রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে তিনজন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার ভোরে যাত্রাবাড়ী ও ভাটারা এলাকায় এসব ঘটনা ঘটে। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতরা হলেন- যাত্রাবাড়ীতে অটোরিকশার চালক মো. আব্বাস ও যাত্রী সবজি ব্যবসায়ী আব্দুল লতিফ এবং ভাটারায় সিটি কর্পোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মী মো.                
      
				
যাত্রাবাড়ীতে আহত ব্যবসায়ীর ভাই সুমন বলেন, ভোরে অটোরিকশায় যাওয়ার সময় যাত্রাবাড়ীর জনপথ মোড়ে তিন ছিনতাইকারী আমার ভাইয়ের পথরোধ করে। তারা চাপাতি দিয়ে চালকের ডান হাত ও বাম পা এবং আমার ভাইয়ের বাম হাঁটুর নিচে আঘাত করে। আমরা খবর পেয়ে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসি।
অপর ঘটনায় ভাটারা এলাকায় আহত হন মো. আহসান। তাকে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে আসা সহকর্মী শাহাবুদ্দিন বলেন, আমরা ভাটারায় সিটি কর্পোরেশনের এসটিএসে কাজ করি। ভোরের দিকে ময়লা পরিষ্কার করার সময় কয়েক ছিনতাইকারী আহসানের ডান উরুতে ছুরিকাঘাত করে মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসি।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক বলেন, জরুরি বিভাগে তাদের চিকিৎসা দেওয়া হয়। সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’