ডিপিএলে ফিক্সিং সন্দেহ, তদন্তে নেমেছে বিসিবি
Published: 10th, April 2025 GMT
ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের (ডিপিএল) ফিক্সিং সন্দেহ জোরদার হয়েছে একটি ম্যাচে। গুলশান ক্রিকেট ক্লাব ও শাইনপুকুরের ম্যাচকে ঘিরে ওঠা সেই সন্দেহ এবার গড়িয়েছে তদন্তে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) দুর্নীতি দমন ইউনিট (এসিইউ) ও লিগ কমিটি মিলে তদন্তের কাজ শুরু করেছে।
ঘটনা বুধবারের (০৯ এপ্রিল)। মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছিল গুলশান ক্রিকেট ক্লাব ও শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব। ম্যাচে শাইনপুকুরের দুটি আউট জন্ম দিয়েছে সন্দেহের। এর মধ্যে রহিম আহমেদের স্টাম্পড আউট জন্ম দিয়েছে আলোচনার।
দুটি আউটের জের ধরেই সন্দেহের ভিত্তিতে বিসিবি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নিজেদের স্বচ্ছ অবস্থান জানিয়েছে। দেশের ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থার ভাষ্য, ‘‘খেলাধুলার স্বচ্ছতা ও শুদ্ধতার প্রতি বিসিবি অঙ্গীকারাবদ্ধ। যেকোনো ধরনের দুর্নীতি কিংবা আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে বোর্ড জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে।’’
আরো পড়ুন:
জয়ে ফিরে সুপার লিগে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স
দলকে জিতিয়েও সোহানের ৩ রানের আক্ষেপ
আজই তদন্তের অংশ হিসেবে মিরপুরে ডাকা হয়েছিল শাইনপুকুরের দুই ক্রিকেটার রহিম আহমেদ ও মিনহাজুল আবেদীন সাব্বিরকে। এই দুজন স্টেডিয়ামের একাডেমি মাঠে উপস্থিত হয়ে বিসিবি কর্মকর্তাদের সামনে বিতর্কিত স্টাম্পিংয়ের সেই ঘটনা পুনরায় মঞ্চায়ন করে দেখান। দুই পাশে দুটি ক্যামেরায় সেই দৃশ্য ধারণ করা হয়।
উল্লেখ্য, দুটি আউটের মধ্যে প্রথমটি ছিলেন রহিম আহমেদ। ফার্স্ট স্লিপ থেকে ব্যাট নামিয়ে লেগ সাইডে খেলতে চাইলেন এই ব্যাটার। তবে নিহাদুজ্জামানের বলটা টার্ন করে বেরিয়ে গেল। অবস্থা দেখে মনে হলো, বলটা কিপারের গ্লাভসে যেতে দিতেই যেন ডাউন দ্য উইকেটে উঠে এলেন রহিম
দ্বিতীয় আউটটি ঘিরেই যত সন্দেহের ডালপালা। নাঈম ইসলামের বলটা এগিয়ে এসে খেলতে গিয়ে মিস করেন মিনহাজুল। কিপার বল ধরতে দেরি করে ফেলেন। ব্যাটারের সামনে মোক্ষম সুযোগ অনায়াসে পপিং ক্রিজ ছুঁয়ে ফেলার। সেটা করতেও গিয়েছিলেন। পরক্ষণেই কি ভেবে যেন আবার ব্যাট সরিয়ে নিলেন! ডালভাতের মতো সুযোগ পেয়ে স্টাম্পের বেলস দুটো উড়িয়ে দিলেন কিপার।
ঢাকা/রিয়াদ/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর শ ইনপ ক র তদন ত
এছাড়াও পড়ুন:
হাঁসপায়া তক্ষক উদ্ধার চক্রের ৯ সদস্য গ্রেপ্তার
কলমাকান্দায় ‘কোটি টাকার’ হাঁসপায়া তক্ষকসহ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পাচার কাজে ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাসও জব্দ করা হয়েছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা আন্তর্জাতিক বন্যপ্রাণী পাচার চক্রের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
গতকাল রোববার ভোরে কলমাকান্দা ইউনিয়নের চিনাহালা মোড়ে পুলিশের চেকপোস্টে এ অভিযান চালানো হয়। কলমাকান্দা থানার এসআই আবু হানিফার নেতৃত্বে একটি সন্দেহভাজন মাইক্রোবাসে তল্লাশির সময় প্লাস্টিকের ঝুড়িতে কালো-খয়েরি রঙের বিরল প্রজাতির হাঁসপায়া তক্ষক পাওয়া যায়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তক্ষক পাচার বিষয়ে কোনো সন্তোষজনক ব্যাখ্যা দিতে না পারায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলো– নরসিংদীর শফিকুল ইসলাম, তানভীর হাসান, শাকিল মিয়া, এসএম শিবলুর রহমান, নুরুল ইসলাম, আছমত আলী, আব্দুল আজিজ, ফয়সাল, বরিশালের আব্দুল জলিল। এ ছাড়া স্থানীয় আলম, খালেক ও সুমন নামে তিনজনের বিরুদ্ধে সহযোগিতার অভিযোগ রয়েছে।
কলমাকান্দা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ লুৎফর রহমান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে বন্যপ্রাণী পাচার চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ আরও জানায়, আন্তর্জাতিক বাজারে এই বিরল প্রাণীর মূল্য কোটি টাকার ওপরে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এ ধরনের প্রাণী পাচারে সক্রিয় রয়েছে আন্তর্জাতিক চক্র।