মুম্বাইকে হারিয়ে জরিমানা গুনলেন আরসিবি অধিনায়ক
Published: 8th, April 2025 GMT
রোমাঞ্চে ভরা এক ম্যাচে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সকে হারিয়ে দুর্দান্ত জয় পেয়েছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (আরসিবি)। তবে জয় সঙ্গী হলেও ম্যাচের পরই শাস্তির মুখে পড়েছেন দলের অধিনায়ক রজত পতিদার। স্লো ওভার রেটের কারণে গুণতে হয়েছে বড় অঙ্কের জরিমানা।
ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে গত রাতে ১২ রানের জয়ে মুম্বাইকে হারায় আরসিবি। তবে ম্যাচ চলাকালীন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ওভার শেষ করতে না পারায় পতিদারকে গুণতে হয়েছে ১২ লাখ রুপি জরিমানা। চলতি আইপিএলে এটিই বেঙ্গালুরুর প্রথম স্লো ওভার রেটজনিত শাস্তি।
জরিমানার খবরে কিছুটা আড়াল হলেও ব্যাট হাতে ও অধিনায়ক হিসেবে রজত পতিদার চলতি আসরে দারুণ ছন্দে আছেন। এখন পর্যন্ত ৪ ম্যাচে করেছেন ১৬১ রান, শুধু বিরাট কোহলিই (১৬৪ রান) তার ওপরে। তার আগ্রাসী ব্যাটিং, বোলিংয়ে বিচক্ষণতা এবং কৌশলী সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রশংসা কুড়িয়েছে ক্রিকেট বিশ্লেষকদের কাছ থেকে।
ম্যাচ শেষে পতিদারের সিদ্ধান্তের প্রশংসা করে ভারতের সাবেক ব্যাটার আম্বাতি রায়ডু বলেন, ‘ভুবনেশ্বর কুমারকে সঠিক সময়ে আক্রমণে ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত ছিল দুর্দান্ত।’
সাবেক ব্যাটার ও কোচ সঞ্জয় বাঙ্গারও তার কৌশলী অধিনায়কত্বের প্রশংসা করে বলেন, ‘ক্রুনালকে ২০তম ওভারের জন্য রেখে দেওয়া ছিল দারুণ পরিকল্পনা। যদি জশ হ্যাজলউডকে ১৯তম ওভারে ১২ রানের ডিফেন্ড করতে হতো, তবে সেটা আরও কঠিন হয়ে যেত।’
রায়ডুর মতে, ম্যাচের চাপের মধ্যেও পতিদার ছিলেন পুরোপুরি শান্ত ও আত্মবিশ্বাসী। এমনকি সিনিয়র কোহলিকেও বেশি নির্দেশনা দিতে দেখা যায়নি, যা তার নেতৃত্বগুণেরই প্রমাণ। এই জয়ের পর ছয় ম্যাচে তিনটি জয়ে পয়েন্ট টেবিলে ভালো অবস্থানে রয়েছে আরসিবি। তাদের পরবর্তী ম্যাচ বৃহস্পতিবার, নিজেদের ঘরের মাঠে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব র ট ক হল আরস ব
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’