ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেটে নিজের অভিষেকে দু্যতি ছড়ালেন রিশাদ হোসেন। পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) রোববার লাহোর কালান্দার্সের হয়ে কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্সের বিপক্ষে ৪ ওভারে ৩১ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন রিশাদ। টানা বোলিং স্পেলে ১০টি ডট বল খেলান বাংলাদেশের লেগ স্পিনার। অভিষেকে উজ্জ্বল পারফরম্যান্স কেড়ে নিয়েছেন সবার নজর। জিতেছে তার দল লাহোরও।
রাওয়ালপিণ্ডিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে লাহোর ২১৯ রান করে। জবাব দিতে নেমে ১৪০ রানে গুটিয়ে যায় কোয়েটা। ৭৯ রানের বিশাল ব্যবধানে জয় পায় লাহোর।
দেশের বাইরে এর আগে বিগ ব্যাশ, জিম আফ্রো টি-টোয়েন্টি এবং কানাডার গ্লোবাল টি-টোয়েন্টিতে খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন রিশাদ। কিন্তু নানা কারণে খেলার সুযোগ মেলেনি তার। এবার পিএসএলে তাকে পুরো আসর খেলার জন্য অনাপত্তিপত্র দিয়েছে বিসিবি।
লেগ স্পিনার লাহোরের হয়ে কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা প্রথম ম্যাচে বুঝিয়ে দিয়েছেন। রিশাদ যখন বোলিংয়ে আসেন তখন পরিস্থিতি অনুকূলে ছিল। বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৬ ওভারে ৫৪ রান তুলতে ৪ উইকেট হারায় কোয়েটা।
সপ্তম ওভারে বোলিং করতে এসে নিজের প্রথম ওভারে ৭ রান দেন রিশাদ। হজম করেননি কোনো বাউন্ডারি। দ্বিতীয় ওভারে বাউন্ডারি হজমের সঙ্গে উইকেটেরও স্বাদ পান। তার চতুর্থ বলে ছক্কা ওড়ান রাইলি রুশো। পরের বল একটু দ্রুতগতিতে সিমের ওপর দিয়েছিলেন রিশাদ। তাতে উইকেট হারান রুশো। বিপজ্জনক এই ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে রিশাদ দলের জয়ের পথ মসৃণ করেন।
২২ বছর বয়সী বোলার তৃতীয় ওভারে দেন ৯ রান। চতুর্থ ওভারে পান জোড়া সাফল্য। মোহাম্মদ আমিরকে বোল্ড করার পর আবরার আহমেদকে ডিপ স্কয়ার লেগে তালুবন্দি করান। তাতে ৩১ রানে রিশাদের প্রাপ্তি ৩ উইকেট। এর আগে শেষ দিকে ব্যাটিংয়ে নেমে ১ বল খেলার সুযোগ পান। ১ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।
লাহোরের এই ম্যাচের জয়ের নায়ক ফখর জামান। ৩৯ বলে ৭ চার ও ৩ ছক্কায় ৬৭ রান করেন তিনি। এছাড়া শেষ দিকে স্যাম বিলিংস ১৯ বলে ৫০ করেন ৪টি করে চার ও ছক্কায়। আগামী মঙ্গলবার করাচির মাঠে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলবে লাহোর।
ঢাকা/ইয়াসিন
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ভেনেজুয়েলার সঙ্গে যুদ্ধে জড়াবে না যুক্তরাষ্ট্র: ট্রাম্প
ভেনেজুয়েলার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধের সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিকোলাস মাদুরোর দিন ফুরিয়ে এসেছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন। খবর বিবিসির।
ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধ করতে যাচ্ছে কিনা জানতে চাইলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট সিবিএস নিউজের ৬০ মিনিটসকে বলেন, “আমার সন্দেহ রয়েছে। আমার মনে হয় না। কিন্তু তারা আমাদের সঙ্গে খুব খারাপ আচরণ করছে।”
আরো পড়ুন:
ক্যারিবীয় জাহাজে আবারো যুক্তরাষ্ট্রের হামলা, নিহত ৩
নাইজেরিয়ায় হামলার হুমকি ট্রাম্পের
ক্যারিবীয় অঞ্চলে মাদক চোরাচালানের অভিযোগে নৌযানগুলোতে মার্কিন হামলা অব্যাহত থাকার মধ্যে ট্রাম্পের এই মন্তব্য এলো। ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি, যুক্তরাষ্ট্রে মাদকের প্রবাহ বন্ধ করার জন্য এই হামলা প্রয়োজনীয়।
ট্রাম্প এমন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন যে, ক্যারিবীয় সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক অভিযান মাদক বন্ধ করার লক্ষ্যে নয়, বরং ট্রাম্প বিরোধী মাদুরোকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, এটি ‘অনেক কিছু’ সম্পর্কে।
বিবিসির মার্কিন নিউজ পার্টনার সিবিএস নিউজ জানিয়েছে, সেপ্টেম্বরের শুরু থেকে ক্যারিবীয় ও পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরে মার্কিন হামলায় কমপক্ষে ৬৪ জন নিহত হয়েছে।
সম্প্রতি ফ্লোরিডার মার-এ-লাগোতে এক বক্তব্যে ট্রাম্প বলেন, “মার্কিন হামলায় আপনি যেসব নৌযানে বিস্ফোরণ হতে দেখেন, তার প্রতিটিতে অন্তত ২৫ হাজার মাদকদ্রব্য ধ্বংস হয়। এগুলো যুক্তরাষ্ট্রে মাদক সরবরাহের জন্য দায়ী।”
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র স্থলপথে ভেনেজুয়েলায় হামলার পরিকল্পনা করছে কিনা, এই প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প তা উড়িয়ে দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বলেন, “আমি এটা বলতে চাই না যে আমি এটা করব...আমি ভেনেজুয়েলার সাথে কী করব, আমি তা করব কিনা, তা আমি বলব না।”
ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট মাদুরো ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ‘অঘোষিত যুদ্ধ’ শুরু করার অভিযোগ তুলেছেন। অন্যদিকে কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রোর অভিযোগ, নৌযানগুলোতে হামলা চালানোর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র লাতিন আমেরিকায় ‘আধিপত্য বিস্তার’ করার চেষ্টা করছে।
ট্রাম্প জানান, তার সরকার ‘সারা বিশ্ব থেকে’ সন্ত্রাসীদের যুক্তরাষ্ট্রে ‘আসতে’ দেবে না।
তিনি বলেন, “তারা কঙ্গো থেকে আসে, তারা সারা বিশ্ব থেকে আসে, তারা আসছে, কেবল দক্ষিণ আমেরিকা থেকে নয়। তবে বিশেষ করে ভেনেজুয়েলা- খারাপ। তাদের গ্যাং আছে।”
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্দিষ্ট করে ভেনেজুয়েলার ‘ট্রেন দে আরাগুয়ার’ নাম উল্লেখ করেন। তিনি এটিকে ‘বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ গ্যাং’ হিসেবে অভিহিত করেন।
জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউজে ফিরে আসার পর থেকে, ট্রাম্প প্রশাসন মেক্সিকো এবং ল্যাটিন আমেরিকার বেশ কয়েকটি মাদক পাচারকারী সংগঠন ও অপরাধী গোষ্ঠীকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ভেনেজুয়েলার ট্রেন দে আরাগুয়া এবং কার্টেল অব দ্য সানস, যেটি যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট মাদুরো ও তার ঘনিষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তারা পরিচালনা করে। তবে কারাকাস সরকার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
ঢাকা/ফিরোজ