যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউর মধ্যে ‘শুল্কহীন’ বাণিজ্য অঞ্চল চান মাস্ক
Published: 8th, April 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশ্বব্যাপী শুল্ক আরোপের ঘোষণা নিয়ে সমালোচনা করেছেন তার ঘনিষ্ঠ মিত্র ও বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক। শনিবার ইতালির ফ্লোরেন্সে উপপ্রধানমন্ত্রী মাত্তিও সালভিনি ও তার কট্টর ডানপন্থি দল লিগ পার্টি আয়োজিত ভিডিও সম্মেলনে মাস্ক বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) মধ্যে একটি কার্যকর মুক্ত-বাণিজ্য অঞ্চল তৈরি হোক, সেটা আমি দেখতে চাই।
বুধবার ট্রাম্প ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে পণ্যের ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেওয়ার পর মাস্ক এ মন্তব্য করেন। খবর সিএনএন।
তিনি বলেন, দিনশেষে, আমার দৃষ্টিকোণ থেকে আমি মনে করি ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্র উভয়েরই শুল্কমুক্ত অবস্থার দিকে যাওয়া উচিত। এতে দু’য়ের মধ্যে একটি কার্যকর মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল গড়ে উঠবে।
ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ একটি নিবিড়, শক্তিশালী অংশীদারত্ব গড়ে তুলবে এবং শুল্কমুক্ত অবস্থানে পৌঁছবে বলে মাস্ক আশা প্রকাশ করেন।
ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের প্রশাসনে ডিপার্টমেন্ট অব গভার্নমেন্ট এফিশিয়েন্সি (ডিওজিই) পরিচালনা করেন ইলন মাস্ক। কেন্দ্রীয় সরকারের অপচয় কমাতে নানা পদক্ষেপ নেন তিনি। একইসঙ্গে তিনি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টাও।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ইউর প
এছাড়াও পড়ুন:
কার্টুন, মিমে অভ্যুত্থানের ভিন্ন ধারার দৃশ্যায়ন
টাকার বস্তার ভেতর থেকে মাথা উঁচিয়ে আছেন শুভ্র কেশ, সফেদ দাড়ি, চশমা পরিহিত এক লোক। তাঁর ছবি দেখে তো বটেই, এই বর্ণনা থেকেও তাঁকে চিনবেন দেশবাসী। বর্তমানে কারাগারের বাসিন্দা পতিত স্বৈরশাসকের এই উপদেষ্টা বলছেন, ‘টাকার ওপর আমার বিশ্বাস উঠে গেছে।’ এই ছবির পাশেই এক কাটআউট। সেখানে ‘শেখ হাসিনা পালায় না’ বলতে বলতে দৌড়ে পালাচ্ছেন ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতার মসনদ থেকে উৎপাটিত শেখ হাসিনা।
এমন মজার মজার কার্টুন, মিম, গ্রাফিতি, ভিডিও স্থাপনাকর্মসহ বৈচিত্র্যময় সৃজনসম্ভার নিয়ে শুরু হয়েছে ‘বিদ্রূপে বিদ্রোহ’ নামের ব্যতিক্রমী এক প্রদর্শনী। আয়োজন করেছে অনলাইনভিত্তিক স্যাটায়ার সাময়িকী ‘ইয়ারকি’। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ধানমন্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের লা গ্যালারিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে ছয় দিনের এ প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। সবার জন্য প্রতিদিন বেলা তিনটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত খোলা।
গত বছর ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে উত্তাল ছিল জুলাই। একটি বৈষম্যহীন, উদার গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য পথে নেমেছিলেন অগণিত মানুষ। শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকারকে উৎখাত করতে জীবন উৎসর্গ করেছেন তাঁদের অনেকে। আহত হয়েছেন বেশুমার। রক্তরঞ্জিত রাজপথ বেয়ে এসেছে জনতার বিজয়।
প্রদর্শনীতে প্রবেশপথটির দুই পাশে লাল রঙের পটভূমিতে বড় বড় ডিজিটাল পোস্টার। সেখানে ২ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিনের বিভিন্ন ঘটনার আলোকচিত্র, সংবাদপত্র, অনলাইন পোর্টাল, টেলিভিশনের রিপোর্ট, ছবি, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের পোস্ট—এসব তুলে আনা হয়েছে এ পোস্টারগুলোতে। প্রবেশপথটিও লাল রঙের। ‘জুলাই করিডর’ নামে এই রক্তিম পথটি বেয়ে দর্শনার্থীরা প্রদর্শনীতে প্রবেশের সময় অভ্যুত্থানের উত্তাল দিনগুলোর উত্তাপ ফিরে পাবেন।