বগুড়ায় পুলিশের ওপর হামলার মামলায় ১৪ আসামি কারাগারে
Published: 17th, April 2025 GMT
বগুড়ায় পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে করা মামলায় গ্রেপ্তার ১৪ আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে বগুড়া সদর থানা-পুলিশ আদালতের মাধ্যমে তাঁদের কারাগারে পাঠায়। এর আগে বুধবার রাতে শহরের দত্তবাড়ি ব্রিজ ও চেলোপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
কারাগারে পাঠানো আসামিরা হলেন আল আমিন ব্যাপারী, রোহাস ইসলাম, তানজিল ইসলাম, তৌহিদ ইসলাম, মোস্তাক আলী, শাহিন, আবদুল মজিদ, সেলিম, তোতা, রনি, সবুজ ব্যাপারী, হামেদুল, পাইলট ও জুম্মান। তাঁরা সবাই বগুড়া শহরের উত্তর চেলোপাড়ার বাসিন্দা।
বগুড়া শহরের ফুলবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) জুবায়েদ হোসেন বলেন, গ্রেপ্তার ১৪ জনই ফুলবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির চার পুলিশ সদস্যের ওপর হামলা মামলার আসামি।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, একটি সড়ক দুর্ঘটনার খবর পেয়ে গত মঙ্গলবার রাতে ফুলবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির এসআই আবদুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশ সদস্য আহম্মেদ আলী, মিলন ও আনোয়ার কালীতলা এলাকায় যান। দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানোর সময় তাঁদের ওপর হামলা চালানো হয়। এ সময় দুর্ঘটনাকবলিত মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নিয়ে যায় হামলাকারীরা। এ ঘটনায় এসআই আবদুর রহমান বাদী হয়ে ৯০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। সেই মামলায় গ্রেপ্তার ১৪ আসামিকেই কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
নোয়াখালীতে পলাতক আওয়ামী লীগ নেতাকে আশ্রয় দেওয়ায় তাঁতী দলের নেতা বহিষ্কার
নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আলাউদ্দিনকে নিজ বাড়িতে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে জাতীয়তাবাদী তাঁতী দলের এক নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বহিষ্কৃত মোহাম্মদ সৈকত উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়ন তাঁতী দলের সভাপতি ছিলেন। আজ শুক্রবার বিকেলে জেলা তাঁতী দলের সদস্যসচিব মোরশেদ আলম প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে জেলা তাঁতী দলের আহ্বায়ক ইকবাল করিম সোহেল ও সদস্যসচিব মোরশেদ আলমের যৌথ স্বাক্ষরিত চিঠিতে বহিষ্কারের আদেশ দেওয়া হয়।
চিঠিতে বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে মোহাম্মদ সৈকতকে বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে ইউনিয়ন পর্যায়ে কমিটি মূল্যায়নে ব্যর্থ হওয়ায় হাতিয়া উপজেলা তাঁতী দলের দক্ষিণ কমিটিকে সতর্ক করা হয়েছে।
দলীয় সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার ভোরে হাতিয়া উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের জোড়খালী গ্রামে সৈকতের বাড়ি থেকে সন্দ্বীপ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলাউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে হাতিয়া থানা–পুলিশ। এ সময় তাঁর কাছ থেকে ১০টি ককটেল উদ্ধার করা হয়। আলাউদ্দিন ও মোহাম্মদ সৈকত সম্পর্কে ফুফা–ভাগনে।
এ বিষয়ে মোহাম্মদ সৈকত প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের বাড়িতে অনেকগুলো পরিবার থাকে। আমি ব্যবসার কাজে দিনের বেশির ভাগ সময় বাইরে থাকি। আলাউদ্দিন কখন বাড়িতে এসেছেন, তা আমার জানা নেই। আমাদের ঘর থেকে তাঁর শ্বশুরদের ঘর অনেক দূরে। উদ্দেশ্যমূলকভাবে আমাকে জড়ানো হয়েছে।’
নোয়াখালী জেলা তাঁতী দলের সদস্যসচিব মোরশেদ আলম বলেন, আওয়ামী লীগের পলাতক নেতাকে আত্মগোপনে থাকার সুযোগ করে দেওয়ায় মোহাম্মদ সৈকতকে বহিষ্কার করা হয়েছে। পাশাপাশি উপজেলার দক্ষিণাঞ্চলের তাঁতী দল কমিটিকেও সতর্ক করা হয়েছে।
আরও পড়ুনহাতিয়ায় শ্বশুরবাড়িতে পালিয়ে থাকা সন্দ্বীপ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গ্রেপ্তার৩১ জুলাই ২০২৫