গাজীপুর সাফারি পার্কের কোর সাফারিতে থাকা বাঘ, সিংহ, হরিণ কিংবা জিরাফ দর্শনার্থীকে দেখানোর জন্য আটটি মিনিবাস রয়েছে। পার্কটি যাত্রা শুরুর সময় আনা এসি বাসগুলোর বেশির ভাগই বিকল।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান গতকাল বুধবার সকালে পার্ক পরিদর্শন করবেন বলে তড়িঘড়ি করে এক দিন আগে বাসগুলো মেরামত করা হয়। কয়েকটি বাস মেরামত করা সম্ভব হলেও এসি ঠিক করা সম্ভব হয়নি। ফলে প্রচণ্ড গরমের মধ্যে এসি ছাড়া বাসে চার ঘণ্টায় জরাজীর্ণ পুরো পার্ক ঘুরে দেখেছেন উপদেষ্টা ও তাঁর সফরসঙ্গীরা। 

দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সৈয়দা রিজওয়ানা যান হাতিশালায়। সেখানে গিয়ে দেখতে পান, হাতিগুলো শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে। উপস্থিত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রশ্ন করেন, হাতিগুলো কেন বেঁধে রাখা হয়েছে। তাহলে পার্কে রেখে কী লাভ হলো। সার্কাসেই তো ভালো ছিল। দুপুর ১টার দিকে পার্কের ঐরাবতি ভবনের সামনে উপদেষ্টা বলেন, পার্কে ঘুরে আমার মনে হয়েছে, কিছু প্রাণী প্রাকৃতিকের অনুরূপ পরিবেশে থাকলেও অনেক প্রাণীর জীবনমান ভালো নয়। এই পার্ক দর্শনার্থীদের জন্য শুধু বিনোদনের নয়, বরং প্রাণীর প্রতি ভালোবাসা ও সহমর্মিতা শেখার স্থান হওয়া উচিত। 

গত ২৩ মার্চ সাফারি পার্ক থেকে চুরি হয়ে যাওয়া মহাবিপন্ন তিনটি লেমুর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ম্যাকাও বলেন আর লেমুর বলেন, কোনোটাই এখানে হারিয়ে যাওয়ার জন্য দেওয়া হয়নি। লেমুরের ঘটনাটা আমি বিস্তারিত তদন্ত করব। দায়ীদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে। 

উপদেষ্টার সঙ্গে ছিলেন বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক আমীর হোসাইন চৌধুরী, গাজীপুর জেলা প্রশাসক নাফিসা আরেফীন, পুলিশ সুপার ড.

চৌধুরী যাবের সাদেক, বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অঞ্চলের বন সংরক্ষক সানাউল্লাহ পাটোয়ারী প্রমুখ।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র জওয ন হ স ন উপদ ষ ট

এছাড়াও পড়ুন:

শনি গ্রহের একাধিক চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইডের সন্ধান

জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের মাধ্যমে শনি গ্রহের আটটি মাঝারি আকারের চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইড শনাক্ত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার বিজ্ঞানীরা। বর্তমানে মিমাস, এনসেলাডাস, ডায়োন, টেথিস, রিয়া, হাইপেরিয়ন, লাপেটাস ও ফিবি নামের চাঁদগুলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্যের পরিবর্তনের তথ্য টেলিস্কোপের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হচ্ছে। তথ্য বিশ্লেষণ করার পাশাপাশি চাঁদগুলোর ওপরে নিয়মিত নজরও রাখছেন বিজ্ঞানীরা।

বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, ডায়োন ও রিয়া চাঁদে থাকা কার্বন ডাই–অক্সাইড শনির প্রধান বলয়ের বরফের অনুরূপ। ফিবি চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইড জৈব পদার্থের বিকিরণের মাধ্যমে উৎপন্ন হয়ে থাকে। লাপেটাস ও হাইপেরিয়নের অন্ধকার অঞ্চলে কার্বন ডাই–অক্সাইড দেখা যায়। বরফযুক্ত এসব চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইডের অবস্থা সম্পর্কে আরও জানতে আগ্রহী বিজ্ঞানীরা।

ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির বিজ্ঞানী মাইকেল ব্রাউন ও তাঁর সহকর্মীরা এক গবেষণাপত্রে লিখেছেন, কঠিন কার্বন ডাই–অক্সাইড সৌরজগতের প্রান্তসীমার বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায়। যদিও সেই অবস্থানে কার্বন ডাই–অক্সাইড স্থিতিশীল নয়। আমরা শনির উপগ্রহে কার্বন ডাই–অক্সাইডের অবস্থান জানার মাধ্যমে ভিন্ন পরিবেশ বোঝার চেষ্টা করছি। বিভিন্ন গ্রহে কার্বন ডাই–অক্সাইড কীভাবে আটকে আছে, তা জানার সুযোগ আছে এখানে।

বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, শনির চাঁদে আটকে থাকা কার্বন ডাই–অক্সাইড থেকে আদর্শ ল্যাবের মতো তথ্য পাওয়া যাবে। ধারণা করা হচ্ছে, শনি গ্রহের বিভিন্ন চাঁদে কমপক্ষে দুটি পৃথক উৎস থেকে কার্বন ডাই–অক্সাইড তৈরি হয়েছে।

সূত্র: এনডিটিভি

সম্পর্কিত নিবন্ধ