সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার যাদুকাটা নদ থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে নদে বাঁশের বেড়া দিয়ে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছে উপজেলা প্রশাসন। আজ বুধবার উপজেলার রক্তি নদের আনোয়ারপুর এলাকায় প্রশাসন ও পুলিশের উপস্থিতিতে এই বেড়া দেওয়া হয়।

স্থানীয় প্রশাসন জানায়, যাদুকাটা নদে দুটি বালু মহাল রয়েছে। তবে মামলার কারণে ১৪৩২ বাংলা সনের জন্য কোনো মহাল ইজারা দেওয়া হয়নি। ফলে ওই নদে বালু উত্তোলন নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও একটি চক্র প্রশাসনের নজর এড়িয়ে বালু উত্তোলন করছিল। উত্তোলিত বালু পরিবহন হচ্ছিল রক্তি নদ হয়ে। এ কারণে নদে বাঁশের বেড়া দিয়ে বাধা দেওয়া হয়েছে।

বাঁশের বেড়া দেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন তাহিরপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো.

আবুল হাসেম ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দেলোয়ার হোসেন।

ইউএনও আবুল হাসেম বলেন, যেহেতু যাদুকাটা নদে কোনো ইজারা হয়নি, তাই এখানে বালু উত্তোলনের সুযোগ নেই। অবৈধ উত্তোলন বন্ধে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, চলতি বাংলা সনের জন্য জেলার কোনো বালু মহাল ইজারা দেওয়া হয়নি। ফলে পয়লা বৈশাখ থেকে সব মহালে বালু উত্তোলন, পরিবহন ও মজুত নিষিদ্ধ করে জেলা প্রশাসন একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে। এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রেজাউল করিমের স্বাক্ষরিত এক চিঠি সেনাবাহিনীর ক্যাম্প, বিজিবি, পুলিশ সুপার, ট্রাক মালিক ও শ্রমিক সমিতিকে পাঠানো হয়েছে। এতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ ও সড়কে টহল জোরদারের অনুরোধ জানানো হয়।

জেলার সবচেয়ে বড় বালু মহাল যাদুকাটা নদে অবস্থিত। এবার সেখানে দুটি মহালের জন্য সর্বোচ্চ ১০৮ কোটি টাকার দর পাওয়া গেলেও উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশের কারণে ইজারা কার্যকর করা সম্ভব হয়নি। একই কারণে ছাতকের চেলা ও খাসিয়ামারা, সদর ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ধোপাজান নদীর বালু মহালেও ইজারা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র উপজ ল র

এছাড়াও পড়ুন:

শেরপুরে বেশি দামে সার বিক্রি: ২ ব্যবসায়ীকে সোয়া লাখ টাকা জরিমানা

শেরপুরে সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে সার বিক্রি করায় দুই সার ব্যবসায়ীকে প্রায় সোয়া লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। 

মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শেরপুর পৌর শহরের আখের মাহমুদ বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় এক বিএডিসি সার ডিলারকে ১ লাখ টাকা ও লাইসেন্সবিহীন সার বিক্রি করায় আরেক ব্যবসায়ীকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

আরো পড়ুন:

সোনারগাঁয়ে মহাসড়কে ১০০০ স্থাপনা উচ্ছেদ

ঝিনাইদহে ২৫০টি অবৈধ জাল জব্দ, বাঁধ উচ্ছেদ

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ভুইয়া আদালত পরিচালনা করেন। তিনি জরিমানার তথ্য জানান।  

ইউএনও আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ভুইয়া বলেন, ‘‘সার বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দুই অসাধু ব্যাবসায়ীকে জরিমানা করা হয়েছে। কৃষকের উপর জুলুম মেনে নেওয়া হবে না।’’ 

তিনি আরো বলেন, ‘‘আমাদের বিভিন্ন সোর্স এ সব অসাধু ব্যবসায়ীদের খোঁজখবর রাখছেন। যার বিরুদ্ধে প্রমাণ পাওয়া যাবে, তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।’’ জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে বলেও জানান তিনি।

অভিযানকালে সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুসলিমা খানম নীলু, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেনসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি রোপা আমন মৌসুমে কৃত্রিম সার সংকট দেখিয়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে কৃষকদের কাছে সার বিক্রি করছেন। বেশি দাম নেওয়ার অভিযোগ পেয়ে মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শহরের আখের মাহমুদ বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে বেশি দামে সার বিক্রির প্রমাণ পেয়ে বিএডিসি সার ডিলার মেসার্স মীম এন্টারপ্রাইজকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করেন। একইসঙ্গে লাইসেন্সবিহীন সার বিক্রয় করায় একই বাজারের কীটনাশক বিক্রেতা শিশির এন্টারপ্রাইজকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

শেরপুর সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুসলিমা খানম নীলু বলেন, ‘‘আমন মৌসুসে সারের দাম ও চাহিদার ভারসাম্য রক্ষায় আমরা নিয়মিত অভিযান করছি। আমরা যেখানে অভিযোগ পাচ্ছি, সেখানে অভিযান পরিচালনা করছি। সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে সার বিক্রির সুযোগ নেই।’’

ঢাকা/তারিকুল/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পাবনায় পুলিশ দেখে পালালেন শিকারিরা, উদ্ধার ৪৫টি ঘুঘু অবমুক্ত
  • শেরপুরে বেশি দামে সার বিক্রি: ২ ব্যবসায়ীকে সোয়া লাখ টাকা জরিমানা