যুক্তরাজ্যে প্রতিস্থাপিত জরায়ু থেকে প্রথম শিশুর জন্ম
Published: 8th, April 2025 GMT
যুক্তরাজ্যে প্রতিস্থাপন করা জরায়ু থেকে প্রথমবারের মতো এক শিশুর জন্ম হয়েছে। ওই নবজাতকের খালা তার মাকে জরায়ু দান করেছিলেন। আজ মঙ্গলবার লন্ডনের কুইন শার্লটস অ্যান্ড চেলসিয়া হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ খবরটি নিশ্চিত করেছে।
ওই হাসপাতালেই গত ২৭ ফেব্রুয়ারি অ্যামি নামের ওই মেয়েশিশুটির জন্ম হয়। তার মায়ের নাম গ্রেস ডেভিডসন। দুই বছর আগে গ্রেসের শরীরে তাঁর বড় বোনের জরায়ু প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল।
নবজাতকের জন্ম দেওয়া গ্রেস ডেভিডসন বলেন, ‘আমাদের এ যাবৎকালে চাওয়া সবচেয়ে বড় উপহারটি আমরা পেয়েছি।’
গ্রেসের আশা, ভবিষ্যতে সন্তান ধারণে অক্ষম নারীদের জন্য এটি একটি বিকল্প উপায় হয়ে উঠবে।
বার্তা সংস্থা প্রেস অ্যাসোসিয়েশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শিশুটির বাবা অ্যাঙ্গাস ডেভিডসন বলেন, ‘অ্যামিকে সত্যিকার অর্থে পাওয়ার এ যাত্রায় যাঁরা আমাদের সাহায্য করেছেন, তাঁদের নিয়ে কক্ষটি পরিপূর্ণ হয়ে ছিল। সম্ভবত ১০ বছর ধরে আমাদের আবেগ-অনুভূতি একরকম চাপা অবস্থায় ছিল। আর সেটার প্রকাশ কেমন হতে পারে, তা আপনার জানার কথা নয়। তা হাউমাউ কান্না হয়ে বের হয়ে এসেছে।’
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে বলেছে, গ্রেস ডেভিডসনের বয়স ৩৬ বছর। রোকিটানস্কি-কাস্টার হাউসার নামে পরিচিত একটি বিরল শারীরিক জটিলতা আছে তাঁর। জন্মের সময় থেকেই তাঁর জরায়ুটি নিষ্ক্রিয় ছিল।
গ্রেস যুক্তরাজ্যের প্রথম নারী, যাঁর শরীরে জরায়ু প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। তাঁর ৪২ বছর বয়সী বোন অ্যামি পার্ডি তাঁকে জরায়ুটি দান করেছিলেন। অ্যামির ১০ এবং ৬ বছর বয়সী দুটি মেয়ে আছে।
২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে অক্সফোর্ড ট্রান্সপ্লান্ট সেন্টারে জরায়ুটি প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল। অক্সফোর্ড ট্রান্সপ্লান্ট সেন্টার অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি হসপিটালস ফাউন্ডেশনের অংশ।
যুক্তরাজ্যে সুস্থ ও জীবিত অবস্থায় অঙ্গদান কর্মসূচির সহপ্রধান এবং স্ত্রীরোগবিষয়ক শল্য চিকিৎসক রিচার্ড স্মিথ বলেছেন, অ্যামির জন্মগ্রহণের ঘটনাটি ২৫ বছরের বেশি সময়ের গবেষণার চূড়ান্ত ফল।
২০১৩ সালে প্রথম সুইডেনে জরায়ু প্রতিস্থাপনের ঘটনা ঘটে। এর পর থেকে বিশ্বজুড়ে ১০০টির বেশি জরায়ু প্রতিস্থাপন হয়েছে। এ পর্যন্ত বিশ্বে প্রতিস্থাপিত জরায়ু থেকে প্রায় ৫০টি সুস্থ শিশুর জন্ম হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র জন ম
এছাড়াও পড়ুন:
ডিএসইর পিই রেশিও বেড়েছে ১.৯৪ শতাংশ
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে (২৭ থেকে ৩১ জুলাই) পর্যন্ত সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) বেড়েছে। আলোচ্য এ সময়ে ডিএসইর পিই রেশিও বেড়েছে ১.৯৪ শতাংশ।
শনিবার (২ আগস্ট) ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্য মতে, বিদায়ী সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ১০.৩১ পয়েন্টে। আর সপ্তাহ শেষে তা অবস্থান করছে ১০.৫১ পয়েন্টে। ফলে সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর পিই রেশিও বেড়েছে ০.২০ পয়েন্ট বা ১.৯৪ শতাংশ।
এর আগের সপ্তাহের (২৪ থেকে ২৮ জুলাই) শুরুতে ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ৯.৭১ পয়েন্টে। আর সপ্তাহ শেষে তা অবস্থান করছে ১০.৩১ পয়েন্টে। ফলে সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর পিই রেশিও বেড়েছে ০.৬০ পয়েন্ট বা ৬.১৮ শতাংশ।
খাতভিত্তিক পিই রেশিওগুলোর মধ্যে- জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে ৬.১০ পয়েন্টে, ব্যাংক খাতে ৭.১৯ পয়েন্টে, সেবা ও আবাসন খাতে ৯.৮৯ পয়েন্ট, টেক্সটাইল খাতে ১০.৭০ পয়েন্টে, ওষুধ ও রসায়ন খাতে ১১.০৮ পয়েন্টে, প্রকৌশল খাতে ১১.৩৫ পয়েন্টে, আর্থিক খাতে ১২.৬০ পয়েন্টে, সাধারণ বিমা খাতে ১২.৭৭ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতে ১৪.১০ পয়েন্টে, টেলিযোগাযোগ খাতে ১৪.৯৪ পয়েন্টে, আইটি খাতে ১৬.৩১ পয়েন্টে, বিবিধ খাতে ১৬.৬৫ পয়েন্টে, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে ১৭.৯৬ পয়েন্ট, মিউচুয়াল ফান্ড খাতে ১৮.৪৩ পয়েন্টে, পেপার ও প্রিন্টিং খাতে ২১.৮১ পয়েন্টে, খাদ্য ও আনুসঙ্গিক খাতে ২১.৯৩ পয়েন্টে, পাট খাতে ২৬.১৯ পয়েন্টে, ট্যানারি খাতে ২৬.৭৭ পয়েন্টে, এবং সিরামিক খাতে ৫৭.৪৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
ঢাকা/এনটি/ইভা