যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশ্বব্যাপী শুল্ক আরোপের ঘোষণা নিয়ে সমালোচনা করেছেন তার ঘনিষ্ঠ মিত্র ও বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক। শনিবার ইতালির ফ্লোরেন্সে উপপ্রধানমন্ত্রী মাত্তিও সালভিনি ও তার কট্টর ডানপন্থি দল লিগ পার্টি আয়োজিত ভিডিও সম্মেলনে মাস্ক বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) মধ্যে একটি কার্যকর মুক্ত-বাণিজ্য অঞ্চল তৈরি হোক, সেটা আমি দেখতে চাই।

বুধবার ট্রাম্প ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে পণ্যের ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেওয়ার পর মাস্ক এ মন্তব্য করেন। খবর সিএনএন।

তিনি বলেন, দিনশেষে, আমার দৃষ্টিকোণ থেকে আমি মনে করি ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্র উভয়েরই শুল্কমুক্ত অবস্থার দিকে যাওয়া উচিত। এতে দু’য়ের মধ্যে একটি কার্যকর মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল গড়ে উঠবে।

ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ একটি নিবিড়, শক্তিশালী অংশীদারত্ব গড়ে তুলবে এবং শুল্কমুক্ত অবস্থানে পৌঁছবে বলে মাস্ক আশা প্রকাশ করেন।

ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের প্রশাসনে ডিপার্টমেন্ট অব গভার্নমেন্ট এফিশিয়েন্সি (ডিওজিই) পরিচালনা করেন ইলন মাস্ক। কেন্দ্রীয় সরকারের অপচয় কমাতে নানা পদক্ষেপ নেন তিনি। একইসঙ্গে তিনি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টাও।


 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইউর প

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ