গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শফিউদ্দিন খানের বিরুদ্ধে মামলার ভয় দেখিয়ে ঘুষ নেওয়ার কল রেকর্ড ফাঁসের ঘটনা তদন্তে অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে।

বুধবার (৯ এপ্রিল) গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, কাশিয়ানী থানার তৎকালীন ওসি বিরুদ্ধে করা তদন্ত প্রতিবেদন জমা হয়েছে। বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করে তদন্ত প্রতিবেদন পুলিশ হেডকোয়ার্টারে পাঠানো হবে।

এর আগে রবিবার (৬ এপ্রিল) ওসি মো.

শফিউদ্দিন খানকে প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়। শনিবার (৫ এপ্রিল) মামলায় জড়িয়ে দেওয়ার ভয়ভীতি দেখানোর পর গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী থানার ওসি শফিউদ্দিনকে এসি কিনে দেওয়ার আড়াই মিনিটের একটি কলরেকর্ড ফাঁস হয়।

কাশিয়ানী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. জাকির হোসেনের মুঠোফোনে কথপোকথনের ওই অডিও রেকর্ডটি মুহূর্তে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। খবরটি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ পায়।

এ ঘটনায় ৬ এপ্রিল ওসিকে প্রত্যাহার করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আবু সালেহ মো. আনসার উদ্দিনকে তদন্ত করে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়। তদন্ত শেষে ৮ এপ্রিল বিকেলে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। 

বাদল সাহা/এনএইচ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর তদন ত

এছাড়াও পড়ুন:

পাল্টাপাল্টি হামলার তীব্রতা বাড়ল

ইরান ও ইসরায়েলের পাল্টাপাল্টি হামলা ঘিরে আরও অশান্ত হয়ে উঠেছে মধ্যপ্রাচ্য। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে হামলার তীব্রতা বাড়াচ্ছে দুই দেশ। ইসরায়েলে গত শনিবার রাতভর ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন। একই রাতে ইরানের গ্যাসক্ষেত্র ও তেল শোধনাগারে বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এ হামলায় ইরানের কতজন নিহত হয়েছে, তা সুনির্দিষ্টভাবে জানা যায়নি।

গতকাল রোববার ছিল দুই দেশের পাল্টাপাল্টি হামলার তৃতীয় দিন। শনিবার রাতের পর রোববার দিনের বেলায়ও পাল্টাপাল্টি হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল ও ইরান। এদিন ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কথা জানিয়েছে ইয়েমেনের সশস্ত্র

গোষ্ঠী হুতি। চলমান সংঘাতে এই প্রথম ইরানপন্থী কোনো গোষ্ঠী যোগ দিল। এমন পরিস্থিতিতে দুই দেশকে শান্ত করার জন্য প্রচেষ্টা শুরু করেছে বিভিন্ন দেশ।

গতকাল রাত একটায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা চলছিল। এ রাতেও তেহরানের নিয়াভারান, ভালিয়াসর ও হাফতে তির স্কয়ার এলাকায় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। ইরানের পূর্বাঞ্চলে মাশহাদ বিমানবন্দরে একটি ‘রিফুয়েলিং’ উড়োজাহাজে আঘাত হানার কথা জানায় ইসরায়েলি বাহিনী। এই উড়োজাহাজগুলো আকাশে থাকা অবস্থায় অন্য উড়োজাহাজে জ্বালানি সরবরাহ করতে সক্ষম। ইরান থেকেও ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার খবর পাওয়া গেছে।

ইসরায়েলে ব্যাপক হামলা ইরানের

ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি ঠেকানোর কথা বলে গত বৃহস্পতিবার রাতে দেশটিতে প্রথমে হামলা চালায় ইসরায়েল। ওই রাতে ইসরায়েলের দুই শতাধিক যুদ্ধবিমান ইরানের ‘পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র’ স্থাপনায় আঘাত হানে। শুক্র ও শনিবারও ইরানে হামলা চলে। পাল্টা জবাব দিচ্ছে তেহরানও। তবে ইসরায়েলে শনিবার রাতভর ইরান যে হামলা চালিয়েছে, তা ছিল সবচেয়ে ব্যাপক।

ইসরায়েলে শনিবার প্রথম দফায় ইরানের হামলা শুরু হয় রাত ১১টার পরপর। এ সময় ইসরায়েলের জেরুজালেম ও হাইফা শহরে বেজে ওঠে সাইরেন। হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় হাইফায় অবস্থিত তেল শোধনাগার। পরে রাত আড়াইটার দিকে দ্বিতীয় দফায় হামলা শুরু করে ইরান। তখন তেল আবিব ও জেরুজালেমে বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, শনিবার রাতে দুই দফায় ৭৫টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরান। প্রথম দফায় ছোড়া হয় ৪০টি। এতে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলের তামরা শহরে চারজন নিহত হন। দ্বিতীয় দফায় ছোড়া হয় ৩৫টি ক্ষেপণাস্ত্র। এর একটি আঘাত হানে তেল আবিবের কাছে বাত ইয়াম এলাকায়। এতে অন্তত ছয়জন নিহত ও প্রায় ২০০ জন আহত হন। এ ছাড়া রেহভোত শহরে আহত হয়েছেন ৪০ জন।

ইসরায়েলি হামলায় জ্বলছে ইরানের শাহরান তেলের ডিপো। গতকাল দেশটির রাজধানী তেহরানের কাছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ