Prothomalo:
2025-11-04@04:34:48 GMT

মেক্সিকান বাটারকাপ ট্রি

Published: 13th, April 2025 GMT

সূচিশিল্পী ও ফ্যাশন ডিজাইনার আমিনুল ইসলামের ঝিনাইদহের গাছবাড়িতে গিয়েছিলাম গত বছরের মার্চে। সেখানে প্রায় আড়াই শ গাছে টপিয়ারি রীতির এক অনন্য শৈলীর উদ্যান রচনা করেছেন তিনি। উদ্যানের এই শিল্পমাধ্যম আমাদের মুগ্ধ করল। বাগানের প্রবেশমুখেই ছোট্ট একটি অংশে এর অবস্থান। পুরো বাগানেই শিল্পবোধ আর ভালোবাসার অপূর্ব সমন্বয় লক্ষ করা যায়। মাত্র ১৩ বছরের ব্যবধানে আমিনুল ইসলাম এই উদ্যানে ৫০০ প্রজাতির প্রায় ১০ হাজার উদ্ভিদের সমাবেশ ঘটিয়েছেন।

বাড়িভর্তি গাছগুলো দেখতে দেখতে বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামল। ভোরে ঘুম ভাঙল বিচিত্র পাখিদের সুমধুর কলতানে। ভোরের স্নিগ্ধতা গায়ে মেখে বারান্দায় এসে দাঁড়াই। আশপাশের গাছগুলোতে চোখ রাখি। হঠাৎ হলুদ রঙের একগুচ্ছ ফুলে চোখ আটকে গেল। গাছে কোনো পাতা নেই। শুধু কিছু ফুল আর কলি। অচেনা ফুল। আগে কখনো দেখিনি। পরে বই দেখে নিশ্চিত হই, এটি মেক্সিকান বাটারকাপ ট্রি। কোথাও কোথাও ব্রাজিলিয়ান রোজ বা ওয়াইল্ড কটন নামেও পরিচিত।

সম্প্রতি ফুলটি আবার দেখি মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার রামকৃষ্ণদী গ্রামে। সেখানে কাজী গার্ডেনে গাছটি রোপণ করেন বৃক্ষপ্রেমী ও প্রকৌশলী কাজী কামাল উদ্দিন ইকরাম।

মেক্সিকান বাটারকাপ মাঝারি আকৃতির পাতাঝরা গাছ (Cochlospermum vitifolium)। ৫ থেকে ১২ মিটার পর্যন্ত উঁচু হতে পারে। কাণ্ডের ব্যাস ৫ থেকে ১০ সেন্টিমিটার। স্বল্প শাখা-প্রশাখা সূক্ষ্মভাবে মখমল-লোমশবিশিষ্ট। পাতা ৩০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বা হতে পারে, ৩ থেকে ৫ পত্রী। কিনারা প্রায় সম্পূর্ণ এবং নিচে মধ্যশিরাবিশিষ্ট, ওপরের পিঠ চকচকে এবং লোমহীন, নিচের পিঠ কিছুটা ফ্যাকাশে।

ফুলগুলো উজ্জ্বল হলুদ, একাকী এবং বড়, ১০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত চওড়া। দেখতে অনেকটা গোলাপের মতো হলেও একই পরিবারভুক্ত নয়। এই গাছ পশ্চিম মেক্সিকো থেকে মধ্য আমেরিকা এবং দক্ষিণ আমেরিকার উত্তর অংশ, ইকুয়েডর, পেরু, বলিভিয়া, ব্রাজিল, গায়ানা এবং ত্রিনিদাদ পর্যন্ত গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলে জন্মে। মেক্সিকোতে এটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১ হাজার মিটার পর্যন্ত উষ্ণ, আধা-উষ্ণ এবং নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়ায় লাগানো হয়। সাধারণত টিলা, ম্যানগ্রোভ প্রান্ত, তৃণভূমি, গ্রীষ্মমণ্ডলীয় পর্ণমোচী বা উপ-পর্ণমোচী বন, বহুবর্ষজীবী উদ্ভিদের বন, সমতল বা পাহাড় এমনকি পাইন বনের ধারও এই উদ্ভিদের জন্য উপযুক্ত হিসেবে বিবেচিত হয়।

মেক্সিকান বাটারকাপ ফুল দেখতে অনেকটা গোলাপের মতো হলেও একই পরিবারভুক্ত নয়.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ফোনে খালেদা জিয়া বললেন, ‘ভাই, জিয়াকে ড্রয়িংরুমে আবদ্ধ করে রাখা হয়েছে।’

৭৫-এর উত্তপ্ত নভেম্বর

শেখ মুজিব হত্যার পর বাংলাদেশ সামরিক বাহিনী ছিল দ্বিধাগ্রস্ত এবং দেশ প্রতিদিন অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল। এদিকে খন্দকার মোশতাক ক্ষমতায় এসেই আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতা সর্বজনাব নজরুল ইসলাম তাজউদ্দীন আহমেদ, মনসুর আলী, এ এইচ এম কামরুজ্জামান ও আবদুস সামাদ আজাদকে আটক করেন এবং ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী করে রাখেন। বাতাসে প্রতিনিয়ত নানা গুজব উড়ছিল ও সাধারণ নাগরিকগণ ভয়ভীতির মধ্য দিয়ে দিন কাটাচ্ছিলেন। সেনানিবাসেও অস্থিরতা বিরাজ করছিল এবং ক্রমেই স্পষ্ট হয়ে উঠছিল যে, নিজেদের মধ্যে যে-কোনো সময়ে সংঘর্ষ বেঁধে যেতে পারে। এ পরিস্থিতিতে আর্মিতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা খুবই জরুরি ছিল।

পদাতিক বাহিনীর মধ্যে, বিশেষ করে ঢাকা ব্রিগেডের ১ম, ২য় ও ৪র্থ বেঙ্গল রেজিমেন্টের অফিসারগণ মেজর ফারুক, রশিদ ও তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে উঠছিল এবং আর্মির চেইন অফ কমান্ড পুনঃস্থাপনের জন্য তৎকালীন ব্রিগেড অধিনায়ক কর্নেল শাফায়াত জামিলও অত্যন্ত উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছিলেন। কারণ তাঁর অধীনস্থ অফিসার ও সৈন্যগণই তাঁর সার্বিক কর্তৃত্ব উপেক্ষা করে শেখ মুজিব হত্যায় জড়িত ছিল। এ পরিস্থিতিতে সেনাসদরে ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফও সেনাবাহিনীর জুনিয়র অফিসারদের অনিয়ম ও আইনশৃঙ্খলার অবনতির কথা বলে উত্তেজিত করার চেষ্টায় লিপ্ত ছিলেন।

মেজর জেনারেল মইনুল হোসেন চৌধুরী (অব.) বীরবিক্রম

সম্পর্কিত নিবন্ধ