ওসির এসি কাণ্ড, তদন্তে সত্যতা পাওয়ায় বিভাগীয় ব্যবস্থার সুপারিশ
Published: 10th, April 2025 GMT
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শফিউদ্দিন খানের বিরুদ্ধে মামলার ভয় দেখিয়ে ঘুষ নেওয়ার কল রেকর্ড ফাঁসের ঘটনা তদন্তে অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে।
বুধবার (৯ এপ্রিল) গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, কাশিয়ানী থানার তৎকালীন ওসি বিরুদ্ধে করা তদন্ত প্রতিবেদন জমা হয়েছে। বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করে তদন্ত প্রতিবেদন পুলিশ হেডকোয়ার্টারে পাঠানো হবে।
এর আগে রবিবার (৬ এপ্রিল) ওসি মো.
কাশিয়ানী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. জাকির হোসেনের মুঠোফোনে কথপোকথনের ওই অডিও রেকর্ডটি মুহূর্তে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। খবরটি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ পায়।
এ ঘটনায় ৬ এপ্রিল ওসিকে প্রত্যাহার করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আবু সালেহ মো. আনসার উদ্দিনকে তদন্ত করে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়। তদন্ত শেষে ৮ এপ্রিল বিকেলে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন।
বাদল সাহা/এনএইচ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মাগুরায় শিশু ধর্ষণ-হত্যা মামলায় সাক্ষ্য ৩ চিকিৎসকের
মাগুরায় আট বছরের শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় চতুর্থ দিনের মতো সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল বুধবার জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালতে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।
এ দিন শিশুকে চিকিৎসা প্রদানকারী তিন চিকিৎসক সাক্ষ্য দেন। তারা হলেন– মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালের ডা. সোহাস হালদার, নাকিবা সুলতানা এবং ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডা. ইসরাত জাহান। তারা সবাই শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়েছিল মর্মে সাক্ষ্য প্রদান করেন।
এর আগে সকালে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে মামলার ৪ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। বাদীপক্ষের আইনজীবী ও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি মনিরুল ইসলাম মুকুল জানান, বিগত চার কার্যদিবস একটানা সাক্ষ্য গ্রহণ চলেছে। এ নিয়ে মোট ১৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। মামলায় মোট ৩৭ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হবে। আগামী রোববার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাদে অন্য সব সাক্ষী সাক্ষ্য দেবেন। বুধবার আসামিপক্ষের আইনজীবী স্বাধীনভাবে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন। তিনি আদালতে আসামিরা নির্দোষ বলে যুক্তি উপস্থাপন করেন। আসামিরাও নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছেন।
বেড়াতে এসে ৬ মার্চ রাতে মাগুরা সদরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের শ্বশুর হিটু শেখের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয় ৮ বছরের শিশুটি। এই ধর্ষণের ঘটনা দেশজুড়ে ক্ষোভের সৃষ্টি করে। মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ঘুরে ঢাকা সিএমএইচে তাকে ভর্তি করা হয়েছিল। ১৩ মার্চ শিশুটি সেখানে মারা যায়। এ ঘটনায় শিশুটির মা আয়েশা আক্তার বড় মেয়ের শ্বশুর হিটু শেখসহ চারজনকে আসামি করে মাগুরা সদর থানায় মামলা করেন। রিমান্ডে হিটু শেখ ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে।