মঙ্গল গ্রহে স্পেসএক্সের রকেট পাঠানোর সম্ভাব্য সময় জানালেন ইলন মাস্ক
Published: 10th, April 2025 GMT
মঙ্গল গ্রহে মানববসতি গড়তে ভীষণ আগ্রহী স্পেসএক্স, টেসলাসহ খুদে ব্লগ লেখার সাইট এক্সের (সাবেক টুইটার) মালিক ইলন মাস্ক। মঙ্গল গ্রহে যে করেই হোক মানববসতি তৈরি করতে চান তিনি। শুধু তা-ই নয়, ২০৫৪ সালের মধ্যে মঙ্গল গ্রহে ১০ লাখ মানুষের বসবাসের উপযোগী শহর তৈরির পরিকল্পনার কথাও ইতিমধ্যে জানিয়েছেন আলোচিত এই মার্কিন প্রযুক্তি উদ্যোক্তা। এ নিয়ে বিস্তর সমালোচনা হলেও দমে যাওয়ার পাত্র নন তিনি। আর তাই এবার এক্সে দেওয়া একটি পোস্টে মঙ্গল গ্রহে স্পেসএক্সের স্টারশিপ রকেট পাঠানোর সম্ভাব্য সময় জানিয়েছেন ইলন মাস্ক।
মঙ্গল গ্রহে চলা কিউরিওসিটি রোভারের একটি পোস্ট শেয়ার করে এক্সে ইলন মাস্ক জানিয়েছেন, স্টারশিপ আগামী বছরের শেষের দিকে অপটিমাস এক্সপ্লোরার রোবট নিয়ে মঙ্গলের উদ্দেশে রওনা দেবে বলে আশা করা হচ্ছে। এর আগে আরেক ঘোষণায় মাস্ক স্পেসএক্সের মঙ্গল মিশনের জন্য উচ্চাভিলাষী সময়সূচি প্রকাশ করেছিলেন। সে সময়সূচি অনুযায়ী, রোবট অবতরণ সফল হলে ২০২৯ সালের প্রথম দিকে মঙ্গল গ্রহে মানুষ পাঠানো শুরু হতে পারে। যদিও তাঁর ভাষ্যে, ২০৩১ সালই হচ্ছে মঙ্গলজয়ের বাস্তবসম্মত সময়।
আরও পড়ুনমানুষ কি আদৌ মঙ্গল গ্রহের প্রতিকূল পরিবেশে টিকে থাকতে পারবে২৭ নভেম্বর ২০২৪সম্প্রতি স্টারশিপের একটি রকেট পরীক্ষার সময় বিস্ফোরিত হয়। এর ফলে স্পেসএক্সের মাধ্যমে মঙ্গল গ্রহে ইলন মাস্কের মানববসতি তৈরির উচ্চাকাঙ্ক্ষা কিছুটা পিছিয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু সেই ব্যর্থতা পেছনে ফেলে মঙ্গল গ্রহে স্পেসএক্সের স্টারশিপ রকেট পাঠানোর সম্ভাব্য সময় জানালেন ইলন মাস্ক।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
আরও পড়ুনমঙ্গল গ্রহে নতুন বছর কবে থেকে শুরু হয়েছে জানেন২১ নভেম্বর ২০২৪.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স প সএক স র ইলন ম স ক এক স র
এছাড়াও পড়ুন:
ইরানে হামলা: ট্রাম্প ৬০ দিনের সময়সীমার কথা বলছেন, সেটি কী?
ইরানকে ৬০ দিনের সময় বেঁধে (আলটিমেটাম) দিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সময়সীমা শেষ হওয়ার পরদিনই দেশটিতে ভয়াবহ হামলা চালাল যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র ইসরায়েল। আজ শুক্রবার ট্রাম্প নিজেই ওই সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার কথা জানান।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের খবরে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প চলতি বছরের শুরুর দিকে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন। সেই চিঠিতে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি থেকে সরে আসার বিষয়ে একটি চুক্তিতে রাজি হতে চাপ দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। চুক্তিতে পৌঁছাতে ওয়াশিংটন–তেহরান আলোচনা সফল করতে ৬০ দিনের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল সেই চিঠিতে।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে ইরান চুক্তি নিয়ে প্রথম দফার আলোচনা ১২ এপ্রিল শুরু হয়েছিল। সেদিন থেকেই এই ৬০ দিনের সময়সীমা গণনা শুরু হয়। সেই সময়সীমা শেষ হওয়ার পরদিন গতকাল বৃহস্পতিবার ১২ জুন ইসরায়েল হামলা চালাল ইরানের অন্তত ৮টি শহরে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আজ সিএনএনের সাংবাদিক ডানা বাসকে বলেন, ‘আমার কথা শোনা উচিত ছিল ইরানের। যখন আমি বলেছিলাম—আপনি জানেন, আমি ওদের ৬০ দিনের এক সতর্কবার্তা দিয়েছিলাম, আপনি জানেন কি না, জানি না, কিন্তু আমি ওদের ৬০ দিনের সময়সীমা দিয়েছিলাম, আর আজ ৬১তম দিন।’
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা খামেনির উদ্দেশে পাঠানো চিঠির প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ট্রাম্প ইরানকে সম্ভাব্য সামরিক অভিযানের বিষয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন।
বছরের শুরুর দিকে ফক্সনিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে চিঠির প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘আমি আশা করি, ইরান আলোচনায় আসবে—আমি তাদের চিঠি লিখে জানিয়েছি, আমি আশা করি, তোমরা আলোচনা করবে। কারণ, আমাদের যদি সামরিকভাবে হস্তক্ষেপ করতে হয়, তাহলে সেটা ইরানের জন্য ভয়াবহ হবে।’
ট্রাম্প বলেন, ‘আমি বলেছিলাম, আমি আশা করি, তোমরা আলোচনা করবে। কারণ, সেটা ইরানের জন্য অনেক ভালো হবে।’
ইরানের সঙ্গে চুক্তির বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা এবং আলোচনায় জড়িত ব্যক্তিরা জানতেন যে সময়সীমা ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য চাপ ক্রমেই বাড়ছিল। তবে মার্কিন কর্মকর্তারা আগে বলেছিলেন, ৬০ দিনের সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও আলোচনা চলবে। কিন্তু এখন ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির ওপর হামলা চালানোর পর এই আলোচনার ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে—যদিও মার্কিন কর্মকর্তারা আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে জোর দিচ্ছেন।