অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহারকারীরা যাতে নিরাপদে অ্যাপ ব্যবহার করতে পারেন, সে জন্য গুগল প্লে স্টোরে প্রদর্শনের আগেই অ্যাপটি ক্ষতিকর কি না, তা যাচাই করে থাকে গুগল। তবে গুগলের নিরাপত্তাব্যবস্থা মেনে চললেও মাঝেমধ্যেই নিম্নমানের বিভিন্ন অ্যাপ জায়গা করে নেয় গুগল প্লে স্টোরে। তাই নিম্নমানের অ্যাপগুলোর বিষয়ে অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের সতর্ক করতে নতুন উদ্যোগ নিয়েছে গুগল। নতুন এ উদ্যোগের আওতায় কেউ গুগল প্লে স্টোর থেকে নিম্নমানের অ্যাপ নামাতে গেলেই একটি সতর্কবার্তা দেখাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।

নতুন এ উদ্যোগের বিষয়ে গুগল জানিয়েছে, প্লে স্টোর থেকে নামানো যেসব অ্যাপ তুলনামূলকভাবে বেশি বার মুছে ফেলা হয়, সেসব অ্যাপের নিচে হলুদ রঙের একটি বার্তা দেখানো হবে। সেখানে লেখা থাকবে, ‘এই অ্যাপ প্লে স্টোরের অন্যান্য অ্যাপের তুলনায় বেশি বার আনইনস্টল করা হয়েছে।’ অর্থাৎ কোনো অ্যাপ যদি ডাউনলোডের পরপরই অনেক ব্যবহারকারী মুছে ফেলেন, তাহলে ধরে নেওয়া যায় অ্যাপটির মান সন্তোষজনক নয় বা অ্যাপটি ব্যবহারের অভিজ্ঞতা ভালো নয়।

নিম্নমানের অ্যাপ নামাতে গেলেই সতর্কবার্তা দেখাচ্ছে গুগল.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব যবহ র সতর ক

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ