আজ শুরু হতে যাওয়া পিএসএলের (পাকিস্তান সুপার লিগ) প্রতি বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের আলাদা নজর থাকবে। কারণ, এবার যে বাংলাদেশের তিন ক্রিকেটার খেলছেন পাকিস্তানের এ ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে। এরমধ্যে লেগস্পিনার রিশাদের দল লাহোর কালান্দার্সের ম্যাচ রয়েছে আসরের প্রথম দিনেই।

নিলামে দল পাওয়া বাংলাদেশি এই লেগ স্পিন অলরাউন্ডার লাহোরের একাদশে সুযোগ পান কিনা সেটাই দেখার অপেক্ষায় থাকবেন বাংলাদেশের ক্রিকেট ভক্তরা। যদিও লাহোরের দল দেখে ধারণা পাওয়া যায় টিম ম্যানেজমেন্টের পরিকল্পনায় রিশাদ ভালো মতোই আছেন।

নেটে তাঁর স্পিনে লাহোরের ব্যাটারদের ভালো চ্যালেঞ্জে পড়তে দেখা গেছে। দুইবার সতীর্থ ব্যাটারকে বোল্ড করতেও দেখা গেছে তাঁকে। লাহোরে রিশাদই একমাত্র লেগস্পিনার। ব্যাটিং অলরাউন্ডার সিকান্দার রাজা ছাড়া দলে দু’জন বাঁহাতি স্পিনার আছেন। এরমধ্যে ৩৮ বছর বয়সী আসিফ আফ্রিদি নিজের সেরা সময় পার করে এসেছেন। ১৮ বছর বয়সী মুমিন কমরেরও প্রথম একাদশে থাকার সম্ভাবনা কম।

রাসেল ডমিঙ্গো লাহোরের কোচ বলেও কিছুটা সুবিধা পেতে পারেন রিশাদ। ব্যাট হাতে তাঁর বিধ্বংসী হয়ে ওঠার ক্ষমতা সম্পর্কে বেশ ভালোভাবেই অবগত বাংলাদেশের সাবেক এ প্রোটিয়া কোচ। রিশাদ যে দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য সেটি টিম হোটেলে তাঁকে বরণ করে নেওয়ার মধ্যে বোঝা গেছে। দলের অধিনায়ক শাহিন আফ্রিদি ও সিকান্দার রাজাকে নিয়ে মাঝরাতে রিশাদের সঙ্গে হোটেল রুমে দেখা করতে আসেন লাহোর ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিক ও টিম ডিরেক্টর সামিন রানা। এ ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ারও করেছে লাহোর কর্তৃপক্ষ।

পিএসএলে থাকা বাকি দুই বাংলাদেশি হলেন লিটন দাস। যিনি করাচি কিংসে খেলবেন। পেসার নাহিদ রানা যাবেন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট খেলে। যে কারণে পেশোয়ার জালমি তরুণ এ গতি তারকাকে প্রথম পাঁচ ম্যাচে পাবে না। পিএসএল খেলতে গত সোমবার ঢাকা ছেড়ে যান লিটন ও রিশাদ।

করাচি কিংসের অনুশীলনে লিটনকেও ফুরফুরে মেজাজে দেখা গেছে। গতকাল করাচির প্রস্তুতি ম্যাচের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এসেছে। সেখানে অস্ট্রেলিয়ান তারকা ডেভিড ওয়ার্নার ব্যাটিং এবং লিটন উইকেটকিপিং করছিলেন। লিটন বিদ্যুৎগতিতে একটি স্টাম্পিংও করেন। তবে লিটনের একাদশে জায়গা পাওয়াটা একটু কঠিন হবে। করাচিতে আরও একজন বিদেশি উইকেটকিপার ব্যাটার আছেন, তিনি হলেন কিউই ব্যাটার টিম সেইফার্ট। এছাড়া বিদেশি ব্যাটার হিসেবে ডেভিড ওয়ার্নারর ছাড়াও আছেন কেইন উইলিয়ামসন ও জেমস ভিন্স।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প এসএল ল টন দ স প এসএল প রথম

এছাড়াও পড়ুন:

ভেনেজুয়েলার সঙ্গে যুদ্ধে জড়াবে না যুক্তরাষ্ট্র: ট্রাম্প

ভেনেজুয়েলার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধের সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিকোলাস মাদুরোর দিন ফুরিয়ে এসেছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন। খবর বিবিসির। 

ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধ করতে যাচ্ছে কিনা জানতে চাইলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট সিবিএস নিউজের ৬০ মিনিটসকে বলেন, “আমার সন্দেহ রয়েছে। আমার মনে হয় না। কিন্তু তারা আমাদের সঙ্গে খুব খারাপ আচরণ করছে।”

আরো পড়ুন:

ক্যারিবীয় জাহাজে আবারো যুক্তরাষ্ট্রের হামলা, নিহত ৩

নাইজেরিয়ায় হামলার হুমকি ট্রাম্পের

ক্যারিবীয় অঞ্চলে মাদক চোরাচালানের অভিযোগে নৌযানগুলোতে মার্কিন হামলা অব্যাহত থাকার মধ্যে ট্রাম্পের এই মন্তব্য এলো। ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি, যুক্তরাষ্ট্রে মাদকের প্রবাহ বন্ধ করার জন্য এই হামলা প্রয়োজনীয়।

ট্রাম্প এমন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন যে, ক্যারিবীয় সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক অভিযান মাদক বন্ধ করার লক্ষ্যে নয়, বরং ট্রাম্প বিরোধী মাদুরোকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, এটি ‘অনেক কিছু’ সম্পর্কে।

বিবিসির মার্কিন নিউজ পার্টনার সিবিএস নিউজ জানিয়েছে, সেপ্টেম্বরের শুরু থেকে ক্যারিবীয় ও পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরে মার্কিন হামলায় কমপক্ষে ৬৪ জন নিহত হয়েছে।

সম্প্রতি ফ্লোরিডার মার-এ-লাগোতে এক বক্তব্যে ট্রাম্প বলেন, “মার্কিন হামলায় আপনি যেসব নৌযানে বিস্ফোরণ হতে দেখেন, তার প্রতিটিতে অন্তত ২৫ হাজার মাদকদ্রব্য ধ্বংস হয়। এগুলো যুক্তরাষ্ট্রে মাদক সরবরাহের জন্য দায়ী।”

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র স্থলপথে ভেনেজুয়েলায় হামলার পরিকল্পনা করছে কিনা, এই প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প তা উড়িয়ে দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বলেন, “আমি এটা বলতে চাই না যে আমি এটা করব...আমি ভেনেজুয়েলার সাথে কী করব, আমি তা করব কিনা, তা আমি বলব না।”

ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট মাদুরো ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ‘অঘোষিত যুদ্ধ’ শুরু করার অভিযোগ তুলেছেন। অন্যদিকে কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রোর অভিযোগ, নৌযানগুলোতে হামলা চালানোর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র লাতিন আমেরিকায় ‘আধিপত্য বিস্তার’ করার চেষ্টা করছে।

ট্রাম্প জানান, তার সরকার ‘সারা বিশ্ব থেকে’ সন্ত্রাসীদের যুক্তরাষ্ট্রে ‘আসতে’ দেবে না।

তিনি বলেন, “তারা কঙ্গো থেকে আসে, তারা সারা বিশ্ব থেকে আসে, তারা আসছে, কেবল দক্ষিণ আমেরিকা থেকে নয়। তবে বিশেষ করে ভেনেজুয়েলা- খারাপ। তাদের গ্যাং আছে।”

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্দিষ্ট করে ভেনেজুয়েলার ‘ট্রেন দে আরাগুয়ার’ নাম উল্লেখ করেন। তিনি এটিকে ‘বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ গ্যাং’ হিসেবে অভিহিত করেন।

জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউজে ফিরে আসার পর থেকে, ট্রাম্প প্রশাসন মেক্সিকো এবং ল্যাটিন আমেরিকার বেশ কয়েকটি মাদক পাচারকারী সংগঠন ও অপরাধী গোষ্ঠীকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ভেনেজুয়েলার ট্রেন দে আরাগুয়া এবং কার্টেল অব দ্য সানস, যেটি যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট মাদুরো ও তার ঘনিষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তারা পরিচালনা করে। তবে কারাকাস সরকার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ