ফেসবুকে খালেদা জিয়ার উদ্দেশে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য, সাইবার নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার ১
Published: 8th, April 2025 GMT
ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় সাইবার নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় এবাদুল ইসলাম (৩১) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার রাতে বরিশালের উজিরপুরে নিজ বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এবাদুল ইসলামের বিরুদ্ধে ফেসবুকে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উদ্দেশে কুরুচিপূর্ণ, অশালীন ও অপমানজনক মন্তব্য করার অভিযোগ করা হয়েছে। এবাদুল সাভারের আশুলিয়ায় একটি মসজিদের ইমাম হিসেবে কাজ করেন।
আশুলিয়া থানা-পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার ‘পিনাকী-Dadabhai Pinaki’ নামের ফেসবুক পেজে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ ও বিএনপির যৌথ করণীয় বিষয়ে লেখা প্রকাশিত হয়। এবাদুল ইসলাম তাঁর ফেসবুক আইডি ব্যবহার করে ওই লেখার কমেন্টস বক্সে বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার উদ্দেশে কুরুচিপূর্ণ, অশালীন ও অপমানজনক মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ ওঠে। ওই দিন বিকেলে আশুলিয়ার ধামসোনা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আতাউর রাহিম ফেসবুকে বিষয়টি দেখতে পান। তিনি গতকাল রাতে আশুলিয়া থানায় বাদী হয়ে সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন। এতে এবাদুল ইসলামের বিরুদ্ধে মুঠোফোনে ইন্টারনেট ব্যবহার করে ইচ্ছাকৃতভাবে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বিপন্নসহ জনসাধারণের মধ্যে ভয়ভীতি সৃষ্টি, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত, মানহানিকর তথ্য প্রচার, ঘৃণা ও বিদ্বেষ সৃষ্টির অভিযোগ করা হয়েছে।
আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কামাল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, মামলা করার পর গতকাল রাতে অভিযান চালিয়ে বরিশালের উজিরপুর থেকে এবাদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে তাঁকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ফ সব ক
এছাড়াও পড়ুন:
আদাবরে কুপিয়ে হত্যা: তিনজনকে গ্রেপ্তারের তথ্য দিল সেনাবাহিনী
রাজধানীর আদাবরে আধিপত্য বিস্তার ও মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিরোধে রিপন সরদার (৪২) খুনের ঘটনায় তিনজন গ্রেপ্তার হয়েছে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী। গতকাল মঙ্গলবার রাত নয়টার দিকে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, রিপন হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ইমন ওরফে ভাইগ্না ইমন ওরফে দাঁতভাঙা ইমনকে তাঁর দুই সহযোগীসহ গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের কাছ থেকে দুটি সামুরাই উদ্ধার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে ইমন হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তাঁদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
সেনাবাহিনী জানায়, গতকাল ভোরের দিকে রাজধানীর আদাবর থানার বালুর মাঠ এলাকায় বাসায় ঢুকে রিপন নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। কিশোর গ্যাং এই হত্যাকাণ্ড ঘটায় বলে অভিযোগ। পরে আহত অবস্থায় রিপনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে তিনি মারা যান।
৪৬ স্বতন্ত্র পদাতিক ব্রিগেডের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, গতকাল সকালে বালুমাঠ এলাকায় একটি হত্যাকাণ্ডের খবর পাওয়া যায়। বিভিন্নভাবে তথ্য সংগ্রহ করে জানা যায় এলেক্স সবুজ, মনির ও ইমন এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। পরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অবস্থান নির্ণয় করে অভিযান চালিয়ে ইমন ও তাঁর দুই সহযোগীকে দুটি সামুরাইসহ গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযান চালানোর কিছুক্ষণ আগে সবুজ ও মনির সেই জায়গা থেকে পালিয়ে যান। তাই তাঁদের গ্রেপ্তার করা যায়নি। বাকিদের গ্রেপ্তারে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এদিকে পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার সকাল সাতটার দিকে আদাবরের ১০ নম্বরের বালুর মাঠ এলাকায় ‘বেলচা মনির’ ও ‘রাজু গ্রুপে’র মধ্যে এ মারামারি হয়। ‘বেলচা মনিরের’ লোকজন ‘রাজু গ্রুপের’ রিপনকে হাঁসুয়া দিয়ে কুপিয়ে আহত করে। সন্ধ্যা সাতটার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রিপন সরদারের মৃত্যু হয়।
আদাবর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম জাকারিয়া প্রথম আলোকে বলেন, স্থানীয় মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ ও বিরোধকে কেন্দ্র করে মারামারির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটির বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত চলছে।
আরও পড়ুনআদাবরে মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে মারামারিতে নিহত ১১৮ ঘণ্টা আগেতবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রিপন সরদারের ছেলে ইমন সরদার গতকাল দাবি করেন, রিপন মাদক ব্যবসায়ী ছিলেন না। রিপন পেশায় চা–দোকানি। বেলচা মনিরের লোকজনের সঙ্গে দুই দিন আগে তাঁর বাবার কথা-কাটাকাটি হয়। এর জেরে তাঁর বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তাঁর মা আরজু বেগমও আহত হয়েছেন। তাঁদের বাড়ি ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায়।
পুলিশের ভাষ্য, নিহত রিপন সরদার মাদক কারবারি রাজুর চাচাতো ভাই। ‘রাজু গ্রুপ’ ও ‘বেলচা মনিরের’ নেতৃত্বে আদাবরের ১০ ও ১৭ নম্বর এলাকায় মাদক ব্যবসা হয়। ওই বিরোধের জেরেই এই হত্যাকাণ্ড হয়েছে বলে প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে। নিহত রিপনের বিরুদ্ধে ভোলায় একাধিক মামলা থাকার তথ্য পাওয়া গেছে।