বাংলাদেশের নাট্যাঙ্গনের অন্যতম সংগঠন ‘অভিনয় শিল্পী সংঘ’র নির্বাচন ঘিরে জমজমাট  বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। আজ সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এখানে অনুষ্ঠিত হয় ভোটগ্রহণ। ২১ সদস্যবিশিষ্ট এই কমিটির ১৯টি পদে ভোট হয়েছে। প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন মোট ৩৮ জন প্রার্থী। ইতোমধ্যেই অর্থ সম্পাদক পদে নূর এ আলম নয়ন ও দপ্তর সম্পাদক পদে তানভীর মাসুদ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ৬৯৯। নির্বাচন শেষে চলছে ভোট গণনার কাজ। শিল্পীদের মধ্যে এক ধরনের উৎসাহ-উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে দিনজুড়ে। নির্বাচনে সভাপতি পদে লড়ছেন অভিনেতা আজাদ আবুল কালাম ও আবদুল্লাহ রানা। সহসভাপতি প্রার্থী ছয়জন। তারা হলেন আশরাফ টুলু, মো.

ইকবাল বাবু, এস এম আশরাফুল আলম, এহসানুর রহমান, আজিজুল হাকিম ও শামস সুমন।

সাধারণ সম্পাদক পদে লড়ছেন অভিনেতা শাহেদ শরীফ খান ও অভিনেতা রাশেদ মামুন অপু। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছেন পাঁচজন। তারা হলেন পাভেল ইসলাম, সুজাত শিমুল, শফিউল আলম বাবু, কবির টুটুল ও রাজিব সালেহীন। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছেন মাসুদ রানা মিঠু ও হিমে হাফিজ। অর্থ সম্পাদক ও দপ্তর সম্পাদক পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন নূর এ আলম নয়ন ও তানভীর মাসুদ। অনুষ্ঠান সম্পাদক পদে লড়ছেন এম এ সালাম সুমন, সান্ত্বনা সাদিকা ও শাহরিয়ার ফেরদৌস সজীব।

আইন ও কল্যাণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছেন সুবর্ণা মজুমদার ও সূচনা শিকদার। প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে মুকুল সিরাজ ও প্রিন্স রনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে প্রার্থী তিনজন। তারা হলেন আর এ রাহুল, নিলাভ আমান ও মাহাদি হাসান পিয়াল। কার্যনির্বাহী পরিষদের সাতটি সদস্য পদের জন্য প্রার্থী হয়েছেন ১১ জন।

অভিনয়শিল্পী সংঘের বর্তমান কমিটিতে সভাপতি হিসেবে আছেন আহসান হাবিব নাসিম ও সাধারণ সম্পাদক রওনক হাসান। তারা এবার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন না।

নির্বাচন প্রসঙ্গে সভাপতি প্রার্থী আজাদ আবুল কালাম বলেন, “শিল্পীদের পাশে দাঁড়াতে চাই বলেই নির্বাচন করছি। আশা করছি, আজ ভোটেও শিল্পীদেরকে আমার পাশে পাবো।” 

সভাপতি পদে অন্য প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আবদুল্লাহ রানাও জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, “শিল্পীর স্বার্থে বরাবরই আমি দ্বিধাহীনভাবে লড়াই করেছি। যদি আমার আন্তরিকতায় আপনাদের আস্থা থাকে, তাহলে আগামীতেও সবার কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াইটা চালিয়ে যেতে চাই। আশা করছি, ভোটাররা আমাকে ভোট দেবেন।” 

২১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির এই নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অভিনেতা খায়রুল আলম সবুজ। নির্বাচন কমিশনার হিসেবে সঙ্গে থাকছেন নরেশ ভূঁইয়া ও ফারুক আহমেদ। এ ছাড়া আপিল বোর্ডে রয়েছেন মামুনুর রশীদ, আবুল হায়াত ও দিলারা জামান।
 

ঢাকা/রাহাত

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হয় ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

লামিনে ‘মেসি’ ইয়ামাল

১৭ বছর বয়সী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো: ১৯ ম্যাচ, ৫ গোল, ৪ গোলে সহায়তা।

১৭ বছর বয়সী লিওনেল মেসি: ৯ ম্যাচ, ১ গোল, গোলে সহায়তা নেই।

১৭ বছর বয়সী লামিনে ইয়ামাল: ১০০ ম্যাচ, ২২ গোল, ৩৩ গোলে সহায়তা।

মেসি–রোনালদোর সঙ্গে তুলনা নয়, লামিনে ইয়ামালের শুরুটা বোঝাতে এই পরিসংখ্যান হাজির করেছে টিএনটি স্পোর্টস। ধূমকেতুর মতো শুরু হলেও ধূমকেতুর মতোই মিলিয়ে যাওয়ার পাত্র তিনি নন।

বার্সেলোনার এস্তাদি অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে  গত রাতের ম্যাচটি স্মরণ করতে পারেন। ৬ গোলের থ্রিলার, যেখানে বার্সেলোনা–ইন্টার মিলান সেমিফাইনাল প্রথম লেগের ‘ক্লাসিক’ লড়াই ৩–৩ গোলে অমীমাংসীত। দুই দলের হয়েই ‘সুপার হিরো’ ছিলেন বেশ কজন। ইন্টারের যেমন ডেনজেল ডামফ্রিস ও মার্কাস থুরাম, বার্সার তেমনি রাফিনিয়া, ফেরান তোরেসরা। কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে ঠিকই রবির কিরণের মতো আলো দিয়েছেন এক কিশোর—লামিনে ইয়ামাল নাসরাউয়ি এবানা। সংক্ষেপে লামিনে ইয়ামাল।

আরও পড়ুন৬ গোলের থ্রিলারে বার্সেলোনা–ইন্টার সেয়ানে সেয়ানে টক্কর৮ ঘণ্টা আগে

২৪ মিনিটে ইয়ামালের করা গোলটির প্রসঙ্গে পরে আসা যাবে। যেভাবে খেলেছেন তাতে গোলটি না করলেও লোকে কাল রাতে তাঁর পারফরম্যান্স মনে রাখতেন। পরিসংখ্যান বলছে ১০২টি টাচ, একটি গোল, ২টি গোল হওয়ার মতো পাস, ৬টি শট (পোস্টে মেরেছেন দুবার) এবং ১০টির মধ্যে ৬টি সফল ড্রিবলিং।

কিন্তু পরিসংখ্যানে এ তথ্য নেই—মাঠে ডান প্রান্তকে ইয়ামাল ফাইনালে ওঠার হাইওয়ে বানিয়ে যতবার কাট–ইন করে ইন্টারের বক্সে ঢুকেছেন, সেটা আসলে ইতালিয়ান ক্লাবটির রক্ষণের জন্য দুঃস্বপ্নের। প্রতিবারই মৌমাছির মতো ছেঁকে ধরা হয়েছে ইয়ামালকে। কিন্তু আটকানো কি সম্ভব হয়েছে? রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওগুলো ভাসছে। সেসব আসলে ইয়ামালের পায়ের কারুকাজে ইন্টারের রক্ষণকে স্রেফ খোলামকুচির মতো উড়িয়ে দেওয়ার ভিডিও।

ইয়ামাল কত ভয়ংকর সেটা এই এক ছবিতেই পরিস্কার। সবাই ছেঁকে ধরেও তাঁকে আটকাতে পারেননি

সম্পর্কিত নিবন্ধ