সেই ‘ক্রিম আপা’কে কারাগারে আটক রাখার আবেদন
Published: 11th, April 2025 GMT
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশি ভিউ পেতে বা অনলাইন থেকে টাকা আয়ের জন্য সন্তানদের ওপর ‘নির্যাতন চালানোর’ ভিডিও বানিয়ে ভাইরাল হওয়ার অভিযোগে ‘ক্রিম আপা’ খ্যাত কন্টেন্ট ক্রিয়েটর শারমিন শিলাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১১এপ্রিল) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (নিরস্ত্র) ওমর ফারুক তাকে আদালতে হাজির করে এই আবেদন করেন। তাকে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়েছে।
শারমিন শিলার পক্ষে আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেছেন।
আরো পড়ুন:
হবিগঞ্জে হত্যা মামলায় ৪ আসামির মৃত্যুদণ্ড
নড়াইলে হত্যা মামলায় একজনের যাবজ্জীবন
ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জিনাত জাহানের আদালতে জামিনের বিষয়ে শুনানি হবে।
বুধবার (৯ এপ্রিল) আশুলিয়া থানায় শারমিন শিলার বিরুদ্ধে মামলা করেন সাভার উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা কাজী ইসরাত জামান। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকার সাভার উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে আশুলিয়া থানার পুলিশ।
মামলার বর্ণনা অনুযায়ী, শারমিন শিলা একজন বিউটিশিয়ান। তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘ক্রিম আপা’ নামে পরিচিত। মূলত মেক-আপের কাজ করেন এবং বিভিন্ন রকম ক্রিম তৈরি করে বিক্রি করেন তিনি। তার পরিবারে এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। তিনি ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে ভিডিও তৈরি করে ফেসবুকসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে পোস্ট করেন। গত ৩ মার্চ বিকাল ৪টায় তার ফেসবুক আইডির একটি ভিডিও ভাইরাল হয়।
সেই ভিডিওতে দেখা যায়, শারমিন তার মেয়েকে জোর করে মুখে খাবার দিচ্ছেন। মেয়েটি খেতে না চাইলে এক হাতে মুখে চাপ দিয়ে, অন্য হাতে কেক জাতীয় খাবার মুখে ঢোকাচ্ছেন তিনি। ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
এজাহারে বলা হয়েছে, শারমিন শিলা মাতৃসুলভ আচরণ না করে সন্তানদের প্রতি নিষ্ঠুর ব্যবহার করছেন, যা তাদের শারীরিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। এমন আচরণ শিশু আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
শিশুদের অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন ‘একাই একশো’ গত ৬ এপ্রিল ঢাকা জেলা প্রশাসকের কাছে শারমিনের বিরুদ্ধে স্মারকলিপি দেয়। পরে জেলা প্রশাসন তিন দিনের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেয়।
সমালোচনার মুখে পড়ে শারমিন শিলা ফেসবুক লাইভে এসে দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চান এবং জানান, ভবিষ্যতে এমন ভিডিও আর করবেন না।
তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, ক্ষমা চাইলেও শিশু নির্যাতনের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
ঢাকা/মামুন/রাসেল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
নারীরা কেন পুরুষদের তুলনায় বেশিবার প্রস্রাব করেন?
একজন পুরুষ মূত্রথলিতে অনায়াসে ৪০০ থেকে ৬০০ মিলিলিটার প্রস্রাব ধারন করতে পারে। একজন নারীরও এই সক্ষমতা রয়েছে। তারপরেও নারীরা পুরুষের চেয়ে বেশিবার প্রস্রাব করে। এর পেছনে বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে।
চিকিৎসকদের মতে, ‘‘মূত্রথলির ধারণ ক্ষমতা এক হলে এর চারপাশে যেসব অঙ্গ থাকে, তা প্রস্রাব লাগার অনুভূতিতে পার্থক্য তৈরি করে। আর এখান থেকেই নারী ও পুরুষের মূত্রথলির পার্থক্যের শুরু।পুরুষদের ক্ষেত্রে দেখা যায়, মূত্রথলি প্রোস্টেটের ওপরে এবং রেকটামের (মলদ্বারের) সামনে থাকে। আর নারীদের ক্ষেত্রে এটি একটি অপেক্ষাকৃত সংকীর্ণ পেলভিক অঞ্চলে থাকে।’’
নারীরা গর্ভাবস্থায় বার বার প্রস্রাব করেন। এই সময়ে জরায়ু মূত্রথলিকে চেপে ধরে। আর সেকারণেই শেষ তিন মাসে নারীদের প্রায় প্রতি ২০ মিনিট পরপর বাথরুমে যেতে হয়।
আরো পড়ুন:
প্রতিদিন এন্টাসিড খাচ্ছেন? কোন কোন রোগ হতে পারে জেনে নিন
যেসব রোগ থাকলে ডাবের পানি পান করা উচিত নয়
বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে, নারীরা তুলনামূলকভাবে কম প্রস্রাব জমলেই মূত্রথলি ভর্তি হওয়ার অনুভব পেতে পারেন। এর কারণ হরমোনের প্রভাব। তাছাড়া সংবেদনশীলতার কারণেও এমন হয়।
নারীদের ক্ষেত্রে সন্তান প্রসব, হরমোন পরিবর্তন এবং বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে এই পেশিগুলো দুর্বল হয়ে যেতে পারে। তখন নারীদের মূত্রথলির ‘ধরে রাখা’ ও ‘ছাড়ার’ মধ্যে নিয়ন্ত্রণের ভারসাম্য নষ্ট হয়।মূত্রনালীর শেষপ্রান্তে থাকা স্পিঙ্কটার নামের পেশিটি তার শক্তি হারাতে পারে বলে বার বার প্রস্রাব হতে পারে।
নারীরা ঘর থেকে বের হওয়ার আগে ইচছাকৃতভাবে প্রস্রাব করেন। যাতে বাইরে গেলে পাবলিক টয়লেট ব্যবহার করতে না নয়। এটা এক রকম সংস্কৃতি। এমনকি ছোট শিশু মেয়েকেও এই শিক্ষাই দেওয়া হয়। যার ফলে এক ধরণের সংবেদনশীলতা তৈরি হয়ে যায়। এই সংবেদনশীলতাও বার বার প্রস্রাব হওয়ার একটি কারণ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘‘পুরুষের চেয়ে নারীর বার বার প্রস্রাব হওয়ার পেছনে ইচ্ছাশক্তির দুর্বলতা বা ছোট মূত্রথলির ব্যাপার নেই। বরং এটি শরীরের গঠন, অভ্যাস আর হরমোনের প্রভাবে হয়ে থাকে।’’
তথ্যসূত্র: বিবিসি
ঢাকা/লিপি