গুগল প্লে স্টোরে সতর্কবার্তা দেখাচ্ছে গুগল, কারণ কী
Published: 9th, April 2025 GMT
অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহারকারীরা যাতে নিরাপদে অ্যাপ ব্যবহার করতে পারেন, সে জন্য গুগল প্লে স্টোরে প্রদর্শনের আগেই অ্যাপটি ক্ষতিকর কি না, তা যাচাই করে থাকে গুগল। তবে গুগলের নিরাপত্তাব্যবস্থা মেনে চললেও মাঝেমধ্যেই নিম্নমানের বিভিন্ন অ্যাপ জায়গা করে নেয় গুগল প্লে স্টোরে। তাই নিম্নমানের অ্যাপগুলোর বিষয়ে অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের সতর্ক করতে নতুন উদ্যোগ নিয়েছে গুগল। নতুন এ উদ্যোগের আওতায় কেউ গুগল প্লে স্টোর থেকে নিম্নমানের অ্যাপ নামাতে গেলেই একটি সতর্কবার্তা দেখাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।
নতুন এ উদ্যোগের বিষয়ে গুগল জানিয়েছে, প্লে স্টোর থেকে নামানো যেসব অ্যাপ তুলনামূলকভাবে বেশি বার মুছে ফেলা হয়, সেসব অ্যাপের নিচে হলুদ রঙের একটি বার্তা দেখানো হবে। সেখানে লেখা থাকবে, ‘এই অ্যাপ প্লে স্টোরের অন্যান্য অ্যাপের তুলনায় বেশি বার আনইনস্টল করা হয়েছে।’ অর্থাৎ কোনো অ্যাপ যদি ডাউনলোডের পরপরই অনেক ব্যবহারকারী মুছে ফেলেন, তাহলে ধরে নেওয়া যায় অ্যাপটির মান সন্তোষজনক নয় বা অ্যাপটি ব্যবহারের অভিজ্ঞতা ভালো নয়।
নিম্নমানের অ্যাপ নামাতে গেলেই সতর্কবার্তা দেখাচ্ছে গুগল.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ফোনে খালেদা জিয়া বললেন, ‘ভাই, জিয়াকে ড্রয়িংরুমে আবদ্ধ করে রাখা হয়েছে।’
৭৫-এর উত্তপ্ত নভেম্বর
শেখ মুজিব হত্যার পর বাংলাদেশ সামরিক বাহিনী ছিল দ্বিধাগ্রস্ত এবং দেশ প্রতিদিন অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল। এদিকে খন্দকার মোশতাক ক্ষমতায় এসেই আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতা সর্বজনাব নজরুল ইসলাম তাজউদ্দীন আহমেদ, মনসুর আলী, এ এইচ এম কামরুজ্জামান ও আবদুস সামাদ আজাদকে আটক করেন এবং ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী করে রাখেন। বাতাসে প্রতিনিয়ত নানা গুজব উড়ছিল ও সাধারণ নাগরিকগণ ভয়ভীতির মধ্য দিয়ে দিন কাটাচ্ছিলেন। সেনানিবাসেও অস্থিরতা বিরাজ করছিল এবং ক্রমেই স্পষ্ট হয়ে উঠছিল যে, নিজেদের মধ্যে যে-কোনো সময়ে সংঘর্ষ বেঁধে যেতে পারে। এ পরিস্থিতিতে আর্মিতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা খুবই জরুরি ছিল।
পদাতিক বাহিনীর মধ্যে, বিশেষ করে ঢাকা ব্রিগেডের ১ম, ২য় ও ৪র্থ বেঙ্গল রেজিমেন্টের অফিসারগণ মেজর ফারুক, রশিদ ও তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে উঠছিল এবং আর্মির চেইন অফ কমান্ড পুনঃস্থাপনের জন্য তৎকালীন ব্রিগেড অধিনায়ক কর্নেল শাফায়াত জামিলও অত্যন্ত উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছিলেন। কারণ তাঁর অধীনস্থ অফিসার ও সৈন্যগণই তাঁর সার্বিক কর্তৃত্ব উপেক্ষা করে শেখ মুজিব হত্যায় জড়িত ছিল। এ পরিস্থিতিতে সেনাসদরে ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফও সেনাবাহিনীর জুনিয়র অফিসারদের অনিয়ম ও আইনশৃঙ্খলার অবনতির কথা বলে উত্তেজিত করার চেষ্টায় লিপ্ত ছিলেন।
মেজর জেনারেল মইনুল হোসেন চৌধুরী (অব.) বীরবিক্রম