বাসে সাফারি পার্ক ঘুরে দেখলেন উপদেষ্টা রিজওয়ানা
Published: 10th, April 2025 GMT
গাজীপুর সাফারি পার্কের কোর সাফারিতে থাকা বাঘ, সিংহ, হরিণ কিংবা জিরাফ দর্শনার্থীকে দেখানোর জন্য আটটি মিনিবাস রয়েছে। পার্কটি যাত্রা শুরুর সময় আনা এসি বাসগুলোর বেশির ভাগই বিকল।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান গতকাল বুধবার সকালে পার্ক পরিদর্শন করবেন বলে তড়িঘড়ি করে এক দিন আগে বাসগুলো মেরামত করা হয়। কয়েকটি বাস মেরামত করা সম্ভব হলেও এসি ঠিক করা সম্ভব হয়নি। ফলে প্রচণ্ড গরমের মধ্যে এসি ছাড়া বাসে চার ঘণ্টায় জরাজীর্ণ পুরো পার্ক ঘুরে দেখেছেন উপদেষ্টা ও তাঁর সফরসঙ্গীরা।
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সৈয়দা রিজওয়ানা যান হাতিশালায়। সেখানে গিয়ে দেখতে পান, হাতিগুলো শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে। উপস্থিত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রশ্ন করেন, হাতিগুলো কেন বেঁধে রাখা হয়েছে। তাহলে পার্কে রেখে কী লাভ হলো। সার্কাসেই তো ভালো ছিল। দুপুর ১টার দিকে পার্কের ঐরাবতি ভবনের সামনে উপদেষ্টা বলেন, পার্কে ঘুরে আমার মনে হয়েছে, কিছু প্রাণী প্রাকৃতিকের অনুরূপ পরিবেশে থাকলেও অনেক প্রাণীর জীবনমান ভালো নয়। এই পার্ক দর্শনার্থীদের জন্য শুধু বিনোদনের নয়, বরং প্রাণীর প্রতি ভালোবাসা ও সহমর্মিতা শেখার স্থান হওয়া উচিত।
গত ২৩ মার্চ সাফারি পার্ক থেকে চুরি হয়ে যাওয়া মহাবিপন্ন তিনটি লেমুর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ম্যাকাও বলেন আর লেমুর বলেন, কোনোটাই এখানে হারিয়ে যাওয়ার জন্য দেওয়া হয়নি। লেমুরের ঘটনাটা আমি বিস্তারিত তদন্ত করব। দায়ীদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে।
উপদেষ্টার সঙ্গে ছিলেন বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক আমীর হোসাইন চৌধুরী, গাজীপুর জেলা প্রশাসক নাফিসা আরেফীন, পুলিশ সুপার ড.                
      
				
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র জওয ন হ স ন উপদ ষ ট
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’