আলোচিত ধারাবাহিক ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’–এর চারটি সিজন শেষ হয়েছে। ২০২২ সালের শেষ দিকে এই ধারাবাহিকের ৪ নম্বর সিজনের শেষ পর্ব প্রচারিত হয়। দুই বছর পর নতুন সিজনের আভাস দিলেন পরিচালক।
নিজের ফেসবুক পোস্টে যেমন দিয়েছেন, তেমনি ঈদুল ফিতরে মুক্তি পাওয়া ওয়েব ফিল্ম ‘হাউ সুইট’–এও ইঙ্গিত দিয়েছেন। পরিচালক বলেন, ‘“ব্যাচেলর পয়েন্ট সিজন ৫’ কবে আসবে—এমন প্রশ্ন অনেক দিন ধরে শুনে আসছি। দর্শকদের আর অপেক্ষা করাতে চাইছি না। শিগগিরই এই সিরিজের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসবে।’ পরিচালক কাজল আরেফিনের এই নাটকে পাশা, হাবু, শুভ, কাবিলা, রিয়া, বোরহান, জাকির, অন্তরা চরিত্রগুলো নিয়ে ফেসবুকে প্রায়ই আলোচনা হয়।
ঈদে মুক্তি পাওয়া পরিচালকের ওয়েব ফিল্ম ‘হাউ সুইট’–এর শেষ দৃশ্যে হাজির হন ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’–এর পাত্র–পাত্রীরা। সিনেমার শেষে অপূর্ব ও ফারিণের সঙ্গে বিশেষ এক উদ্ধার অভিযানে নেতৃত্ব দেন তাঁরা।
আরও পড়ুন‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ নির্মাতা এবার সমাজের মানুষের দম্ভ দেখানোর গল্প বলবেন০৩ জানুয়ারি ২০২৪তখন থেকেই আলোচিত সিরিজটির নতুন মৌসুমের গুঞ্জন জোরালো হয়। এমনকি ‘হাউ সুইট’–এর গান ও ট্রেলারের নিচে মন্তব্যের ঘরে অনেক দর্শক ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’–এর নতুন মৌসুমের কথা জানতে জান। পরিচালকের কথায় এবার মিলল নতুন মৌসুমের আনুষ্ঠানিক খবর।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
শ্রমিকের সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত ও নিপীড়ন বন্ধের দাবি সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের
গণতান্ত্রিক শ্রম আইন, শ্রমিকের সামাজিক সুরক্ষা, ন্যায্য মজুরি, অবাধ ট্রেড ইউনিয়নের অধিকার নিশ্চিত ও শ্রমিক নিপীড়ন বন্ধের দাবিতে সমাবেশ ও মিছিল করেছে সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট। একই সঙ্গে তারা বিশেষ ক্ষমতা আইনে গ্রেপ্তারকৃত শ্রমিকনেতাদের মুক্তির দাবিও জানায়।
মে দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয়।
সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সভাপতি রাজেকুজ্জামান রতনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন দলটির সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব বুলবুল, সাংগঠনিক সম্পাদক খালেকুজ্জামান লিপন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জুলফিকার আলী, আইনবিষয়ক সম্পাদক বিমল চন্দ্র সাহা, নির্বাহী সদস্য আফজাল হোসেন, নির্বাহী সদস্য ও বোম্বে সুইটস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি রতন মিয়া প্রমুখ।
সমাবেশে নেতারা বলেন, ট্রেড ইউনিয়ন করার চেষ্টার অপরাধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দিয়ে গার্মেন্টস উইংয়ের সাধারণ সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, রবিনটেক্স শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সীমা আক্তারসহ ৭ জনকে নারায়ণগঞ্জ কারাগারে এবং রিকশা শ্রমিকদের রুটি–রুজির আন্দোলনে সংহতি জানানোর অপরাধে চট্টগ্রামে রিকশা সংগ্রাম পরিষদ চট্টগ্রামের সভাপতি আল কাদেরি জয়, মিরাজ উদ্দিন ও রোকন উদ্দিনকে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। অথচ সরকার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে, তারা শ্রমক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক শ্রমমান বাস্তবায়ন করবে।
এ সময় নেতারা শ্রম সম্পর্ক উন্নয়নে সরকারের প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত হচ্ছে কি না, তা জানতে চান। তাঁরা বলেন, ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করার অধিকার চর্চায় বাধা দেওয়া বন্ধ না হলে, শ্রমিকের ওপর নিপীড়ন বন্ধ না হলে অন্তর্ভুক্তিমূলক রাষ্ট্র পরিচালনা বা বৈষম্য নিরসনের প্রতিশ্রুতি শ্রমজীবী মানুষের কাছে প্রতারণা হিসেবে পরিগণিত হবে।
মে দিবসের ইতিহাস তুলে ধরে নেতারা আরও বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও দেশের শ্রমজীবী মানুষের ৮৫ শতাংশ শ্রম আইনের সুরক্ষার বাইরে। শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে বাংলাদেশের শ্রম খাতের দুর্দশার যে ভয়ানক চিত্র ফুটে উঠেছে, তা প্রমাণ করে স্বাধীনতা–পরবতী প্রতিটি সরকার শ্রম শোষণকে তীব্র থেকে তীব্রতর করার ক্ষেত্র তৈরি করেছে।
এ সময় গ্রেপ্তার সব শ্রমিকের মুক্তি, শ্রমিক নিপীড়ন বন্ধ এবং মে দিবসের প্রকৃত চেতনায় ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের নেতারা।