শ্রীপুরে পূর্ব বিরোধের জেরে আওয়ামী লীগ কর্মীকে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ
Published: 18th, April 2025 GMT
মাগুরা জেলার শ্রীপুর মাহফুজুর রহমান তুষার (৫০) নামে এক আওয়ামী লীগ কর্মীকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার শ্রীকোল ইউনিয়নের দায়েরপোল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহতের ভাই মোকলেছুর রহমান জানান, মাহফুজুর রহমান তুষার পেশায় কৃষক। গতকাল বিকেলে তিনি বাড়ি থেকে বের হয়ে স্থানীয় খামারপাড়া বাজারে যাচ্ছিলেন। বাজারের কাছে পৌঁছালে শ্রীপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আশরাফুল আলম জোয়াদ্দারের ভাতিজা রমিজ জোয়াদ্দারসহ কয়েক রাস্তায় একা পেয়ে তাকে কুপিয়ে জখম করে। গুরুতর অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে আজ রোববার সকালে তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়।
মোকলেছুর রহমান অভিযোগ করেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা জেরে প্রতিপক্ষ শ্রীপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আশরাফুল জোয়াদ্দারের ভাতিজা ও তার সমর্থকেরা মাহফুজুর রহমান তুষারকে কুপিয়ে জখম করেছে।
অভিযোগ অস্বীকার করে শ্রীপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আশরাফুল আলম জোয়াদ্দার বলেন, আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক বিরোধের কারণে তার ওপর হামলার হয়েছে। বিএনপির কেউ এ ঘটনায় জড়িত নয়।
শ্রীপুর থানার ওসি মোহাম্মদ ইদ্রিস আলী বলেন, হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। এলাকায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। জড়িতদের শনাক্ত করতে চেষ্টা করছে পুলিশ।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ক প য় জখম ব এনপ আওয় ম ল গ ব এনপ র র রহম ন উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
চাকরি খেয়ে ফেলব, কারারক্ষীকে কারাবন্দী আ’লীগ নেতা
‘চাকরি খেয়ে ফেলব, দেখে নেব তোমাকে, চেন আমি কে?’ কারবন্দী কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজু (৪৯) মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে ২ কারারক্ষীকে এভাবে হুমকি দেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, কুড়িগ্রাম জেলা কারাগারে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজুকে দেখতে যান তার কয়েকজন স্বজন। কারা নিয়মানুযায়ী সাক্ষাৎ কক্ষে বেঁধে দেওয়া সময়ে কথা শেষ করার কথা থাকলেও তিনি তার মানতে রাজি নন। তিনি দীর্ঘ সময় কথা বলতে চাইলে সাক্ষাৎ কক্ষে দায়িত্বরত মহিলা কারারক্ষী পপি রানী কারাবন্দী নেতার স্বজনদের সময়ের মধ্যে কথা শেষ করতে বলেন। এতে ক্ষিপ্ত হন আওয়ামী লীগ নেতা সাজু। তখন তিনি বলেন, ‘এই আপনি কে? ডিস্টার্ব করছেন কেন? চিনেন আমাকে? চাকরি খেয়ে ফেলব।’
এ সময় সাক্ষাৎ কক্ষে সাজুর স্বজনরাও পপি রানীর সঙ্গেও আক্রমণাত্মক আচরণ করেন। পপি রানীকে নিরাপদ করতে সুমন নামের আরেকজন কারারক্ষী এগিয়ে এলে তাকে লাথি দিয়ে বের করে দেওয়ার হুমকি দেন সাজু। উত্তেজনার একপর্যায়ে ঘটনাস্থলে দ্রুত উপস্থিত হন প্রধান কারারক্ষী আব্দুর রাজ্জাক। তিনি সাজুর স্বজনদের সাক্ষাৎ কক্ষ থেকে চলে যেতে বলেন। তারাও চলে যাওয়ার সময়ে কারারক্ষীদের গালিগালাজ করেন।
এ ব্যাপারে কারারক্ষী পপি রানী বলেন, ‘আমি ডিউটিরত অবস্থায় তিনি আমাকে প্রভাব দেখিয়ে চাকরি খাওয়ার হুমকি দেন ও গালিগালাজ করেন। আমি জেলার স্যারের কাছে বিচার প্রার্থনা করছি।’
প্রত্যক্ষদর্শী কারারক্ষী মো. সুমন বলেন, ‘আমরা তো ছোট পদে চাকরি করি, আমাদের নানান নির্যাতন সহ্য করতে হয়। আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া আর কিছু বলতে পারব না।’
প্রধান কারারক্ষী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘সাক্ষাৎ কক্ষের ভেতরে পুলিশ সদস্যকে গালিগালাজ করা হয়। পরে আমি গিয়ে পরিবেশ শান্ত করি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুড়িগ্রাম কারাগারের জেলার এ জি মো. মামুদ বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। বন্দীরা আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করলেও আমরা মানবিকতা প্রদর্শন করি। কেউ অতিরিক্ত কিছু করলে জেলের নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উল্লেখ্য, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজুকে গত ৩ ফেব্রুয়ারি বিকেলে রংপুর শহরের সড়ক ও জনপথ কার্যালয়ের কাছ থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। তার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও শিক্ষার্থী আশিক হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।