‘প্রিন্স মাহমুদের সুর মানেই ঘোর, হাবিবের কণ্ঠে কী যে মায়া’
Published: 13th, April 2025 GMT
নব্বইয়ের দশক থেকে যার সুরে মাতোয়ারা গোটা দেশ, সেই প্রিন্স মাহমুদ আবারও সিনেমায় নিয়ে এলেন যেন চিরচেনা স্বাদ। এই নন্দিত সুরকারের সুরে প্রথমবার গাইলেন সংগীত পরিচালক ও কণ্ঠশিল্পী হাবিব ওয়াহিদ। গানের শিরোনাম ‘যদি আলো আসত’। ‘এই হাহাকার মেশানো ভুল/ এই ক্লান্তির কালো ফুল/ চোখের নিচে জায়গা পেত না/ ভালো কেউ বাসে না বুঝছে না এ হৃদয়/ আমার সাথে বল কেন এমন হয়’– ঈদে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘জংলি’ সিনেমার জন্য এমন কথার গানটি লিখেছেন প্রিন্স মাহমুদ নিজেই।
পাশাপাশি সংগীত পরিচালনাও করছেন তিনি। সম্প্রতি টাইগার মিডিয়ার ইউটিউব চ্যানেলে গানটি প্রকাশ হওয়ার পর আড়াই লাখের বেশি শ্রোতা গানটি উপভোগ করেছেন। মন্তব্যের ঘরে দুজনকে ভালোবাসায় ভরিয়ে দিয়েছেন। একজন লিখেছেন কী অসাধারণ, প্রিন্স স্যারের সুর মানেই ঘোর। হাবিবের কণ্ঠে কী যে মায়া গানটায়।
এ প্রসঙ্গে প্রিন্স মাহমুদ বলেন, ‘‘জংলি’ সিনেমার অন্য গানগুলোর মতো শ্রোতারা ‘যদি আলো আসত’ গানটিরও মায়ায় পড়বেন, অনেকদিন ধরে শুনবেন। গাড়িতে, বাড়িতে সব জায়গায় শুনবেন। চাপ যখন থাকবে, তখনও গানটি শুনতে ইচ্ছা করবে। হাবিবের নিজেরই যথেষ্ট সুন্দর সুন্দর গান আছে। নতুন নতুন গানের মাধ্যমে তাঁর ভয়েসের আরও ব্যবহার হবে। আমাদের এ গানে তাঁর ভয়েস একটু আলাদাভাবে বেরিয়ে এসেছে। সবাই একটু আলাদাভাবে ট্রিট করছেন। যিনি শুনছেন, তিনিই প্রশংসা করছেন।”
এম রাহিম পরিচালিত সিনেমাটিতে সিয়ামের বিপরীতে অভিনয় করেছেন শবনম বুবলী।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সাবেক বিএনপি নেতা ও লঞ্চ যাত্রীদের পাল্টাপাল্টি হামলা, আহত ১০
বরিশালের হিজলায় লঞ্চের ডেকে যাত্রীদের চাদর বিছানো নিয়ে বিরোধের জেরে সাবেক বিএনপি নেতা ও লঞ্চ যাত্রীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ১০ যাত্রী আহত হয়েছেন। সোমবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার শৌলা লঞ্চঘাটে এই ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত বিএনপি নেতার নাম খালেক মাঝি। তিনি হরিণাথপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক।
যাত্রী ও লঞ্চ কর্মচারীরা জানান, সোমবার সকাল ৮টায় মুলাদীর মৃধারহাট থেকে এমভি জানডা নামক একটি লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। লঞ্চটি ৯টায় হিজলার শৌলা লঞ্চঘাটে ভেড়ে। এ স্টেশন থেকে ওঠা যাত্রীরা লঞ্চের ডেকে বসার চেষ্টা করেন। এ সময় ডেকে আগে বিছিয়ে রাখা চাদরে জায়গা পেতে যাত্রীপ্রতি এক হাজার টাকা দাবি করেন খালেক ও তাঁর সহযোগীরা। এ নিয়ে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে যাত্রীদের ওপর হামলা করা হয়। এতে ১০ জন যাত্রী আহত হন। তখন যাত্রীরা সংঘবদ্ধ হয়ে খালেক ও তাঁর সহযোগীদের ওপর পাল্টা হামলা করেন।
অভিযোগ অস্বীকার করে খালেক মাঝি বলেন, লঞ্চের মধ্যে গোলযোগ দেখে তিনি তা থামাতে গিয়েছিলেন। এ সময় লঞ্চের যাত্রীরা তাঁর ওপর হামলা করেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক লঞ্চ কর্মচারী জানিয়েছেন, শৌলা লঞ্চঘাট খালেক মাঝিকে চাঁদা না দিলে সাধারণ যাত্রীরা ডেকে বসতে পারেন না। তারা খালেক মাঝির কাছে অনেকটা জিম্মি।