চলতি বছর হজযাত্রীদের টিকা গ্রহণের সময় লাগবে স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট। সরকার নির্বাচিত মেডিকেল সেন্টারসমূহ হতে টিকা নেওয়ার আগে স্বাস্থ্য পরীক্ষার কিছু রিপোর্ট সঙ্গে আনতে সুপারিশ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। রিপোর্টগুলোর মধ্যে রয়েছে: Urine R/M/E, R.B.S, X-Ray Chest P/A view, ECG, Serum Creatinine, CBC with ESR, Blood Grouping & Rh Typing.

এ সকল রিপোর্ট অবশ্যই ৩ মাসের মধ্যে সম্পন্ন হতে হবে।

হজযাত্রীরা মোট ৮০টি স্বাস্থ্য সেবা ও টিকাদান কেন্দ্র হতে টিকা গ্রহণ করতে পারবে। কেন্দ্রগুলোর মধ্যে রয়েছে সকল জেলার সিভিল সার্জন অফিস। এ ছাড়া, ঢাকার জেলার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল, ফুলবাড়িয়া, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল, রাজারবাগ, বাংলাদেশ সচিবালয় ক্লিনিক, গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতাল,

আরও পড়ুনহজে যাওয়ার আগে যেসব প্রস্তুতি লাগবে০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বগুড়া ২৫০ শয্যা মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল ও দিনাজপুর ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতাল।

এ সংক্রান্ত যে কোনো তথ্যের জন্য ১৬১৩৬ নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হজ-১ শাখা থেকে এ বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।

আরও পড়ুনদরুদ শরিফ পড়ার ফজিলত ২১ এপ্রিল ২০২৪

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

আমদানি বৃদ্ধি ইতিবাচক, ধারাবাহিকতা থাকতে হবে

চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে মূলধনি যন্ত্রপাতি ও ভোগ্যপণ্যের ঋণপত্র খোলার হারে যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে, সেটিকে আমি ইতিবাচক হিসেবেই দেখছি। তবে তিন মাসের চিত্র দিয়ে সামগ্রিক অবস্থা এখনো মূল্যায়ন করার সময় হয়নি।

মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে হঠাৎ প্রায় ২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ঘটেছে। এটা সুখবর হলেও কোনো বড় প্রকল্পের মালামাল আমদানিতে এত বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা দরকার। যদি সত্যিকারের নতুন নতুন কারখানার যন্ত্রপাতি আমদানির মাধ্যমে এ প্রবৃদ্ধি ঘটে, তাহলে তা অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক।

মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে ধারাবাহিকতা থাকলেই বলা যাবে, দেশে বিনিয়োগ হচ্ছে। বিনিয়োগ হলে সামনে কর্মসংস্থানও বাড়বে। আর তাতে অর্থনীতিতেও গতি সঞ্চার হবে।

মূলধনি যন্ত্রপাতির মতো ভোগ্যপণ্যের ঋণপত্র খোলার হারও বাড়ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক তিন মাসের যে তুলনা করে দেখিয়েছে, তাতে ঋণপত্র খোলার হার ২০ শতাংশ বেড়েছে।

সব মিলিয়ে মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে, তা আগামী কয়েক মাস অব্যাহত থাকলে অর্থনীতিতে কর্মচাঞ্চল্য বাড়বে।

মোহাম্মদ মোস্তফা হায়দার, পরিচালক, টি কে গ্রুপ

সম্পর্কিত নিবন্ধ