পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) উড়ছেন রিশাদ হোসেন। বাংলাদেশি লেগ স্পিনার প্রথমবার এই লিগে অংশ নিয়ে বল হাতে দ্যুতি ছড়িয়ে যাচ্ছেন। প্রথম ম্যাচে ৩ উইকেটের পর গতকাল (১৫ এপ্রিল) দ্বিতীয় ম্যাচেও তার শিকার ৩ উইকেট।

৬ উইকেট নিয়ে লাহোর কালান্দার্সের রিশাদ সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীর তালিকায় রয়েছেন শীর্ষে। তার এই অর্জনে দারুণ খুশি ফ্রাঞ্চাইজিটি। দলের অন্যতম মালিক ও প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) সামিন রানা ম্যাচ শেষে তাকে ড্রেসিংরুমে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন। তার বিশ্বাস, শীর্ষে থেকে টুর্নামেন্ট শেষ করতে পারবেন বাংলাদেশি তরুণ।

সামিন রানা বলেছেন, ‘‘রিশাদ, আমি তোমাকে ভালোবাসি। তুমি এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক। আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি, দিন যত যাবে টুর্নামেন্ট যত বড় হবে এবং শেষ পর্যায়ে যাবে তুমি উইকেট সংখ্যায় সবার শীর্ষেই থাকবে।’’

লাহোর গতকাল অনায়েস জয় পায় করাচি কিংসের বিপক্ষে। ৬৫ রানের ব‌্যবধানে জয় পাওয়া ম‌্যাচে রিশাদ ২৬ রানে পেয়েছেন ৩ উইকেট। যেখানে ছিল ১৪ ডট বল। ২টি করে চার ও ছক্কা হজম করেছেন। বাকিটা সময় তিনি দ্যুতি ছড়িয়েছেন ২২ গজে।

এর আগে পিএসএলে নিজের অভিষেক ম্যাচে ৩১ রানে ৩ উইকেট পেয়েছিলেন রিশাদ। সেই ম্যাচে দলের ‘গেম চেঞ্জার’ হিসেবে খেতাবও পেয়েছিলেন।

‘‘আমার বাংলাদেশি ভাইকে নিয়ে আমি কী বলতে পারি.

..রিশাদ, আমার মনে হয় তুমি গেম চেঞ্জার। তুমি যেভাবে বল করেছ, তা দলের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছে এবং বুঝিয়ে দিয়েছ যে এই দলের বোলিং আক্রমণই এবারের টুর্নামেন্টে সেরা।’’ – বলেছিলেন সামিন।

ঢাকা/ইয়াসিন/নাভিদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ৩ উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

বারসিকের গবেষণা: রাজশাহীর ৯৯ ভাগ দোকানেই মিলছে নিষিদ্ধ কীটনাশক

রাজশাহীর ৯৯ ভাগ কীটনাশকের দোকানেই পাওয়া যাচ্ছে নিষিদ্ধ কীটনাশক ও বালাইনাশক। সরকার নিষিদ্ধ করে রাখলেও নানা নামে এসব কীটনাশক বাজারজাত করা হচ্ছে। ফলে পরিবেশ, প্রকৃতি ও জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়ছে। শতকরা ৯৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ ব্যবহারকারীই জানেন না এগুলো নিষিদ্ধ এবং বিপজ্জনক।

চলতি বছর রাজশাহীতে ‘জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের ওপর কীটনাশকের ক্ষতিকর প্রভাব বিষয়ক মাঠপর্যায়ে অনুসন্ধানমূলক সমীক্ষা’ শীর্ষক এক গবেষণায় এমন চিত্র উঠে এসেছে। সমীক্ষাটি করেছে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিক। 

বুধবার (৩০ জুলাই) সকালে রাজশাহী নগরের একটি হোটেলের কনফারেন্স রুমে সংবাদ সম্মেলন করে গবেষণা প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়। প্রতিবেদনটি তুলে ধরেন বারসিকের আঞ্চলিক সমন্বয়ক শহিদুল ইসলাম।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, রাজশাহীর আটটি উপজেলার ১৯টি কৃষিপ্রধান গ্রামাঞ্চলে মাঠপর্যায়ে তথ্য সংগ্রহ, ভুক্তভোগীদের কেস স্টাডি, স্থানীয় কীটনাশক ডিলার, দোকানদার, পরিবেশক এবং উপজেলা পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে সমীক্ষাটি করা হয়েছে।

সমীক্ষায় দেখা গেছে, নিষিদ্ধ কীটনাশক ব্যবহার করে শতকরা ৬৮ শতাংশ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। আর কীটনাশকের ৯৯ ভাগ দোকানেই দেশে নিষিদ্ধ কীটনাশক পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন নামে। এসব নাম দেখে বোঝার উপায় নেই এটি নিষিদ্ধ, বোতলের গায়ে নিচের দিকে জেনেরিক নাম খুব ছোট করে লেখা থাকে। 

বাংলাদেশসহ আন্তর্জাতিকভাবে নিষিদ্ধ যেসব কীটনাশক এখনো পাওয়া যাচ্ছে সেগুলো হলো- জিরো হার্ব ২০ এসএল (প্যারাকোয়াট), ফুরাডান ৫জি (কার্বোরাইল), এরোক্সান ২০ এসএল (প্যারাকোয়াট), গ্যাস ট্যাবলেট (অ্যালুমিনিয়াম ফসফাইড), কার্বোফোরান ৩ জিএসিআই (কার্বোফোরান), ইঁদুর মারা বিষ (বডিফ্যাকোয়াম) ও তালাফ ২০ এসএল (প্যারাকোয়াট)। এই প্যারাকোয়াট বা ঘাস মারা বিষ অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। অনেকে এগুলো আত্মহত্যার উদ্দেশ্যে পান করেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে কিডনি নষ্ট হয়ে তারা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বাজারে অহরহ এসব নিষিদ্ধ কীটনাশক পাওয়া যাচ্ছে, কিন্তু সরকারের কোনো তদারকি নেই। এসব নিষিদ্ধ কীটনাশক ব্যবহার করে কৃষক ও সাধারণ মানুষের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়েছে। নিষিদ্ধ কীটনাশক কীভাবে বাজারে বিক্রি হয়, কৃষি বিভাগের দায়িত্ব কী সে বিষয়েও সংবাদ সম্মেলন থেকে প্রশ্ন তোলা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে নিষিদ্ধ কিছু কীটনাশকও আনা হয়। এগুলো যে দোকান থেকে কেনা হয়েছে তার রশিদও দেখানো হয়। এসব দেখিয়ে বারসিকের নির্বাহী পরিচালক পাভেল পার্থ বলেন, “এগুলো তো বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। আমরা কিনেছি। রশিদও আছে। এগুলো নিষিদ্ধ। আমরা এগুলো হাজির করতে বাধ্য হয়েছি। এই গবেষণা একটি ফৌজদারি অপরাধকে খুঁজে পেয়েছে।”

সংবাদ সম্মেলনে বেশকিছু সুপারিশ তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে নিষিদ্ধ কীটনাশকের ব্যবহার কঠোরভাবে বন্ধ করা,  কীটনাশক আইন ও বিধি প্রয়োগ করা, কীটনাশক সম্পর্কিত স্বাস্থ্য তথ্য নিবন্ধন করা, কীটনাশকের ফলে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্থদের ক্ষতিপূরণের জন্য তহবিল গঠন করার সুপারিশ করা হয়।

ঢাকা/কেয়া/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বারসিকের গবেষণা: রাজশাহীর ৯৯ ভাগ দোকানেই মিলছে নিষিদ্ধ কীটনাশক