সিদ্ধিরগঞ্জে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কিশোরগ্যাংয়ের হামলা, আহত ৪
Published: 14th, April 2025 GMT
সিদ্ধিরগঞ্জে চাঁদাবাজী, ছিনতাইসহ অপরাধ কর্মকান্ডে বাঁধা দেয়ায় দুটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়েছে কিশোরগ্যাংয়ের সদস্যরা।
রবিবার (১৩ এপ্রিল) দিবাগত রাত সাড়ে ৮টায় সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল রসুলবাগ এলাকায় এ হামলার ঘটনাটি ঘটে। এতে চারজন গুরুতর আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহতরা হলো- মো.                
      
				
এসময় কিশোরগ্যাং সদস্যরা হামলা চালিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ৮০ হাজার টাকার ক্ষতিসাধন করে এবং ক্যাশ বাক্স থেকে নগদ ১ লাখ টাকা নিয়ে গেছে ভুক্তভোগীর দাবি।
এদিকে রাতেই এ ঘটনায় গোদনাইল রসুলবাগ এলাকার মৃত রওশন আলী বেপারীর ছেলে ভুক্তভোগী মো: জসিম মিয়া বাদি হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযুক্তরা হলো, গোদনাইল রসুলবাগ এলাকার মৃত দ্বীন ইসলামের ছেলে বাপ্পী (২৮), মুহিন ওরফে ট্যাপা (২৫), আবুল মিয়ার ছেলে তারেক (৩০), জাহাঙ্গীরের ছেলে রাজু (২৮), আলম মিয়ার ছেলে ইমান আলী (২২), স্বপন মিয়ার ছেলে সোহেব (২৫), নেওয়াজের ছেলে শুভ (২৫), হেলাল উদ্দিনের ছেলে নিজাম (২৬), সেলিম মিয়ার ছেলে শাহিন (৩০) ও মনির হোসেনের ছেলে শাওন (২৬)।
অভিযোগে বাদি উল্লেখ করেন, বিবাদীরা খুবই খারাপ ও সন্ত্রাসী প্রকৃতির। তারা এলাকায় চাঁদাবাজীসহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে বেড়ায়। তাদের ভয়ে এলাকায় কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পায় না। আমিসহ এলাকাবাসী তাদের এমন কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করায় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদেরকে বিভিন্ন ভয়-ভীতি ও খুন জখমের হুমকি দিয়ে আসছে।
এরই জের ধরে রবিবার রাত সাড়ে ৮টায় গোদনাইল রসুলবাগ এলাকাস্থ আমার বড় ভাই জাকির হোসেনের মালিকানাধীন নিলা টেলিকম নামক দোকানে আমি ও বড় একত্রে বসে কথাবার্তা বলছিলাম।
হঠাৎ তারা পূর্ব শত্রুতার জের ধরে লাঠিশোঠা, লোহার রড ও দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্রসহ আমার বড় ভাইয়ের দোকানের সামনে এসে কোন অজুহাত ছাড়াই আমাদের অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ করতে থাকে।
তখন আমি তাদেরকে গালা-গালি করতে নিষেধ করলে, তাদের সাথে আমার তর্কবিতর্ক হয় এবং একপর্যায়ে বিবাদী বাপ্পীর হুকুমে অন্যান্য বিবাদীরা আমার ভাইয়ের দোকানের ভিতরে প্রবেশ করে আমাকে এলোপাথারীভাবে মারধর করে শরীরের বিভিন্নস্থানে জখম করে।
তখন আমাকে উদ্ধারের জন্য বড় ভাই জাকির হোসেন এগিয়ে আসলে, বিবাদীরা তাকেও মারপিট করে শরীরের বিভিন্নস্থানে জখম করে এবং মুহিনের হাতে থাকা ধারালো চাপাতি দ্বারা হত্যার উদ্দেশ্যে আমার ভাইয়ের মাখায় কোপ মারে, উক্ত কোপ লক্ষভ্রষ্ট হয়ে আমার ভাইয়ের বুকে লেগে কাটা গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়।
তারপর আমাদের উদ্ধারের জন্য আমার বড় ভাই মনোয়ার হোসেন এগিয়ে আসলে, বিবাদীরা তাকেও মারধর করে জখম করে এবং বিবাদী রাজুর হাতে থাকা ধারালো রামদা দ্বারা হত্যার উদ্দেশ্যে আমার ভাইয়ের মাথায় কোপ মারে, উক্ত কোপ লক্ষভ্রষ্ট হয়ে আমার ভাইয়ের বাম হাতের বাহুতে লেগে গুরুতর কাটা রক্তাক্ত জখম হয়।
এসময় আমাদের উদ্ধারের জন্য আমার চাচাতো ভাই জামান এগিয়ে আসলে, বিবাদীরা তাকেও মারধর করে শরীরের বিভিন্নস্থানে জখম করে এবং বিবাদী বাপ্পীর হাতে থাকা লোহার রড দ্বারা বারি মারলে জামানের বাম পায়ের কনুইয়ের নিচে লেগে গুরতর হাড়ভাঙ্গা জখম হয়।
এছাড়াও বিবাদীরা আমার ভাইয়ের দোকানের থাইগ্লাস, কাঁচের টেবিল, দরজাসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র এলোপাথারী ভাবে বাইরাইয়া ভাংচুর করায় অনুমানিক ৮০ টাকার ক্ষতি করে এবং তারা দোকানের ক্যাশ ব্যাক্সের মধ্যে রক্ষিত নগদ ১ লাখ টাকা নিয়ে যায়।
এসময় আমাদের ডাক-চিৎকারের শব্দ পেয়ে আশে-পাশের লোকজন এগিয়ে আসলে, হামলাকারীরা আমাদের হুমকি প্রদান করে যে, উক্ত ঘটনার বিষয়ে থানায় কোন মামলা বা অভিযোগ করলে, তোকেসহ তোর পরিবারের লোকজনদের খুন করে লাশ গুম করিয়া ফেলব” বলে চলে যায়। তারপর স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় আমরা নারায়ণগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা গ্রহণ করি।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর আলম জানান, এ ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
  
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ স দ ধ রগঞ জ আম দ র বড় ভ ই ব যবস
এছাড়াও পড়ুন:
সাগর-রুনিসহ সকল সাংবাদিক হত্যার বিচার ও ২১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ
সাগর-রুনিসহ সকল সাংবাদিক হত্যার বিচার, নবম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন, দশম ওয়েজ বোর্ড গঠন, চাকরিচ্যুত সাংবাদিকদের পুনর্বহাল এবং পেশাগত নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ ২১ দফা দাবিতে শহরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (১ নভেম্বর) সকাল ১১টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে সাংবাদিক ইউনিয়ন নারায়ণগঞ্জের উদ্যোগে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সাংবাদিক ইউনিয়ন নারায়ণগঞ্জের সভাপতি আবু সাউদ মাসুদের সভাপতিত্বে এবং একেএম মাহফুজুর রহমানের সঞ্চালনায় উক্ত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, নিউ নেশন পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক এ আর ফররুখ আহমেদ খসরু, ফতুল্লা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মো: মাসুম, সিনিয়র সাংবাদিক মনির হোসেন, দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের রূপগঞ্জ প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর আলম হানিফ, দৈনিক বাংলাদেশ বুলেটিন পত্রিকার সাংবাদিক উজ্জল হোসেন মাসুম, দৈনিক ইয়াদ পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার মেহবুব মিয়া, দৈনিক পূর্বাভাস পত্রিকার যুগ্ম সম্পাদক সোনিয়া দেওয়ান প্রীতি, দৈনিক দেশ পত্রিকার সাংবাদিক মোখলেসুর রহমান তোতাসহ প্রমূখ।
এসময় বক্তারা বলেন, ‘নো ওয়েজ বোর্ড, নো মিডিয়া’ নীতি কার্য্যকর, সাংবাদিকদের বেতন সর্বনিম্ন ৩৫ হাজার টাকা নির্ধারণ, প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ায় নবম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন ও দশম ওয়েজ বোর্ড গঠন, সাংবাদিক সুরক্ষা নীতিমালা প্রনয়ন, সাংবাদিকদের সাপ্তাহিক ছুটি ২দিন নির্ধারণ, সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনীসহ সকল সাংবাদিক হত্যার বিচার, গনমাধ্যমের স্বাধীনতা বিরোধী সকল কালাকানুন বাতিল, আইন অনুযায়ী সাংবাদিকদের ন্যায্যা পাওনা আদায়ের জন্য পৃথক শ্রম আদালত স্থাপন সহ ২১ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ আমরা মানববন্ধন করছি।
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আমাদের আহ্বান অনতিবিলম্ভে আমাদের এসব দাবিগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, প্রতিদিনের বাংলাদেশ পত্রিকার নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি এম আর কালাম, নাহিদ আজাদ, বাংলাদেশ নিউজের স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ইমতিয়াজ আহমেদ, নিউজ টুয়েন্টিফোর টেলিভিশনের নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি শরিফ সুমন, দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ পত্রিকার নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি মোশতাক আহমেদ, বাংলাদেশের খবর পত্রিকার নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি আল আমিন, দৈনিক ভোরের ডাক পত্রিকার নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি সাব্বির হোসেন, মানব জমিনের ফতুল্লা প্রতিনিধি আবু সাঈদ পাটুয়ারী রাসেল, মুসলিম টাইমসের নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি সাইফুল্লাহ খালিদ রাসেল, চ্যানেল এস এর সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি সাদ্দাম হোসেন মুল্লা, দৈনিক সংগ্রামের সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি ইখতিয়ার রাহয়ান, সাংবাদিক শরিফুল ইসলাম আরজু, এস এম জহিরুল ইসলাম বিদ্যুৎ, সম্রাট প্রমুখ।