ভারতের সংসদে পাস হওয়া বিতর্কিত ওয়াক্ফ বিল বাতিল এবং দেশটিতে মুসলিম নির্যাতন বন্ধের দাবিতে ২৩ এপ্রিল ঢাকায় অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস অভিমুখে গণমিছিল ও স্মারকলিপি দেবে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস। এই কর্মসূচি সফল করার আহ্বান জানিয়েছেন দলটির নায়েবে আমির মাওলানা মহিউদ্দিন রাব্বানী।

মহিউদ্দিন রাব্বানী বলেছেন, ‘প্রতিবেশী হিসেবে ভারতের নির্যাতিত মুসলমানদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের দায়িত্ব। তাই ২৩ এপ্রিলের গণমিছিল যেকোনো অবস্থাতেই সফল করতে হবে।’

আজ বৃহস্পতিবার সকালে সাভারের জাতীয় দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী সংস্থা জামে মসজিদে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ঢাকা জেলা (উত্তর) আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় মাওলানা মহিউদ্দিন রাব্বানী এ কথা বলেন।

মহিউদ্দিন রাব্বানী বলেন, ‘ভারতে বিজেপির নেতৃত্বে মুসলমানদের ওপর একের পর এক নিপীড়ন চলছে। হিটলারের কায়দায় সেখানে মুসলিম নিধনের ষড়যন্ত্র হচ্ছে। ওয়াক্ফ আইন সংশোধন করে মসজিদ, মাদ্রাসা ও কবরস্থানের মতো পবিত্র সম্পদ হরণ করা হচ্ছে। এর প্রতিবাদ করায় মুসলমানদের বিরুদ্ধে চরম দমন-পীড়ন শুরু হয়েছে। আমাদের দায়িত্ব ভারতের নির্যাতিত মুসলমানদের পাশে দাঁড়ানো। এটি আমাদের ইমানি, নৈতিক ও জাতীয় দায়িত্ব।’

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ঢাকা জেলা উত্তরের সভাপতি আনোয়ার হোসাইন কাসেমীর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন মাওলানা তোফাজ্জল হোসাইন মিয়াজী, মাওলানা ফজলুর রহমান, মুফতি মাহফুজ হায়দার, মুফতি ফারুক হোসাইন প্রমুখ।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

নোবিপ্রবির আওয়ামীপন্থি কর্মকর্তা স্থায়ী বহিষ্কার 

আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সহকারী পরিচালক জিয়াউর রহমান ভূঁইয়াকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অশ্লীল ও শিষ্টাচার বহির্ভূত মন্তব্য করায় স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

আরো পড়ুন:

জুলাই বিরোধিতা: ইবির ৩০ শিক্ষক-কর্মচারী ও ৩৩ ছাত্রলীগ নেতার ‘শাস্তি’

আ.লীগে যোগ দেওয়া মুবিনকে আইনজীবী ফোরাম থেকে বহিষ্কার 

সোমবার (৩ নভেম্বর) নোবিপ্রবির রেজিষ্টার (ভারপ্রাপ্ত) মো. তামজীদ হোসাইন চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক নোটিশে এ বিষয়ে জানানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের  রিজেন্ট বোর্ডের ৬৭তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।  

নোটিশে বলা হয়েছে, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সহকারী পরিচালক জিয়াউর রহমান ভূঁইয়া অননুমোদিতভাবে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় এবং যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতিত বিদেশে গমন করেন, যা সরকারি কর্মচারী (শৃংখলা ও আপিল ) বিধিমালা ২০১৮ এর ধারা ২(চ) অনুযায়ী ‘পলায়ন’ ।

এছাড়া একজন সরকারি চাকরিজীবী হয়েও রাজনৈতিক মতাদর্শ প্রকাশ করায় ‘নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ,২০০১’ এর ধারা ৪৭(৫) এর স্পষ্ট লঙ্ঘন। 

নোটিশে আরো বলা হয়েছে, গত ২৮ মে  আপনাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হলে সেটির জবাব যথাযথ হয়নি। পরবর্তীতে তদন্ত কমিটি আপনাকে পুনরায় ৭ জুলাই বিজ্ঞ আইনজীবীর মতামত এবং ৩১ জুলাই প্রেরিত নোটিশের জবাব না দেয়ায় গত ১৩ সেপ্টেম্বর নোবিপ্রবি রিজেন্ট বোর্ডের ৬৭ তম সভার আলোচ্যসূচি-১৮ এর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাকে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০০১ এর ৪৭(৮) ধারা অনুযায়ী এবং সরকারি কর্মচারী (শৃংখলা ও আপিল ) বিধিমালা ২০১৮ এর বিধি ৩ (খ) ও (গ) অনুযায়ী নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এর সহকারী পরিচালক (সামরিক বরখাস্ত) পদ থেকে চূড়ান্ত বা স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কোনো লেনদেন থাকলে সেটি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ও বিধি অনুযায়ী নিষ্পত্তি করা হবে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। 

নোয়াখালী-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ হিসেবে জিয়াউর রহমান ভূঁইয়া আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জড়িত। নিয়মিত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আওয়ামী রাজনীতির বিভিন্ন পোস্ট দিয়ে থাকেন এই কর্মকর্তা।

ঢাকা/শফিউল্লাহ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ