বার্তা দিল বাটা
Published: 8th, April 2025 GMT
দেশের বিভিন্ন স্থানে বাটার শো-রুমে ভাঙচুর লুটপাট হয়েছে। ইসরায়েলের প্রতিষ্ঠান দাবি করে এসব প্রতিষ্ঠানে হামলা চালানো হয়। তবে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বাটার সঙ্গে ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের সংঘাতে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা থাকা কিংবা বাটা ইসরায়েলি মালিকানাধীন— তথ্যটি ভুল।
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতার প্রতিবাদে সোমবার (৭ এপ্রিল) দেশজুড়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়। তবে গতকাল বাটার বিভিন্ন বিক্রয়কেন্দ্রে হামলা, ভাঙচুর ও লুট্পাট চালানো হয়। এ ঘটনায় হতাশা প্রকাশ করে ‘সকল ধরনের সহিংসতার’ নিন্দা জানিয়েছে জুতা উৎপাদনকারী ও বিক্রেতা বহুজাতিক এ কোম্পানি।
সোমবার রাতে নিজেদের ফেইসবুক পেইজে এক বিবৃতিতে বাটা কর্তৃপক্ষ বলেছে, একটি ‘ভ্রান্ত’ ধারণা থেকে তাদের ব্যবসার ওপর এ ধরনের হামলা চালানো হচ্ছে।
“আমরা লক্ষ্য করছি যে, বাটাকে ঘিরে কিছু বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হয়েছে, যেখানে বলা হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি ইসরায়েলি মালিকানাধীন বা ইসরায়েল-প্যালেস্টাইন সংঘর্ষে রাজনৈতিকভাবে জড়িত।”
নিজেদের ইতিহাস তুলে ধরে বাটার বিবৃতিতে বলা হয়, “বাটা একটি ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান, যার যাত্রা শুরু হয়েছে চেক প্রজাতন্ত্র থেকে এবং কোনো রাজনৈতিক সংঘর্ষের সঙ্গে সম্পর্ক নেই। দুঃখজনকভাবে, এই ভ্রান্ত ধারণার ফলে বাংলাদেশে আমাদের কিছু আউটলেট সম্প্রতি ব্যাপক ভাঙচুরের শিকার হয়েছে।”
গাজায় নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের ও ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বর হামলার প্রতিবাদে সোমবার বিশ্বব্যাপী ‘নো ওয়ার্ক, নো স্কুল’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে সোমবার ঢাকাসহ বাংলাদেশের জেলায় জেলায় বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ ও ধর্মঘট চলে।
বিক্ষোভের মধেই ফাস্ট ফুড চেইন কেএফসি, পিৎজা হাট, বাটার মতো বহুজাতিক ব্র্যান্ডের বিক্রয় কেন্দ্রে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। এছাড়া, কোমল পানীয় কোকাকোলা, সেভেন আপ রাখায় বিভিন্ন দোকান ও রোস্তোরাঁয় হামলা করা হয়।
বাটার বিবৃতিতে বলা হয়, “আমরা দৃঢ়তার সাথে সকল ধরনের সহিংসতার তীব্র নিন্দা জানাই।’’
“বাংলাদেশের মানুষের প্রতি আস্থা ও শ্রদ্ধা নিয়ে, ১৯৬২ সাল থেকে বাটা দেশজুড়ে নিরলসভাবে সেবা দিয়ে চলেছে, গুণগত মান নিশ্চিত করছে। বাটা বাংলাদেশের সকল সম্প্রদায়ের সম্মান রক্ষায় সর্বদা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
ঢাকা/ইভা
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসর য় ল স মব র
এছাড়াও পড়ুন:
আমদানি বৃদ্ধি ইতিবাচক, ধারাবাহিকতা থাকতে হবে
চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে মূলধনি যন্ত্রপাতি ও ভোগ্যপণ্যের ঋণপত্র খোলার হারে যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে, সেটিকে আমি ইতিবাচক হিসেবেই দেখছি। তবে তিন মাসের চিত্র দিয়ে সামগ্রিক অবস্থা এখনো মূল্যায়ন করার সময় হয়নি।
মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে হঠাৎ প্রায় ২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ঘটেছে। এটা সুখবর হলেও কোনো বড় প্রকল্পের মালামাল আমদানিতে এত বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা দরকার। যদি সত্যিকারের নতুন নতুন কারখানার যন্ত্রপাতি আমদানির মাধ্যমে এ প্রবৃদ্ধি ঘটে, তাহলে তা অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক।
মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে ধারাবাহিকতা থাকলেই বলা যাবে, দেশে বিনিয়োগ হচ্ছে। বিনিয়োগ হলে সামনে কর্মসংস্থানও বাড়বে। আর তাতে অর্থনীতিতেও গতি সঞ্চার হবে।
মূলধনি যন্ত্রপাতির মতো ভোগ্যপণ্যের ঋণপত্র খোলার হারও বাড়ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক তিন মাসের যে তুলনা করে দেখিয়েছে, তাতে ঋণপত্র খোলার হার ২০ শতাংশ বেড়েছে।
সব মিলিয়ে মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে, তা আগামী কয়েক মাস অব্যাহত থাকলে অর্থনীতিতে কর্মচাঞ্চল্য বাড়বে।
মোহাম্মদ মোস্তফা হায়দার, পরিচালক, টি কে গ্রুপ