ফরিদপুরে মিক্সার প্লান্টে অগ্নিকাণ্ড, আহত ২ শ্রমিক
Published: 12th, April 2025 GMT
ফরিদপুরে সড়কের কাজে ব্যবহৃত পাথর, বিটুমিন ও গ্রিন অয়েল মিক্সারের সময় প্লান্টে বিস্ফোরণ ঘটে আগুন লেগে সব মালাপত্র পুড়ে গেছে। অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন দুই শ্রমিক।
শুক্রবার ফরিদপুর বাইপাস সড়ক-সংলগ্ন জাহিদ সুপার মার্কেটের পেছনে মেসার্স জাহিদ মটর্সের স্লোপ প্লান্টে এ দুর্ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত দু’জনকে শনিবার সকালে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
শহরের ব্রাহ্মণকান্দা এলাকায় বেসরকারি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি সড়কের কাজে ব্যবহৃত মিক্সার প্লান্ট স্থাপন করে। সেখানে পাথর, বিটুমিন ও গ্রিন অয়েল দিয়ে মিক্সিং করে সড়কের সংস্কার কাজ করা হয়ে থাকে। শুক্রবার দুপুরে মিক্সারের কাজ চলা অবস্থায় হঠাৎ প্লান্টের মটরে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে আগুন ও ধোঁয়া চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। পাশে অবস্থিত জাহিদ শেখের আয়েশা অটোমোবাইলস ওয়ার্কশপ ও জাকির হোসেন মিন্টুর ওয়ার্কশপের দোকানে আগুন লেগে মালামাল পুড়ে যায়। প্রায় ১ ঘণ্টার চেষ্টায় ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ দুর্ঘটনায় কর্মরত শ্রমিক আলামিন ও মোকসেদ গুরুতর আহত হন। তাদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য সেখান থেকে নেওয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। আহত আলামিনের বাড়ি ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার কাইলাডাঙ্গা গ্রামে ও মোকসেদের বাড়ি একই উপজেলার বকুলনগর গ্রামে।
প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী মো.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আগ ন
এছাড়াও পড়ুন:
একজন চা শ্রমিকের দিনে আয় ১৭৮ টাকা
হবিগঞ্জে ছোট-বড় মিলেয়ে চা বাগানের সংখ্যা প্রায় ৪১টি। এসব বাগানের বাসিন্দা প্রায় দেড় লাখ। এর মধ্যে, স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলে ৩২ থেকে ৩৫ হাজার মানুষ চা পাতা উত্তোলনে জড়িত।
চা বাগানে একজন শ্রমিককে প্রতিদিন ২৩ কেজি পাতা তুলতে হয়। এর বিনিময়ে মজুরি পান ১৭৮ টাকা ৫০ পয়সা। অভিযোগ রয়েছে, কোনো কোনো বাগানে নিয়মিত এই মজুরিও দেওয়া হয় না।
শ্রমিকদের দাবি, দৈনিক মজুরি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা করতে হবে। বর্তমানে যে মজুরি পাওয়া যায় তা দিয়ে সংসার চলে না। প্রতিদিনই নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে। সেই সঙ্গে চা শ্রমিকদের নৈমিত্তিক ছুটির ব্যবস্থা করতে হবে।
আরো পড়ুন:
বৈষম্য কেন? নারী শ্রমিকেরা পান না সমান মজুরি
ধান কাটায় আধুনিক যন্ত্রের ব্যবহার, পেশা বদলাচ্ছেন কৃষি শ্রমিকেরা
সরেজমিনে কয়েকটি বাগান ঘুরে দেখা যায়, শ্রমিকরা ছোট্ট কুঠুরিতে গাদাগাদি করে পরিবারের সবাইকে নিয়ে বসবাস করেন। পুষ্টিকর খাবার তো দূরের কথা, দু-বেলা পেটভরে খেতে পারেন না।
শ্রমিকদের দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নৃপেন পাল বলেন, ‘‘দুই বছর অন্তর চা শ্রমিকদের বিভিন্ন দাবি ও সমস্যা নিয়ে চা বাগান মালিক পক্ষের সংগঠনের সঙ্গে চা শ্রমিক ইউনিয়ন প্রতিনিধির বৈঠক হয়। সর্বশেষ গত বছরের আগস্টে বৈঠক হয়েছে। সে সময় ৮ টাকা ৫০ পয়সা বৃদ্ধি পেয়ে মজুরি ১৭৮ টাকা ৫০ নির্ধারিত হয়েছে।’’
শ্রমিকদের কষ্টের কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে এই টাকায় চলা যায় না। দেশের কোথাও এতো সস্তা শ্রমের দাম নেই। বর্তমানে একজন কৃষিশ্রমিক দিনে ৫০০-১০০০ টাকা আয় করেন, একজন রিকশাচালকের প্রতিদিনের আয় ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা। সেখানে একজন চা শ্রমিক পান ১৭৮ টাকা ৫০ পয়সা। এজন্য তাকে প্রতিদিন ২৩ কেজি পাতা তুলতে হয়।’’
চা শ্রমিকদের অধিকার আদায়ে নাটক ও গানের মাধ্যমে দাবি জানিয়ে আসা জেলার চুনারুঘাট উপজেলার দেউন্দি প্রতীক থিয়েটারের সভাপতি সুনীল বিশ্বাস বলেন, ‘‘দৈনিক ১৭৮ টাকা ৫০ পয়সা মজুরিতে শ্রমিকদের চলা কঠিন হয়ে পড়েছে। অচিরেই মজুরি ৬০০ টাকা নির্ধারণ করা হোক। এছাড়া, শ্রমিকদের আরো সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।’’
ঢাকা/রাজীব