গুগল প্লে স্টোরে সতর্কবার্তা দেখাচ্ছে গুগল, কারণ কী
Published: 9th, April 2025 GMT
অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহারকারীরা যাতে নিরাপদে অ্যাপ ব্যবহার করতে পারেন, সে জন্য গুগল প্লে স্টোরে প্রদর্শনের আগেই অ্যাপটি ক্ষতিকর কি না, তা যাচাই করে থাকে গুগল। তবে গুগলের নিরাপত্তাব্যবস্থা মেনে চললেও মাঝেমধ্যেই নিম্নমানের বিভিন্ন অ্যাপ জায়গা করে নেয় গুগল প্লে স্টোরে। তাই নিম্নমানের অ্যাপগুলোর বিষয়ে অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের সতর্ক করতে নতুন উদ্যোগ নিয়েছে গুগল। নতুন এ উদ্যোগের আওতায় কেউ গুগল প্লে স্টোর থেকে নিম্নমানের অ্যাপ নামাতে গেলেই একটি সতর্কবার্তা দেখাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।
নতুন এ উদ্যোগের বিষয়ে গুগল জানিয়েছে, প্লে স্টোর থেকে নামানো যেসব অ্যাপ তুলনামূলকভাবে বেশি বার মুছে ফেলা হয়, সেসব অ্যাপের নিচে হলুদ রঙের একটি বার্তা দেখানো হবে। সেখানে লেখা থাকবে, ‘এই অ্যাপ প্লে স্টোরের অন্যান্য অ্যাপের তুলনায় বেশি বার আনইনস্টল করা হয়েছে।’ অর্থাৎ কোনো অ্যাপ যদি ডাউনলোডের পরপরই অনেক ব্যবহারকারী মুছে ফেলেন, তাহলে ধরে নেওয়া যায় অ্যাপটির মান সন্তোষজনক নয় বা অ্যাপটি ব্যবহারের অভিজ্ঞতা ভালো নয়।
নিম্নমানের অ্যাপ নামাতে গেলেই সতর্কবার্তা দেখাচ্ছে গুগল.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বৃষ্টিস্নাত রমনায় সবুজের উল্লাস
রমনা উদ্যানের গাছগুলো বৃষ্টিতে ভিজছে, ভিজছে মাটি ও মাটির ওপরের ঘাসগুলো। বর্ষায় রমনার রূপ হয় দেখার মতো। চারদিকে কেবল সবুজ আর সবুজ। বসন্তের মতো ফুল নেই তো কী হয়েছে? আছে শ্যামল রূপ, আছে অপার স্নিগ্ধতা। বুকভরে ধুলাহীন নিশ্বাস নেওয়ার অবকাশ, প্রকৃতির উদার আমন্ত্রণ।
‘পাগলা হাওয়ার বাদল-দিনে’ ঢাকার রমনা পার্কের গাছের পাতাগুলো এখন আরও সবুজ। টলটলে জলের নয়নাভিরাম ঝিলটা টইটম্বুর। ধুলাময়লাহীন পায়ে চলার পথ। আর গাছের পাতার ফাঁকে রয়েছে অজস্র ফুল। কোনোটা লাল, কোনোটা বেগুনি আবার কোনোটা সাদা। বৃষ্টির মধুর আশকারা পেয়ে রমনা পার্কে এখন সবুজের উল্লাস।
এই পার্কটিকে ঢাকার ফুসফুস বলা হয়। এর যথেষ্ট কারণ আছে অবশ্য। এ রকম প্রগাঢ় নিরেট সবুজ এ শহরে কমই আছে। রমনা তাই ঢাকার জনজীবনের স্পন্দন। এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।
সম্প্রতি ‘বৃষ্টি নেশাভরা’ এক বিকেলে অরুণোদয় ফটক দিয়ে রমনা পার্কে প্রবেশ করলাম। অনেকে শরীরচর্চায় ব্যস্ত। কেউ দল বেঁধে করছেন, কেউ একাকী। কোনো দল ব্যায়াম করে ভোরে, কেউ আবার বিকেলে বা সন্ধ্যায়। আবার অনেকে আছেন দুই বেলাই হাঁটাহাঁটি করেন। হাঁটা সেরে কেউ কেউ লেকের পাশে এসে দুদণ্ড জিরিয়ে নেন। লেকে চলছিল বোট।
বর্ষার ফুলের উৎসব
বর্ষা এলেই রমনা পার্ক যেন রঙের নতুন ভাষা শেখে। আমাদের ঋতুচক্র অনুযায়ী, বসন্ত ও গ্রীষ্মকালেই এ দেশে ফোটে অধিকাংশ ফুল। তবে বর্ষারও নিজস্ব কিছু ফুল আছে, আর গ্রীষ্মের কিছু ফুল টিকে থাকে বর্ষা পর্যন্ত। সেদিন রমনায় গিয়ে এমনই কিছু ফুল চোখে পড়ল—বৃষ্টিভেজা পাতার ফাঁকে তাদের রং যেন আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল। মনে হলো, প্রকৃতির এই নিঃশব্দ উৎসবেও কত কথা লুকিয়ে থাকে!
রমনার গোলাপবিথি সেদিন দর্শনার্থীদের সবচেয়ে বেশি মনোযোগ কাড়ছিল। সারি সারি ঝোপে ফুটে আছে হরেক রঙের গোলাপ—লাল, সাদা, হলুদ, কমলা, গাঢ় গোলাপি। বর্ষার ভেজায় যেন আরও সতেজ, আরও তাজা হয়ে উঠেছে প্রতিটি পাপড়ি। নরম আলো আর বৃষ্টিজলে ভেজা ফুলগুলোর সৌন্দর্য মোহিত করেছে পথচলার মানুষকে। কেউ থেমে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন, কেউ ভিডিও করছেন—মুঠোফোনে বন্দী হচ্ছে বর্ষার রঙিন রমনা।
এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।