চট্টগ্রামে বাসচাপায় নারীর মৃত্যু, রক্তমাখা পরিচয়পত্র
Published: 8th, April 2025 GMT
চট্টগ্রাম নগরের ইস্পাহানি মোড়ে বাসের চাপায় এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে একটি বাস চাপা দিলে রিয়া মজুমদার (২৪) নামের এই নারী ঘটনাস্থলে মারা যান। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওই নারীর রক্তমাখা একটি পরিচয়পত্র ছড়িয়ে পড়েছে। তবে তাঁর বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি।
পুলিশ জানান, লালখান বাজারে এক বাস থেকে নামার সময় পড়ে যান তিনি। এ সময় পেছন থেকে আসা আরেকটা বাস চাপা দেয়। অ্যাভিনিউ হোটেলের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। বাসটি পুলিশ জব্দ করলেও চালক পালিয়েছে।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল করিম বলেন, শহীদ সাইফুদ্দীন খালেদ সড়কের মুখে দ্য অ্যাভিনিউ হোটেলের সামনে বাসচাপায় ওই নারী মারা যান। বাসটি জব্দ করা হয়। তবে চালক পালিয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মৃত্যুর পর নারীর ব্যাগ তল্লাশি করে একটি পরিচয়পত্র পাওয়া যায়। তাতে গোল্ডস্যান্ডস নামে প্রতিষ্ঠানটির এক্সিকিউটিভ পদে চাকরি করেন লেখা আছে। তাঁর পরিচয়পত্রটিতে রক্তের দাগ লেগে ছিল।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
শেরপুর নির্বাচন অফিসে রোহিঙ্গা আটক
শেরপুর ভুয়া নাম-পরিচয় ব্যবহার করে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) করতে গিয়ে এক রোহিঙ্গা আটক হয়েছেন। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আটকের পর তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছেন জেলা নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তারা।
আটক ব্যক্তির নাম মো. আমিন। তিনি কক্সবাজারের উখিয়ার টাংহালি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা। তার বাবার নাম জাহিদ হোসেন।
আরো পড়ুন:
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের স্থায়ী প্রত্যাবাসনে ‘বাস্তব পদক্ষেপ’ চায় ওআইসি
৪০ দেশের প্রতিনিধিদের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, আলম মিয়া নাম ব্যবহার করে উখিয়ার টাংহালি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এক ব্যক্তি এনআইডি করতে শেরপুর জেলা নির্বাচন অফিসে আবেদন করেন। সেখানে তিনি বাবার নাম আলী হোসেন উল্লেখ করেন এবং শেরপুর পৌরসভার কসবা মোল্লাপাড়া ও শিবুত্তর এলাকার বাসিন্দা হিসেবে দাবি করেন। কথাবার্তা ও নথিপত্র যাচাইয়ের সময় সন্দেহ হলে কর্মকর্তারা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এ সময় ওই ব্যক্তি নিজেকে রোহিঙ্গা বলে স্বীকার করেন।
শেরপুরের অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন অফিসার মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, “তার কাগজপত্র দেখে আমাদের সন্দেহ হয়। তার ভাষাগত বিষয়টি আমাদের নজরে আসে। জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি নিজেকে রোহিঙ্গা বলে স্বীকার করেন।”
আটক মো. আমিন বলেন, “আমি কক্সবাজারের উখিয়ার টাংহালি ক্যাম্পে থাকি। এ দেশের নাগরিক হওয়ার আশায় ভোটার আইডি কার্ড করতে শেরপুরে এসেছিলাম। কাজের জন্য পরিচয়পত্র পেলে সুবিধা হবে ভেবেই আলম নামে আবেদন করেছি।”
শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) জাহাঙ্গীর আলম খান বলেন, “রোহিঙ্গা ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তার সঙ্গে স্থানীয় কেউ জড়িত কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আইনগত ব্যবস্থা চলমান।”
ঢাকা/তারিকুল/মাসুদ