নিজেদের জমি দান দেখিয়ে খাসজমিতে জাইকা অফিস
Published: 17th, April 2025 GMT
কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামে জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থার (জাইকা) অর্থায়নে পানিসম্পদ প্রকল্পের একটি কার্যালয় স্থাপনে জালিয়াতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে মঙ্গলবার জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন উপজেলার আদমপুর ইউনিয়নের চিকনারকান্দি গ্রামের মো. আল এমরান।
তিনি জালিয়াতির জন্য একই ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুল করিম বাদল, তাঁর দুই ভাই মো.
লিখিত অভিযোগে এলাকায় ফজলুল করিম বাদল, তাঁর ভাই মো. আব্দুল কাদির ও সালাউদ্দিন সোহেলের পরিচিতি ভূমিদস্যু হিসেবে বলে উল্লেখ করা হয়। এতে বলা হয়, তিনজনের বিরুদ্ধে ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইনে দুটি মামলা চলছে।
আল এমরানের অভিযোগে বলা হয়েছে, আদমপুর লাউড়া মৌজার ৩০৪ নম্বর খতিয়ানের ২২৪৭ নম্বর দাগে অবস্থিত ওই তিন ভাইয়ের ৬ শতাংশ জমি ২০১৫ সালের ১৭ নভেম্বর ২৫২৪ নম্বর দলিলমূলে স্থানীয় সরকার অধিদপ্তরাধীন পানিসম্পদ প্রকল্পের জন্য লিখে দেওয়া হয়। দলিলে প্রকল্পটির নাম ‘স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরাধীন বৃহত্তর ময়মনসিংহ সিলেট ফরিদপুর এলাকাধীন ক্ষুদ্রাকার পানিসম্পদ প্রকল্প’ লেখা। জাইকার অর্থায়নে প্রকল্পের কার্যালয়ের জন্য জমিটির দলিল করা হয়।
কিন্তু দলিলে যে জায়গার কথা উল্লেখ করা হয়েছে, সেখানে না করে কার্যালয়টি স্থাপন করা হয়েছে একই মৌজার আরএস ২২৩৬ দাগের সরকারি জমিতে। ফজলুল করিম বাদল ও তাঁর ভাইয়েরা সরকারি খরচে পাকা প্রতিরক্ষা দেয়াল নির্মাণ করে দোকান তৈরি করেন। তারা দীর্ঘদিন ধরে ব্যক্তিগতভাবে এসব দোকানের ভাড়াও তুলছেন। অথচ ওই জায়গাটি গরু-ছাগলের হাট। সরকার এখান থেকে প্রতিবছর ৪০ লাখ টাকা রাজস্ব পেয়ে আসছিল। ওই কার্যালয়ের কারণে তা ব্যাহত হচ্ছে।
আল এমরানের ভাষ্য, ফজলুল করিম বাদল ও তাঁর ভাইয়েরা প্রভাবশালী। যে কারণে তাদের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে চায় না। চেয়ারম্যান থাকাকালীন বাদল জাইকা কার্যালয়ের জন্য বাজারের জমি দখল করেন। তাদের দান করা জায়গা নিজেদের দখলেই রয়ে গেছে।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে সাবেক চেয়ারম্যান ফজলুল করিম বাদলের মোবাইল ফোন নম্বরে একাধিকবার কল দিলে তিনি ধরেননি। খুদে বার্তা পাঠালেও উত্তর মেলেনি। মোবাইল ফোনে অষ্টগ্রামের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দিলশাদ জাহান বলেন, অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখব।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ক শ রগঞ জ প রকল প র জন য সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দরে মসজিদের গেইটে বিদ্যুতের খুঁটি, মুসল্লীদের দূর্ভোগ
বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পশ্চিম আদমপুরস্থ বায়তুল নুর জামে মসজিদের গেটে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর আওতাধীন বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের একটি খুটি মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে।
মসজিদের প্রবেশদ্বারে বিদ্যুতের ওই খুঁটিতে হাটমিটার থাকায় এলোমেলোভাবে থাকা তারে যে কোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।
ঝুকিপূর্ণ খুটিটি সরাতে মসজিদ কমিটির পক্ষ থেকে মৌখিক ও লিখিতভাবে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে অবগত করার পরেও মিলছেনা সমাধান। এরফলে মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে মুসল্লীরা। বিষয়টি দ্রুত সমাধানের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় জনসাধারণ।
সরেজমিনে জানা গেছে, উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নে আদমপুর চৌরাস্তা দিয়ে উত্তরদিকে এই জামে মসজিদটি। এখানে প্রায় ৬শ পরিবার বসবাস করে। প্রতি জজুম্মার ননামাজের সময় এই মসজিদে মুসল্লীর সংখ্যা বেশি থাকে । এই গ্রামটিতে নতুন নতুন বাড়িঘর হওয়াতে মসজিদের মুসল্লী দিন দিন বেড়েই চলছে।
এছাড়াও মসজিদের ব্যপক উন্নয়ন হয়েছে। মসজিদটিতে মাত্র একটি প্রবেশদ্বার। আর সেই প্রবেশদ্বারের মাঝ বরাবর বিদ্যুতের একটি খুটি রয়েছে। সেই খুঁটিতে হাটমিটার লাগানো আছে। মিটারটির ওয়্যারিং ঠিকমতো না থাকায় বিদ্যুৎপৃষ্টের ঝুঁকি রয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, বন্দর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নিকট ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যুতের খুটি সরাতে কয়েকদফায় মসজিদ কমিটির পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলেও কোন গুরুত্বই দেয়নি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি (পবিস)। একটি ধর্মীয় স্থানে পবিসের উদাসীন কার্যক্রম নিয়ে জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।