শিল্পীদের ভোটযুদ্ধ শেষে চলছে গণনা
Published: 19th, April 2025 GMT
বাংলাদেশের নাট্যাঙ্গনের অন্যতম সংগঠন ‘অভিনয় শিল্পী সংঘ’র নির্বাচন ঘিরে জমজমাট বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। আজ সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এখানে অনুষ্ঠিত হয় ভোটগ্রহণ। ২১ সদস্যবিশিষ্ট এই কমিটির ১৯টি পদে ভোট হয়েছে। প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন মোট ৩৮ জন প্রার্থী। ইতোমধ্যেই অর্থ সম্পাদক পদে নূর এ আলম নয়ন ও দপ্তর সম্পাদক পদে তানভীর মাসুদ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ৬৯৯। নির্বাচন শেষে চলছে ভোট গণনার কাজ। শিল্পীদের মধ্যে এক ধরনের উৎসাহ-উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে দিনজুড়ে। নির্বাচনে সভাপতি পদে লড়ছেন অভিনেতা আজাদ আবুল কালাম ও আবদুল্লাহ রানা। সহসভাপতি প্রার্থী ছয়জন। তারা হলেন আশরাফ টুলু, মো.
সাধারণ সম্পাদক পদে লড়ছেন অভিনেতা শাহেদ শরীফ খান ও অভিনেতা রাশেদ মামুন অপু। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছেন পাঁচজন। তারা হলেন পাভেল ইসলাম, সুজাত শিমুল, শফিউল আলম বাবু, কবির টুটুল ও রাজিব সালেহীন। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছেন মাসুদ রানা মিঠু ও হিমে হাফিজ। অর্থ সম্পাদক ও দপ্তর সম্পাদক পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন নূর এ আলম নয়ন ও তানভীর মাসুদ। অনুষ্ঠান সম্পাদক পদে লড়ছেন এম এ সালাম সুমন, সান্ত্বনা সাদিকা ও শাহরিয়ার ফেরদৌস সজীব।
আইন ও কল্যাণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছেন সুবর্ণা মজুমদার ও সূচনা শিকদার। প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে মুকুল সিরাজ ও প্রিন্স রনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে প্রার্থী তিনজন। তারা হলেন আর এ রাহুল, নিলাভ আমান ও মাহাদি হাসান পিয়াল। কার্যনির্বাহী পরিষদের সাতটি সদস্য পদের জন্য প্রার্থী হয়েছেন ১১ জন।
অভিনয়শিল্পী সংঘের বর্তমান কমিটিতে সভাপতি হিসেবে আছেন আহসান হাবিব নাসিম ও সাধারণ সম্পাদক রওনক হাসান। তারা এবার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন না।
নির্বাচন প্রসঙ্গে সভাপতি প্রার্থী আজাদ আবুল কালাম বলেন, “শিল্পীদের পাশে দাঁড়াতে চাই বলেই নির্বাচন করছি। আশা করছি, আজ ভোটেও শিল্পীদেরকে আমার পাশে পাবো।”
সভাপতি পদে অন্য প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আবদুল্লাহ রানাও জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, “শিল্পীর স্বার্থে বরাবরই আমি দ্বিধাহীনভাবে লড়াই করেছি। যদি আমার আন্তরিকতায় আপনাদের আস্থা থাকে, তাহলে আগামীতেও সবার কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াইটা চালিয়ে যেতে চাই। আশা করছি, ভোটাররা আমাকে ভোট দেবেন।”
২১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির এই নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অভিনেতা খায়রুল আলম সবুজ। নির্বাচন কমিশনার হিসেবে সঙ্গে থাকছেন নরেশ ভূঁইয়া ও ফারুক আহমেদ। এ ছাড়া আপিল বোর্ডে রয়েছেন মামুনুর রশীদ, আবুল হায়াত ও দিলারা জামান।
ঢাকা/রাহাত
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
জকসুসহ তিন দফা দাবি মেনে নিল প্রশাসন, ৩২ ঘণ্টা পর অনশন ভাঙলেন শিক্ষার্থীরা
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা ও সম্পূরক বৃত্তিসহ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি মেনে নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসনের আশ্বাসে ৩২ ঘণ্টা পর অনশন ভেঙে কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
বুধবার রাত দশটার দিকে প্রশাসনের পক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক দাবি মেনে নেওয়ার ঘোষণা দিলে আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় অনশনরত শিক্ষার্থীদের ফলের রস খাইয়ে অনশন ভাঙানো হয়। শিক্ষার্থীদের অনশন ভঙ্গ করান করান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক ও সিন্ডিকেট সদস্য বিলাল হোসাইন।
এর আগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক শেখ গিয়াসউদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগামী ২৭ নভেম্বর জকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেই মোতাবেক নির্বাচনের রূপরেখাও ঘোষণা করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আগামী জানুয়ারি থেকে আবাসন ভাতা পাবেন শিক্ষার্থীরা। সেই সঙ্গে বৃত্তির জন্য উপযুক্ত শিক্ষার্থীদের নভেম্বরের মধ্যে যাচাই-বাছাই করার কাজ শেষ করা হবে।
অনশনকারী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে প্রক্টর মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী ২৭ নভেম্বরের আগেই কেন্দ্রীয় পাঠাগারে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণযন্ত্র স্থাপন করা হবে। ক্যাফেটেরিয়ার খাবারের মানোন্নয়নে প্রশাসন কাজ করবে।
আরও পড়ুনতিন দাবিতে ২৪ ঘণ্টা ধরে ৪ শিক্ষার্থীর অনশন, দুজন অসুস্থ১২ ঘণ্টা আগেএ সময় অনশনে বসা উদ্ভিদ বিজ্ঞানের বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এ কে এম রাকিব বলেন, আমাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন। জকসুর রোডম্যাপ ঘোষণা করা হয়েছে। আবাসন ভাতার জন্য প্রতিশ্রুত সময়ও দিয়েছে প্রশাসন। কেন্দ্রীয় পাঠাগারে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণযন্ত্র স্থাপনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এ কারণে আমরা অনশন ভেঙে আন্দোলন প্রত্যাহার করেছি।
সতর্ক করে দিয়ে এ কে এম রাকিব আরও বলেন, যদি প্রশাসন ঘোষিত সময়ের মধ্যে আমাদের দাবিগুলো পূরণ করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে সমস্ত দায় মাথায় নিয়ে সম্পূর্ণ প্রশাসনকে পদত্যাগ করতে হবে।
এর আগে তিন দফা দাবি আদায়ে গত মঙ্গলবার বেলা দুইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাশহীদ রফিক ভবনের নিচে অনশন শুরু করেন চারজন শিক্ষার্থী। সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) পক্ষ থেকে অনশন কর্মসূচি শুরুর কথা জানানো হয়। অনশনে বসা চার শিক্ষার্থীর মধ্যে তিনজন বাগছাসের নেতা।
আরও পড়ুনজকসু নির্বাচনের রূপরেখা ঘোষণা, ভোট ২৭ নভেম্বর২ ঘণ্টা আগে