গত সপ্তাহে অভিশংসিত নেতা ইউন সুক ইওলকে পদ থেকে অপসারণের পর নতুন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছে দক্ষিণ কোরিয়া। ৩ জুন আগাম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।

মার্কিন শুল্ক বৃদ্ধি এবং এশিয়ার চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটির প্রবৃদ্ধি ধীরগতির সময়ে, সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে ক্ষমতার শূন্যতা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের সাথে আলোচনার জন্য সিউলের প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করেছে।

ডিসেম্বরে সামরিক আইন জারির ঘোষণার কারণে শুক্রবার ইউনকে অপসারণ করা হয়।

ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হান ডাক-সু মন্ত্রিসভার বৈঠকে বলেছেন, “সরকার ৩ জুনকে ২১তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দিন হিসেবে মনোনীত করার ইচ্ছা পোষণ করছে।”

ইউনের শ্রমমন্ত্রী কিম মুন-সু মুষ্টিমেয় কয়েকজন প্রার্থীর মধ্যে রয়েছেন যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। মঙ্গলবার তিনি পদত্যাগ করেছেন এবং জানিয়েছেন, তিনি তার প্রচারণা শুরু করবেন।

কিম মুন বলেছেন, “আমি পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি এবং নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কারণ জনগণ এটা চায়, আমার পরিচিত লোকেরা এটা চায়, এবং জাতীয় সমস্যা সমাধানের জন্য আমি দায়িত্ববোধ অনুভব করি।”

পিপিপির আইনপ্রণেতা আহন চিওল-সু, যিনি ইউনের অভিশংসনের পক্ষে প্রথম ভোট দিয়েছিলেন, তিনিও মঙ্গলবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন

প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।

শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্‌রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।

আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেন

রাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।

কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।

দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।

২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।

প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।

আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।

সূত্র: এনবিসি নিউজ

আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ