বাগেরহাটে বাসচাপায় অটোরিকশার এক যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো ৩ জন। শনিবার (১৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে জেলার মোরেলগঞ্জ উপজেলার বাগেরহাট-পিরোজপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের বালিয়াডাঙ্গা এলাকায় এ দুর্ঘট ঘটে।

নিহত যুবকের নাম সিয়াম (২১)। তিনি বাগেরহাট সদর উপজেলার রাড়ীপাড়া ইউনিয়নের তেলিগাতী গ্রামের বাসিন্দা মজিবর গাজীর ছেলে।

আহতরা হলেন- তার বাবা মজিবর গাজী (৪৭), প্রতিবেশী রশিদ খান (৭৫) এবং অটোরিকশাচালক বাপ্পি (৩০)। তারা সবাই পিরোজপুরে যাচ্ছিলেন।

আরো পড়ুন:

গাজীপুরে বাসের ধাক্কায় যুবকের মৃত্যু

চকরিয়ায় অটোরিকশায় বাসের ধাক্কা, নিহত ২

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পিরোজপুর থেকে আসা ‘সুস্মিতা’ পরিবহনের একটি বাস বিপরীত দিক থেকে আসা একটি অটোরিকশাকে চাপা দেয়। এতে অটোরিকশায় থাকা চার জন গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। কিন্তু, পথেই সিয়াম মারা যান।

মোরেলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.

রাকিবুল হাসান বলেন, “আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনার পরই বাস চালক পালিয়েছেন। তবে, বাসটি জব্দ করা হয়েছে।”

ঢাকা/শহিদুল/রাজীব

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক দ র ঘটন ন হত

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ