ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের বিলোনিয়া এলাকা থেকে বাংলাদেশি সাত নাগরিককে আটক করেছে সে দেশের পুলিশ। অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের অভিযোগে গত শনিবার রাতে তাঁদের আটক করা হয়।
আটক ব্যক্তিরা হলেন ফেনীর পরশুরাম উপজেলা নিজকালিকাপুর গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে এমদাদ হোসাইন (২৭), একই উপজেলার উত্তর গুথুমা গ্রামের আহমেদের ছেলে সাইদুর জামান (২৮), ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার ফয়েজ আহমদের ছেলে গিয়াস উদ্দিন (৩৫), কুমিল্লা জেলার মতলব উত্তর উপজেলার গাজরা গ্রামের ফারুক মোল্লার ছেলে রায়হান মোল্লা (২১), গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলার সুনাম উদ্দিনের ছেলে রবিন হোসাইন (২৮), নওগাঁ জেলার পেত্নীতলার রঘুনাথ গ্রামের আবু জাফরের ছেলে মো.
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, ফেনীর পরশুরাম উপজেলার বাসপদুয়া সীমান্ত দিয়ে এই সাত যুবক ভারতে প্রবেশ করেন। বুলগেরিয়ার ভিসার জন্য তাঁরা ভারতে গিয়েছেন। বিলোনিয়া থেকে দিল্লি যাওয়ার চেষ্টার সময় তাঁদের আটক করা হয়। জানতে চাইলে পরশুরাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নুরুল হাকিম বলেন, ‘স্থানীয় একাধিক মাধ্যমে ভারতে বাংলাদেশি সাত নাগরিক আটক হওয়ার বিষয়টি শুনেছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।’
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: উপজ ল র
এছাড়াও পড়ুন:
শনি গ্রহের একাধিক চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইডের সন্ধান
জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের মাধ্যমে শনি গ্রহের আটটি মাঝারি আকারের চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইড শনাক্ত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার বিজ্ঞানীরা। বর্তমানে মিমাস, এনসেলাডাস, ডায়োন, টেথিস, রিয়া, হাইপেরিয়ন, লাপেটাস ও ফিবি নামের চাঁদগুলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্যের পরিবর্তনের তথ্য টেলিস্কোপের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হচ্ছে। তথ্য বিশ্লেষণ করার পাশাপাশি চাঁদগুলোর ওপরে নিয়মিত নজরও রাখছেন বিজ্ঞানীরা।
বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, ডায়োন ও রিয়া চাঁদে থাকা কার্বন ডাই–অক্সাইড শনির প্রধান বলয়ের বরফের অনুরূপ। ফিবি চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইড জৈব পদার্থের বিকিরণের মাধ্যমে উৎপন্ন হয়ে থাকে। লাপেটাস ও হাইপেরিয়নের অন্ধকার অঞ্চলে কার্বন ডাই–অক্সাইড দেখা যায়। বরফযুক্ত এসব চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইডের অবস্থা সম্পর্কে আরও জানতে আগ্রহী বিজ্ঞানীরা।
ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির বিজ্ঞানী মাইকেল ব্রাউন ও তাঁর সহকর্মীরা এক গবেষণাপত্রে লিখেছেন, কঠিন কার্বন ডাই–অক্সাইড সৌরজগতের প্রান্তসীমার বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায়। যদিও সেই অবস্থানে কার্বন ডাই–অক্সাইড স্থিতিশীল নয়। আমরা শনির উপগ্রহে কার্বন ডাই–অক্সাইডের অবস্থান জানার মাধ্যমে ভিন্ন পরিবেশ বোঝার চেষ্টা করছি। বিভিন্ন গ্রহে কার্বন ডাই–অক্সাইড কীভাবে আটকে আছে, তা জানার সুযোগ আছে এখানে।
বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, শনির চাঁদে আটকে থাকা কার্বন ডাই–অক্সাইড থেকে আদর্শ ল্যাবের মতো তথ্য পাওয়া যাবে। ধারণা করা হচ্ছে, শনি গ্রহের বিভিন্ন চাঁদে কমপক্ষে দুটি পৃথক উৎস থেকে কার্বন ডাই–অক্সাইড তৈরি হয়েছে।
সূত্র: এনডিটিভি