দর্শক চাহিদা ক্রমেই বাড়ছে, ঈদের ১২ দিন পরও ‘দাগি’ হাউজফুল
Published: 12th, April 2025 GMT
গল্পের ছবি দাগি। সেই গল্পে প্রাণ দিয়েছেন আফরান নিশো, তমা মির্জাসহ একঝাক তারকা। ফলে ঈদুল ফিতরে মুক্তি পাওয়া অন্যতম ব্যবসায়িক ছবি হতে চলেছে এটি। যদিও প্রযোজক মুক্তির দ্বিতীয় দিনের মাথায় বলে দিয়েছেন দাগি সুপারহিট। মুক্তির ১২ দিন পরও তার আচ পাওয়া গেল। এখন সিনেমাটিরা হল বাড়ছে, দর্শক টানছে। প্রযোজক শাহরিয়ার শাকিল জানালেন, মুক্তির ১২ তম দিনে মাল্টিপ্লেক্সের সবগুলো শো হাউজফুল গিয়েছে দাগির।
প্রযোজক জানান জানান, ঈদের দিন থেকে মাল্টিপ্লেক্সে সিনেমাটির ৩৪টি শো চলছিল। একদিন যেতে না যেতেই আরো ১০টি শো বাড়ানো হয়। পরে আরও বাড়। ১২ তম দিনে এসে মাল্টিপ্লেক্সে তো ভরপুর শো চলছেই সেই সাথে ঢাকার বাইরের হলগুলোতেও দাগি দর্শক টানছে। আগামী সপ্তাহে ঢাকার বাইরেও দ্বিগুন হল বাড়বে বলে আমার বিশ্বাস।
এর আগে এক ঈদে 'পরাণ' ও 'হাওয়া' বেশ সাড়া ফেলেছিল। দর্শকরা খুব ভিড় করেছিলেন প্রেক্ষাগৃহে। তখনো ঈদকেন্দ্রিক ঢাকাই সিনেমা হঠাৎ ঘুরে দাঁড়িয়েছিল। বিরতির পর আবারও ঈদের সিনেমা দিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছে প্রেক্ষাপট। সেই প্রেক্ষাপটে দাগি দারুণভাবে এগিয়ে চলেছে।
দাগি সিনেমার অভিনেত্রী তমা মির্জা বলেন, আমাদের দেশে এখন অনেক ভালো ভালো সিনেমা নির্মাণ হচ্ছে। দর্শকরা ভালো গল্পের সিনেমা পেলে প্রেক্ষাগৃহে দেখতে যান। তার প্রমাণ বহুবার পাওয়া গেছে। 'দাগি' ঈদের প্রায় দুই সপ্তাহ পরও দারুণভাবে দর্শক টানছে। বিশেষ করে মাল্টিপ্লেক্সে দর্শকদের চাপ এখনও দারুণ। হাউজফুল যাচ্ছে সবগুলো শো।
এদিকে শনিবার স্টার সিনেপ্লেক্সের সবগুলো শাখায় খোজ নিয়ে জানা যায় আজ দাগির কোনা টিকিট নেই। আগামী কালের অগ্রিম টিকিটও অলমোস্ট বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। এখন অব্দি মাল্টিপ্লেক্সের এই চেইনে ৩০টির বেশি শো চলছে।
দাগি সিনেমা পরিচালনা করেছেন শিহাব শাহীন। নিশো-তমা ছাড়াও এতে অভিনয় করেছেন সুনেরাহ বিনতে কামাল, শহিদুজ্জামান সেলিম, রামেদ মামুন অপুসহ অনেকেই।
এদিকে, ‘দাগি’র দর্শক রিভিউও বেশ ভালো। হল থেকে বের হয়ে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন দর্শক। ভূয়সী প্রশংসা করছেন নিশো-তমাসহ অভিনয়শিল্পীদের। এ ছবিটিকে পাল্লা দিয়ে চলতে হচ্ছে শাকিব খানের মতো বড় তারকার ‘বরবাদ’ সিনেমার সঙ্গে, যা কি না শত হলে মুক্তি পেয়েছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আফর ন ন শ তম ম র জ ঈদ র স ন ম
এছাড়াও পড়ুন:
ইরানে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা বিভিন্ন দলের
ইরানে ইসরায়েলের হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিভিন্ন দল। অবিলম্বে এই হামলা ও গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবি জানিয়ে এ বিষয়ে দুনিয়ার শান্তিকামী দেশ ও বিশ্ববাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে তারা। গতকাল রোববার পৃথক বিবৃতিতে এসব দলের নেতারা এই দাবি জানান। তারা ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ঘোষণা এবং মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ-ইহুদিবাদী ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ ও ইরানের জনগণের পাশে দাঁড়াতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদুল হাসান মানিক ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নুর আহমদ বকুল এক বিবৃতিতে বলেন, বর্তমান সময়ের সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ও তার নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘস্থায়ী সংকট সৃষ্টি করে রেখেছে। একতরফা যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়ে ইরানের রাজনৈতিক সামরিক অগ্রযাত্রাকে রুখতে চেষ্টা করছে। যুদ্ধবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে এখনই থামতে হবে। অন্যায়ভাবে ইরানের শিশু-নারী ও সাধারণ নাগরিকদের ওপর বোমা ও মিসাইল হামলা বন্ধ করতে হবে।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক পৃথক বিবৃতিতে বলেন, ইরানের পরমাণু স্থাপনাসহ গুরুত্বপূর্ণ সামরিক অঞ্চল লক্ষ্য করে ইসরায়েলের বেপরোয়া ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা রাষ্ট্রীয় ভয়ানক সন্ত্রাসী তৎপরতা। পরিকল্পিত এই হামলা আন্তর্জাতিক সব ধরনের বিধিবিধানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর শামিল। জাতিসংঘকেও এরা পুরোপুরি ঠুঁটো জগন্নাথে পরিণত করেছে।