আইপিএলের এবারের আসরে শুরুটা প্রত্যাশামতো না হলেও ধীরে ধীরে ভয়ঙ্কর রূপ নিচ্ছে গুজরাট টাইটান্স। প্রথম ম্যাচে হারলেও এরপর টানা চার জয় তুলে নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে জায়গা করে নিয়েছে শুভমন গিলের নেতৃত্বাধীন দলটি। সবশেষ ম্যাচে বৃহস্পতিবার (০৯ এপ্রিল) রাতে রাজস্থান রয়্যালসকে ৫৮ রানে হারিয়েছে তারা।
আহমেদাবাদে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে ব্যাট ও বল—দু’দিকেই আধিপত্য দেখায় গুজরাট। আগে ব্যাট করে সাই সুদর্শনের ঝড়ো ইনিংস ও রাহুল তেওয়াটিয়া-রশিদ খানের ছোট ছোট কিন্তু কার্যকর ইনিংসে ভর করে তারা তোলে ৬ উইকেটে ২১৭ রান। জবাবে রাজস্থান ১৯.
শুরুটা ভালো হয়নি গুজরাটের। অধিনায়ক শুভমন গিল মাত্র ২ রান করে আউট হন। তবে এরপর সাই সুদর্শন সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন ব্যাটিংয়ে। প্রথমে জশ বাটলারের সঙ্গে ৮০ রানের জুটি গড়েন। পরে শাহরুখ খানের সঙ্গে ৬২ রানের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পার্টনারশিপ করেন। ৫৩ বলে ৮২ রানের অসাধারণ ইনিংসে তিনি মারেন ৮টি চার ও ৩টি ছক্কা।
আরো পড়ুন:
অফফর্মে থাকা ম্যাক্সওয়েল এবার শাস্তির মুখে
অদ্ভুতুড়ে আউট ঢাকা লিগে বিতর্ক
শেষ দিকে তেওয়াটিয়ার ১২ বলে ২৪ এবং রশিদের ৪ বলে ১২ রানের ঝোড়ো ক্যামিওতে স্কোরটা বিশাল হয়ে ওঠে।
বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে রাজস্থান রয়্যালস শুরু থেকেই চাপে পড়ে যায়। যদিও অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন ও শিমরন হেটমায়ার কিছুটা লড়াইয়ের চেষ্টা করেন। সঞ্জু ৪১ ও হেটমায়ার ৫২ রান করেন। রিয়ান পরাগের ব্যাট থেকে আসে ২৬ রানে। তবে অন্যদের ব্যর্থতায় ১৫৯ রানেই গুটিয়ে যায় রাজস্থান।
গুজরাটের প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা বল হাতে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন। রশিদ খান ও সাই কিশোরের ঝুলিতে জমা পড়ে দুটি করে উইকেট। ব্যাটিংয়ে দুর্দান্ত ইনিংস খেলার পর দুটি ক্যাচ নিয়ে ম্যাচসেরা হন সুদর্শন।
এই জয়ে ৫ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে উঠে গেছে গুজরাট টাইটান্স। অন্যদিকে, রাজস্থান রয়্যালস ৫ ম্যাচে ৩ হারে ৪ পয়েন্ট নিয়ে নেমে গেছে সপ্তম স্থানে। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস, তাদের সংগ্রহ ৬ পয়েন্ট।
ঢাকা/আমিনুল
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
চার দিনের জ্বরে ভুগে মারা গেল কিশোর
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড পৌর সদরের ফকিরহাট এলাকায় আশরাফুর রহমান (১৪) নামের এক কিশোর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। গত শুক্রবার সে জ্বরে আক্রান্ত হয়। আজ মঙ্গলবার ভোর পাঁচটার দিকে পৌর সদরের জেনারেল হাসপাতাল থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে নেওয়ার পথে সে মারা যায়।
আশরাফুর রহমান ওই এলাকার মিজানুর রহমানের একমাত্র ছেলে। সে সীতাকুণ্ড আলিয়া মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। চলতি বছরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে সীতাকুণ্ডে এই প্রথম একজন মারা গেল।
আশরাফুর রহমানের দাদা এম এ আলীম আলী প্রথম আলোকে বলেন, গত শুক্রবার তাঁর নাতির জ্বর আসে। সামান্য ব্যথাও ছিল। জ্বর কমছে না দেখে রোববার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান তাঁরা। সেখানে রক্ত পরীক্ষায় ডেঙ্গু ধরা পড়ে। এরপর আশরাফুরকে পৌর সদরের জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। গতকাল সোমবার রাতে তার অবস্থার অবনতি হয়। আজ ভোর পাঁচটার দিকে সে মারা যায়। দুপুরে মডেল মসজিদ এলাকায় জানাজার নামাজ শেষে ফকিরহাট নলুয়া দিঘি এলাকায় পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয় আশরাফকে।
জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আলতাফ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, তিনি হাসপাতালের দায়িত্বগত চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই কিশোর ভালো ছিল। আজ ভোর চারটার দিকে তার পাতলা পায়খানা ও খিঁচুনি হয়। এরপর তারা দ্রুত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন। সেখানে নেওয়ার পথে কিশোরটি মারা যায়।
সীতাকুণ্ডে আজ এক দিনেই ৬ জনের শরীরে ডেঙ্গু ভাইরাস শনাক্ত হয় বলে জানান উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আলতাফ হোসেন।