Risingbd:
2025-09-18@02:31:19 GMT

আমার কোনো আফসোস নেই: বাঁধন

Published: 15th, April 2025 GMT

আমার কোনো আফসোস নেই: বাঁধন

লাক্স তারকা থেকে রুপালি পর্দা, তারপর বিশ্ব মঞ্চ ও বলিউডে দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। তার এই চলার পথ মোটেও মসৃণ ছিল না। কারণ পেশাগত নানা সংকটের পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবনেও সংগ্রামটা একাই করতে হয়েছে তাকে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় বাঁধন দারুণ সক্রিয়। সমকালীন নানা বিষয় নিয়ে ফেসবুকে নিজের মত প্রকাশ করে থাকেন। তবে হঠাৎ এ মাধ্যমে তার কোনো কার্যক্রম চোখে পড়েনি। বলা যায়, গত কয়েক মাস ধরে অনেকটা আড়ালে এই অভিনেত্রী। পহেলা বৈশাখে একটি পোস্ট দিয়ে তিনি জানান, সোশ্যাল মিডিয়া ছেড়ে অনেকটা ভালো আছেন।

এ লেখায় নিজের অবস্থান জানিয়ে আজমেরী হক বাঁধন বলেন, “শুধু এটা বলতে চাই, আমি এখনো এখানে আছি। মায়ের বাড়িতে থাকি, বাবার গাড়িতে চড়ি। বাইরে থেকে জীবন সহজ। কিন্তু ভেতরে–ভেতরে নীরবে তা বদলাতে থাকে। আমি কিছুদিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে দূরে ছিলাম এবং সত্যি বলতে এটা আমাকে শান্তি দিয়েছে।”

আরো পড়ুন:

পলকের সঙ্গে প্রেম নিয়ে যা বললেন সাইফের পুত্র ইব্রাহিম

রেকর্ড গড়ল অজিতের সিনেমা

বাঁধনের জীবনের জার্নিটা সহজ ছিল না। তা জানিয়ে এ অভিনেত্রী বলেন, “আমি নিজের খেয়ালখুশি মতো চলছি। তবে যে পথ পার করে এসেছি, তা মোটেও সহজ ছিল না। কিন্তু আমার মতো করেই পথ চলেছি। আমার ভুল আমি মেনে নিই, একই সঙ্গে বেড়ে ওঠার প্রতিও আমি সম্মান জানাই। জীবনে যত সাফল্য পেয়েছি, সবই আমি অর্জন করেছি। কারো মতামত আমাকে নাড়াতে পারে না, আমি জানি, কে আমি এবং এতটা পথ আসতে আমার কী কী করতে হয়েছে।” 

জীবন নিয়ে কোনো আফসোস নেই বাঁধনের। বরং নিজেকে নিজের মতো গুছিয়ে নিয়েছেন। এ অভিনেত্রীর ভাষায়, “কোনো আফসোস নেই। প্রতিটি অভিজ্ঞতা আমার জন্য একটি শিক্ষা। জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপ একেকটা গল্প, যা আমাকে আজকের আমি হিসেবে তৈরি করেছে। একই সঙ্গে আমি আমাকে আমার মতো করে গুছিয়েছি। এখনো তা চলমান এবং তা আমি চালিয়ে যাব।”

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র

এছাড়াও পড়ুন:

ঋণ নেওয়ার আগে যে ১০টি বিষয় অবশ্যই জানা উচিত

নানা কারণে আপনার ঋণ নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। অনেক সময় মানুষ ব্যক্তিগত ঋণ, গৃহঋণ নেয়। আবার গাড়ি কেনার জন্যও অনেকে ঋণ নেন। ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমেও ঋণ নেওয়া হয়।

কিন্তু অনেকেই ঋণের সঙ্গে সম্পৃক্ত কিছু মৌলিক শব্দ সম্পর্কে জানেন না। ব্যাংকের কর্মকর্তারা যখন এসব শব্দ বলেন, তখন অনেক কিছুই বোঝেন না ঋণ নিতে ইচ্ছুক গ্রাহকেরা। ফলে নিয়মকানুন না জেনেই ঋণ নেন। এতে নানা অপ্রত্যাশিত ঝামেলা তৈরি হয়। তাই ঋণ নেওয়ার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বোঝা খুব দরকার।

১. আসল টাকা (প্রিন্সিপাল)

আপনি যে পরিমাণ টাকা ঋণ নিচ্ছেন, সেটিই আসল। এর ওপরই সুদ ধরা হয়। কিস্তি পরিশোধের সঙ্গে আসল ধীরে ধীরে কমতে থাকে।

২. সুদের হার (ইন্টারেস্ট রেট)

ঋণ নেওয়ার আগে সবচেয়ে ভাবতে হয় সুদের হার নিয়ে। সুদের হার বেশি হলে খরচ বেড়ে যায়। ঋণের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সুদের হার। এটি স্থিরও হতে পারে, আবার বাজারদরের ওপর নির্ভর করে বাড়তে-কমতেও পারে।

৩. মাসিক কিস্তি (ইএমআই)

ঋণের সুদ ও আসল পরিশোধ বাবদ প্রতি মাসে যে নির্দিষ্ট টাকা আপনাকে দিতে হবে। সেটি হলো ইএমআই বা ঋণের কিস্তি।

৪. ঋণের মেয়াদ

কত বছরের মধ্যে ঋণ শোধ করতে হবে, সেটিই হলো ঋণের মেয়াদ। মেয়াদ বেশি হলে কিস্তি ছোট হয়। কিন্তু মোট সুদের টাকা বেড়ে যায়। ছোট মেয়াদে কিস্তি বড় হয়। কিন্তু মোট সুদের টাকা কমে।

৫. অ্যানুয়াল পারসেন্টেজ রেট (এপিআর)

শুধু সুদ ও আসল নয়, বরং ঋণের সব খরচ (যেমন ফি, চার্জ) মিলিয়ে আসল ব্যয় কত হবে, তার হিসাব হলো অ্যানুয়াল পারসেন্টেজ রেট (এপিআর)। এটিই প্রকৃত খরচ বোঝায়।

৬. আগাম পরিশোধ (প্রিপেমেন্ট)

ঋণের বোঝা কমাতে অনেকে ঋণের সুদ ও আসলের টাকা আগেই শোধ করে দিতে চান। এতে সুদের খরচ কমে যায়।

৭. প্রসেসিং ফি

আপনি ঋণের জন্য কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আবেদন করলেন। কিন্তু ঋণ আবেদন মঞ্জুর থেকে শুরু করে ছাড় কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কিছু মাশুল দিতে হয়। এটিই প্রসেসিং ফি। এটি কখনো ঋণের টাকা থেকে কেটে নেওয়া হয়, আবার কখনো আলাদা দিতে হয়।

৮. স্থগিতকাল (মোরাটোরিয়াম)

বিশেষ পরিস্থিতিতে কিছুদিনের জন্য কিস্তি বন্ধ রাখার সুযোগকেই বলে স্থগিতকাল। তবে এই সময়েও সুদ জমতে থাকে। অনেক সময় ঋণ পরিশোধের জন্য বিশেষ কিস্তি ভাগও করে দেওয়া হয়।

৯. জামানত (কোলেটারাল)

ঋণের নিরাপত্তা হিসেবে আপনার সম্পদ (যেমন বাড়ি, সোনা, জমি) ব্যাংকে বন্ধক রাখা হয়। কিস্তি না দিলে ব্যাংক ওই সম্পদ বিক্রি করে টাকা তুলে নেয়।

১০. লোন-টু-ভ্যালু রেশিও

আপনি যত টাকা ঋণ নিচ্ছেন আর জামানতের মূল্য কত—এই অনুপাতকে বলে লোন টু ভ্যালু রেশিও (এলটিভি)। এর অনুপাত যত কম হয়, ব্যাংকের ঝুঁকি তত কম।

সম্পর্কিত নিবন্ধ