খুলনার দিঘলিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও দিঘলিয়া সদর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোল্লা ফিরোজ হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে দিঘলিয়া থানা পুলিশ। শুক্রবার দুপুরে দিঘলিয়া গ্রামের বাড়ি থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
দিঘলিয়া থানার ওসি এইচ এম শাহীন জানান, ফিরোজ মোল্লা ২০২৪ সালের ৯ সেপ্টেম্বর হওয়া একটি মামলার এজহারভুক্ত আসামি। ২০২২ সালের ২২ অক্টোবর ডাকবাংলো চত্বরে বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সমাবেশে যোগ দিতে ফুলতলা উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা ট্রলারযোগে যাওয়ার সময় দিঘলিয়ার চন্দনীমহল কাটাবন এলাকায় তাদের ওপর হামলা হয়। ওই হামলার ঘটনায় ফুলতলা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক কাজী আনোয়ার হোসেন বাবু বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
ওসি জানান, ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ফিরোজ মোল্লাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে বাগেরহাটের মোংলার আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল জলিল শিকদারকে শুক্রবার সকালে নগরীর নিউমার্কেট সংলগ্ন একটি বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ। তার বিরুদ্ধে মোংলা থানায় মামলা রয়েছে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
কার্টুন, মিমে অভ্যুত্থানের ভিন্ন ধারার দৃশ্যায়ন
টাকার বস্তার ভেতর থেকে মাথা উঁচিয়ে আছেন শুভ্র কেশ, সফেদ দাড়ি, চশমা পরিহিত এক লোক। তাঁর ছবি দেখে তো বটেই, এই বর্ণনা থেকেও তাঁকে চিনবেন দেশবাসী। বর্তমানে কারাগারের বাসিন্দা পতিত স্বৈরশাসকের এই উপদেষ্টা বলছেন, ‘টাকার ওপর আমার বিশ্বাস উঠে গেছে।’ এই ছবির পাশেই এক কাটআউট। সেখানে ‘শেখ হাসিনা পালায় না’ বলতে বলতে দৌড়ে পালাচ্ছেন ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতার মসনদ থেকে উৎপাটিত শেখ হাসিনা।
এমন মজার মজার কার্টুন, মিম, গ্রাফিতি, ভিডিও স্থাপনাকর্মসহ বৈচিত্র্যময় সৃজনসম্ভার নিয়ে শুরু হয়েছে ‘বিদ্রূপে বিদ্রোহ’ নামের ব্যতিক্রমী এক প্রদর্শনী। আয়োজন করেছে অনলাইনভিত্তিক স্যাটায়ার সাময়িকী ‘ইয়ারকি’। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ধানমন্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের লা গ্যালারিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে ছয় দিনের এ প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। সবার জন্য প্রতিদিন বেলা তিনটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত খোলা।
গত বছর ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে উত্তাল ছিল জুলাই। একটি বৈষম্যহীন, উদার গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য পথে নেমেছিলেন অগণিত মানুষ। শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকারকে উৎখাত করতে জীবন উৎসর্গ করেছেন তাঁদের অনেকে। আহত হয়েছেন বেশুমার। রক্তরঞ্জিত রাজপথ বেয়ে এসেছে জনতার বিজয়।
প্রদর্শনীতে প্রবেশপথটির দুই পাশে লাল রঙের পটভূমিতে বড় বড় ডিজিটাল পোস্টার। সেখানে ২ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিনের বিভিন্ন ঘটনার আলোকচিত্র, সংবাদপত্র, অনলাইন পোর্টাল, টেলিভিশনের রিপোর্ট, ছবি, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের পোস্ট—এসব তুলে আনা হয়েছে এ পোস্টারগুলোতে। প্রবেশপথটিও লাল রঙের। ‘জুলাই করিডর’ নামে এই রক্তিম পথটি বেয়ে দর্শনার্থীরা প্রদর্শনীতে প্রবেশের সময় অভ্যুত্থানের উত্তাল দিনগুলোর উত্তাপ ফিরে পাবেন।