নাটোরের লালপুর থানা থেকে ছিনিয়ে নেওয়া জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রুবেল উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (৯ এপ্রিল) দুপুর ২টার দিকে ঈশ্বরদী এয়ারপোর্ট এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

এর আগে, আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার রাতে দুই নারীসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। 

লালপুর থানার ওসি নাজমুল হক চার আসামি গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  

আরো পড়ুন:

মহেশখালীতে জমি নিয়ে বিরোধে গুলি, নিহত ১

মাতামুহুরী নদীতে দুই শিশুর মৃত্যু, যুবকের লাশ উদ্ধার

আরো পুড়ন: লালপুরে ছাত্রদলের বিরুদ্ধে থানা থেকে আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ

অন্য গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- রুবেল উদ্দিনের দুই বোন রুপা খাতুন ও ফারজানা ইয়াসমিন বৃষ্টি এবং কদমচিলান ইউনিয়ন যুবদলের নেতা মাসুদ রানা।

গ্রেপ্তার রুবেল উদ্দিন উপজেলার গৌরিপুর গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাগাতিপাড়া উপজেলার দয়ারামপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আব্দুর রশিদ চৌধুরীর বাড়িতে গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টায় রুবেলকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। পরে ছাত্রদল ও যুবদলের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী থানায় উপস্থিত হয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য পুলিশকে চাপ দেয়। পুলিশ অসম্মতি জানালে হট্টগোল করে তারা থানা থেকে রুবেলকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। 

এদিকে, আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় গতকাল রাতে বাগাতিপাড়া থানা পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর মানিক কুমার চৌধুরী বাদী হয়ে মামলা করেছেন। তিনি ছাত্রদলের আহ্বায়ক আবু রায়হান কবির সুইটকে প্রধান আসামি করে নাম উল্লেখ ও নাম না জানা ১৫৮ জনকে আসামি করে লালপুর থানায় মামলাটি করেন।

ঢাকা/আরিফুল/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ছ ত রদল গ র প ত র কর ছ ত রদল

এছাড়াও পড়ুন:

সাকিবের পথে হাঁটছেন মিরাজ

সাকিব আল হাসানের সঙ্গে নিজের তুলনাকে মেহেদী হাসান মিরাজ হয়তো উপভোগই করেন। কারণ, তাঁর স্বপ্ন সাকিবের মতো বিশ্বনন্দিত অলরাউন্ডার হয়ে ওঠা। সেই পথে বোধ হয় গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। বিশেষ করে টেস্টে দেশে-বিদেশে সম্প্রতি ভালো করছেন। পাকিস্তানে দারুণ প্রশংসিত ছিলেন অলরাউন্ড পারফরম্যান্স করে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই টেস্টের হোম সিরিজে উভয় টেস্টে নিজেকে ছাপিয়ে গেলেন। সিলেটের হারের ম্যাচেও ১০ উইকেট ছিল তাঁর। চট্টগ্রামে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট নিয়ে সাকিব ও সোহাগ গাজীর কাতারে নাম লেখালেন। মূলত মিরাজের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ইনিংস ব্যবধানে টেস্ট জেতা সম্ভব হয়। 

গতকাল শতকের ঘরে যেতে কম কসরত করতে হয়নি তাঁর। নব্বইয়ের ঘরে গিয়ে তো অনিশ্চয়তায় পড়ে গিয়েছিলেন হাসানের আউটের শঙ্কায়। ভাগ্য সুপ্রসন্ন হওয়ায় দ্বিতীয় শতকের দেখা পান তিনি। ২০২১ সালে এই চট্টগ্রামেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি ছিল মিরাজের। গতকালের পারফরম্যান্স নিয়ে টাইগার এ অলরাউন্ডার বলেন, ‘ব্যাটিংয়ের সময় চেষ্টা করেছিলাম ২ রান নিয়ে ১০০ রানে যেতে। সেভাবে দৌড় দিয়েছিলাম। কিন্তু ফিল্ডারের হাতে বল চলে গিয়েছিল (হাসি)। তার পর তো আল্লাহর ওপর ছেড়ে দিয়েছিলাম। হাসান অনেক ভালো সাপোর্ট দিয়েছে। তানজিমও ভালো সাপোর্ট দিয়েছে। তাইজুল ভাইও। এই তিনজনকেই অনেক অনেক ধন্যবাদ। কারণ, ওদের জন্যই আমি ১০০ রান করতে পেরেছি।’ 

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে করা সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট প্রাপ্তিকে নিজের সেরা পারফরম্যান্স দাবি মিরাজের, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে ১০০ করেছিলাম, ৩ উইকেট নিয়েছিলাম। অল্পের জন্য ৫ উইকেট হয়নি। হলে ভালো লাগত। ওই ম্যাচ হেরেছিলাম এই মাঠে। সে জিনিসটা মাথায় ছিল। ভালো লাগছে ম্যাচটি জিতেছি।’ মিরাজ ১৬২ বলে ১১টি চার ও একটি ছয় মেরে ১০৪ রান করেন। ২১ ওভারে ৩২ রান দিয়ে নেন পাঁচ উইকেট।

টেস্টে এ রকম অলরাউন্ড পারফরম্যান্স বাংলাদেশে আর দু’জনের আছে। সাকিব আল হাসান দু’বার ম্যাচে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট পেয়েছেন ২০১১ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে মিরপুরে আর ২০১৪ সালে খুলনায়। সোহাগ গাজী নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট শিকার করেন চট্টগ্রামে। সেই মাইলফলক ছোঁয়া মিরাজকে সম্প্রতি অলরাউন্ডার ক্যাটেগরিতে ফেলা হয়। সাকিবের বিকল্প ভাবা হয় তাঁকে এখন। 

এ ব্যাপারে মিরাজের অভিমত, ‘দেখেন একটা জিনিস, যখন সাকিব ভাই ছিলেন, ভিন্ন রোল ছিল। এখন ভিন্ন রোল। যেহেতু টিম ম্যানেজমেন্ট, সবাই ব্যাটিংয়ে আস্থা রাখে। আমিও ভেবেছি আমার ব্যাটিংটা গুরুত্বপূর্ণ। এখন হয়তো আমি লিডিং রোল প্লে করছি, আগে সাকিব ভাই করত। এখন আমাদের দায়িত্ব আরও বেশি।’ 

সিলেটে দুই ইনিংসে পাঁচ উইকেট করে নিয়েও দলকে জেতাতে পারেননি মিরাজ। চট্টগ্রামে সাদমান, তাইজুলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ম্যাচ জয়ের নায়ক হন। এই সাফল্য নিয়ে বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে, প্রথম ম্যাচ হারার পর যেভাবে কামব্যাক করেছি, এটা খুবই দরকার ছিল। আমাদের সবাই ভেবেছিল, আমরা ভালো করব।’ মিরাজ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন কোচিং স্টাফ ও সতীর্থের কাছে। আর তাঁর কাছে কৃতজ্ঞতা পুরো দলের।

সম্পর্কিত নিবন্ধ