রংপুরের গঙ্গাচড়ায় আওয়ামী লীগের দুই নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। তবে তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। পুলিশ বলছে, তাঁরা দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করার পাঁয়তারা করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

আটক দুই নেতা হলেন গঙ্গাচড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বুলবুল আহমেদ ও উপজেলার বেদগাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আখতারুজ্জামান মানিক।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে গঙ্গাচড়া বাজার থেকে বুলবুল আহমেদকে আটক করে গঙ্গাচড়া মডেল থানা-পুলিশ। আখতারুজ্জামানকে রাতে ১০টার দিকে বেদগাড়ী বাজার থেকে আটক করা হয়।

গঙ্গাচড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আল এমরান প্রথম আলোকে বলেন, পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে এই দুই নেতাকে আটক করেছে। তাঁদের বিরুদ্ধে পুরোনো কোনো মামলা নেই। তবে তাঁদের বিরুদ্ধে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির পাঁয়তারার অভিযোগ আছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

সাবেক বিএনপি নেতা ও লঞ্চ যাত্রীদের পাল্টাপাল্টি হামলা, আহত ১০

বরিশালের হিজলায় লঞ্চের ডেকে যাত্রীদের চাদর বিছানো নিয়ে বিরোধের জেরে সাবেক বিএনপি নেতা ও লঞ্চ যাত্রীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ১০ যাত্রী আহত হয়েছেন। সোমবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার শৌলা লঞ্চঘাটে এই ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত বিএনপি নেতার নাম খালেক মাঝি। তিনি হরিণাথপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক।

যাত্রী ও লঞ্চ কর্মচারীরা জানান, সোমবার সকাল ৮টায় মুলাদীর মৃধারহাট থেকে এমভি জানডা নামক একটি লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। লঞ্চটি ৯টায় হিজলার শৌলা লঞ্চঘাটে ভেড়ে। এ স্টেশন থেকে ওঠা যাত্রীরা লঞ্চের ডেকে বসার চেষ্টা করেন। এ সময় ডেকে আগে বিছিয়ে রাখা চাদরে জায়গা পেতে যাত্রীপ্রতি এক হাজার টাকা দাবি করেন খালেক ও তাঁর সহযোগীরা। এ নিয়ে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে যাত্রীদের ওপর হামলা করা হয়। এতে ১০ জন যাত্রী আহত হন। তখন যাত্রীরা সংঘবদ্ধ হয়ে খালেক ও তাঁর সহযোগীদের ওপর পাল্টা হামলা করেন।

অভিযোগ অস্বীকার করে খালেক মাঝি বলেন, লঞ্চের মধ্যে গোলযোগ দেখে তিনি তা থামাতে গিয়েছিলেন। এ সময় লঞ্চের যাত্রীরা তাঁর ওপর হামলা করেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক লঞ্চ কর্মচারী জানিয়েছেন, শৌলা লঞ্চঘাট খালেক মাঝিকে চাঁদা না দিলে সাধারণ যাত্রীরা ডেকে বসতে পারেন না। তারা খালেক মাঝির কাছে অনেকটা জিম্মি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ