বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতির (বাচসাস) কার্যালয় উদ্বোধন করা হয়েছে। পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে গতকাল ঢাকার মগবাজারে অবস্থিত বাচসাসের কার্যালয় উদ্বোধন করা হয়। বাচসাস’র সাবেক সভাপতি আব্দুর রহমান কার্যালয় উদ্বোধন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটির সিনিয়র সদস্য ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের তারকা ও কলাকুশলীরা।

প্রথমবারের মতো বাচসাস’র স্বতন্ত্র কার্যালয় উদ্বোধনের পাশাপাশি বাংলা নববর্ষও উদযাপন করা হয়। দিনভর আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে বাচসাস’র প্রবীণ ও নবীন সদস্যরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন। সাংস্কৃতিক অঙ্গনের তারকা, নির্মাতা, প্রযোজক ও কলাকুশলীরা অভিনন্দন জানাতে আসেন। ফলে বাচসাস কার্যালয় মিলনমেলায় পরিণত হয়।

আড্ডা, স্মৃতিচারণ ও শুভেচ্ছা বিনিময়ের মধ্য দিয়ে এক আনন্দঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। এছাড়া বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দের ফুলেল শুভেচ্ছা বর্ণিল এই আয়োজনে প্রাণের সঞ্চার করে।

বাচসাস’র কার্যালয় নেয়ায় আনন্দিত সংগঠনটির সদস্যরা। তারা জানান, এর মাধ্যমে দীর্ঘ দিনের স্বপ্নের বাস্তবায়ন হয়েছে। এ স্বপ্নপূরণ করার জন্য বাচসাসের বর্তমান কমিটির ভূয়সী প্রশংসা করেন তারা।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বাচসাস সভাপতি কামরুল হাসান দর্পণ, সাধারণ সম্পাদক রাহাত সাইফুল, অর্থ সম্পাদক রুহুল সাখাওয়াত, সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তফা মতিহার, সমাজকল্যাণ ও মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ইসরাত জাহান স্বর্ণা, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুর ইসলাম লিটন, দপ্তর সম্পাদক রুহুল আমিন ভূঁইয়া। 

তা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বর্তমান কমিটির কার্যনির্বাহী সদস্য সাজু আহমেদ, হাফিজ রহমান প্রমুখ। এই আয়োজনের সহযোগিতায় ছিল এনিগমা মাল্টিমিডিয়া লিমিটেড।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ