মাসের ১৫-১৬ দিন আমি পান্তা খাই: সুনেরাহ
Published: 14th, April 2025 GMT
সিনেমা হলে চলছে সুনেরাহ বিনতে কামালের ছবি ‘দাগি’। সিনেমাটিতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র তার। চরিত্রটি নিয়ে দারুণ প্রশংসাও পাচ্ছেন তিনি। তা দাগি অভিনেত্রীর পহেলা বৈশাখ কেমন কাটছে?
সুনেরাহ জানালেন, দিনটিতে সাজগোজ করতে বেশ পছন্দ করেন, আর যেটা সবচেয়ে বেশি প্রিয় তা হচ্ছে পান্তা খাওয়া। পান্থাভাত তার অসম্ভব প্রিয়। বৈশাখ নিয়ে শৈশবে অন্যরকম উন্মাদনা কাজ করলেও তার খানিকটা এখনো তাঁর মধ্যে বিরাজমান বলেই জানালেন তিনি। সুনেরাহ জানান, এখনো পহেলা বৈশাখ তার কাছে ভীষণ প্রিয়।
সুনেরাহ বলেন, ‘পহেলা বৈশাখ মানেই তো উদযাপন। দিনটি দারুণভাব উদযাপন করি। সাজগোজ করা, পরিবারের সঙ্গে বসে পান্তা খাওয়া এবং এরপর বন্ধুদের সঙ্গে বাইরে বের হওয়া।এবারও পরিবারের সঙ্গেই বৈশাখ পালন করা হবে। বৈশাখে আমার সবচেয়ে প্রিয় পান্তা, ঝুরা বিফ, কাঁচা মরিচ, শুঁটকি ভর্তা, ইলিশ ভর্তা। এগুলো খাবোই। পান্তা আমার এত বেশি প্রিয় যে মাসের ১৫-১৬ দিন আমি পান্তা খাই। আমার কাছে ভালো লাগে। ভীষণ পান্তাপ্রিয় মানুষ আমি।’
দিনটিতেও অফিসে ছুটতে হয় সুনেরাহকে। দিনটি যেভাবে কাটবে তার ফিরিস্তি তুলে ধরলেন এভাবে.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স ন র হ ব নত ক ম ল অভ ন ত র
এছাড়াও পড়ুন:
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন
চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।
লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।
চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।
লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।
প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।
লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’
তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?