জামালপুরে হত্যার দায়ে দুজনের যাবজ্জীবন
Published: 9th, April 2025 GMT
জামালপুর সদর উপজেলায় রফিকুল ইসলাম (৪৫) নামের একজনকে হত্যার দায়ে দুজনকে সশ্রম যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে দুজনকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২–এর বিচারক মো. আবু বকর ছিদ্দিক এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত দুজন হলেন জামালপুর সদর উপজেলার হাসিল জালিয়ার পাড়া এলাকার লেবু মিয়া এবং একই উপজেলার দেওলিয়াবাড়ি এলাকার মজনু মিয়া। তাঁদের জেলা করাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ থেকে জানা যায়, ১৯৯৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর রাতে জামালপুর সদর উপজেলার হাসিল এলাকার বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বাড়ির পাশের একটি পুকুর পাহারা দিতে যান। এরপর রাতে আর বাড়ি ফেরেননি। পরদিন সকালে স্ত্রী লাইলী বেগম খোঁজ নিতে যান; কিন্তু পুকুরপাড়ের ছাপড়ায় তাঁকে খুঁজে পাননি। নিখোঁজের পাঁচ দিন পর ওই এলাকার একটি সেপটিক ট্যাংক থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় একই বছরের ২৯ ডিসেম্বর লাইলী বেগম জামালপুর সদর থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। পুলিশ দেড় বছর মামলাটির তদন্ত শেষে ওই দুজনসহ ১৩ জনের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। এ মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে বুধবার দুপুরে দুজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২–এর সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) এ কে এম নাজমুল হুদা। তিনি বলেন, মামলায় ১৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। রায়ের সময় আদালতে দণ্ডপ্রাপ্ত দুজন উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
খুলনায় ৮ ঘণ্টার ব্যবধানে ২ জনকে কুপিয়ে হত্যা
খুলনায় মাত্র আট ঘণ্টার ব্যবধানে দুজনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
শুক্রবার (১ আগস্ট) রাতে খুলনা মহানগরীর সোনাডাঙ্গা এলাকায় মনোয়ার হোসেন টগর নামে এক যুবক এবং শনিবার (২ আগস্ট) ভোরে দিঘলিয়া উপজেলার বারাকপুরে আল-আমিন সিকদার নামে এক ভ্যানচালক খুন হন।
দিঘলিয়ায় ভ্যানচালককে কুপিয়ে হত্যা
পুলিশ জানায়, শনিবার ভোর আনুমানিক সাড়ে ৫টার দিকে দিঘলিয়া উপজেলার বারাকপুর নন্দনপ্রতাপ গ্রামে আল-আমিন সিকদার (৩৩) নামে এক ভ্যানচালককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। নিহত আল-আমিন ওই গ্রামের কাওসার শিকদারের ছেলে।
দিঘলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এইচ এম শাহীন বলেন, “আল-আমিনের স্ত্রীর সাবেক স্বামী মো. আসাদুল ঝিনাইদহ থেকে এসে অতর্কিতে তার ওপর হামলা চালায়। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যার পর আসাদুল পালিয়ে যায়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তার সাবেক স্ত্রীকে বিয়ে করার কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে থাকতে পারে।”
ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
নগরীতে ছুরিকাঘাতে যুবক খুন
অপরদিকে, শুক্রবার রাত সোয়া ৯টার দিকে খুলনা নগরীর সোনাডাঙ্গা থানাধীন সবুজবাগ এলাকায় নিজ বাড়িতে ছুরিকাঘাতে খুন হন মনোয়ার হোসেন টগর (২৫) নামে এক যুবক। তিনি ওই এলাকার বাসিন্দা জামাল হাওলাদারের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, রাত সোয়া ৯টার দিকে কয়েকজন যুবক টগরের বাড়িতে প্রবেশ করে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তারা তাকে ছুরিকাঘাত করে। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
সোনাডাঙ্গা মডেল থানার এসআই আবদুল হাই বলেন, “প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, হত্যাকারীরা টগরের পূর্ব পরিচিত। তাদের সবাইকে শনাক্ত করা হয়েছে এবং গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।”
ঢাকা/নুরুজ্জামান/ইভা