খুলনায় ঝটিকা মিছিল করেছে আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা। রবিবার (২০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে জিরো পয়েন্ট এলাকায় ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, খুলনা জেলা শাখার’ ব্যানারে মিছিল করে। তবে মিছিলে দলের নগর, জেলা বা ডুমুরিয়া উপজেলা শাখার পদ-পদবীধারী কাউকে দেখা যায়নি।

গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর খুলনায় এটাই আওয়ামী লীগের প্রথম কোনো কর্মসূচি পালিত হলো। মিছিলের ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

ওই ভিডিও এবং ছবি থেকে দেখা যায়, একদল লোক ব্যানার নিয়ে জিরো পয়েন্ট এলাকায় বিক্ষোভ করছেন। ব্যানারে শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনার ছবি আছে। এ সময় ‘শেখ হাসিনা ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই’, ‘শেখ হাসিনার সরকার, বারবার দরকার’, ‘শেখ হাসিনা ফিরবে আবার বীরের বেশে’ প্রভৃতি স্লোগান দেওয়া হয়।

আরো পড়ুন:

আ.

লীগের ঝটিকা মিছিলে নেতৃত্ব দেওয়া মুরাদ রিমান্ডে

গাইবান্ধার সাবেক এমপি সারোয়ার কবির কারাগারে 

এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের কেউ কথা বলতে রাজি হননি। তবে ডুমুরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, ‘‘আমাদের নির্দেশনা ছিল মিছিলে পরিচিত কোনো মুখ থাকবে না। এ কারণে উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের অপরিচিত নেতা–কর্মীদের দিয়ে মিছিল করানো হয়েছে।’’ 

এ বিষয়ে  খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) হরিণটানা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খাইরুল বাশার বলেন, হঠাৎ গাড়ি থেকে নেমে ঝটিকা মিছিল করে পালিয়ে গেছে আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা। সকালের দিকে হওয়ায় সেই সময় রাস্তাঘাট অনেকটা ফাঁকা ছিল। পুলিশ মিছিলকারীদের আটক করতে তৎপর আছে।

গণহত্যা ও গুম, খুনসহ বিভিন্ন অভিযোগে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন এ দলটি প্রকাশ্যে মিছিল করা এবং পুলিশের নীরব ভূমিকার প্রতিবাদে প্রেস ব্রিফিংয়ের আয়োজন করেছে জাতীয় নাগরিক কমিটি- এনসিপি। আজ রবিবার (২০ এপ্রিল) বিকেলে খুলনা প্রেসক্লাবে এ প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দলের খুলনার সংগঠক আহাম্মদ হামিম রাহাত।
 

ঢাকা/নুরুজ্জামান/বকুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আওয় ম ল গ ম ছ ল কর

এছাড়াও পড়ুন:

মাগুরায় শিশু ধর্ষণ-হত্যা মামলায় সাক্ষ্য ৩ চিকিৎসকের

মাগুরায় আট বছরের শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় চতুর্থ দিনের মতো সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল বুধবার জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালতে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।

এ দিন শিশুকে চিকিৎসা প্রদানকারী তিন চিকিৎসক সাক্ষ্য দেন। তারা হলেন– মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালের ডা. সোহাস হালদার, নাকিবা সুলতানা এবং ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের  ডা. ইসরাত জাহান। তারা সবাই শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়েছিল মর্মে সাক্ষ্য প্রদান করেন।  

এর আগে সকালে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে মামলার ৪ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। বাদীপক্ষের আইনজীবী ও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি মনিরুল ইসলাম মুকুল জানান, বিগত চার কার্যদিবস একটানা সাক্ষ্য গ্রহণ চলেছে। এ নিয়ে মোট ১৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। মামলায় মোট ৩৭ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হবে। আগামী রোববার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাদে অন্য সব সাক্ষী সাক্ষ্য দেবেন। বুধবার আসামিপক্ষের আইনজীবী স্বাধীনভাবে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন। তিনি আদালতে আসামিরা নির্দোষ বলে যুক্তি উপস্থাপন করেন। আসামিরাও নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছেন। 

বেড়াতে এসে ৬ মার্চ রাতে মাগুরা সদরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের শ্বশুর হিটু শেখের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয় ৮ বছরের শিশুটি। এই ধর্ষণের ঘটনা দেশজুড়ে ক্ষোভের সৃষ্টি করে। মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ঘুরে ঢাকা সিএমএইচে তাকে ভর্তি করা হয়েছিল। ১৩ মার্চ শিশুটি সেখানে মারা যায়। এ ঘটনায় শিশুটির মা আয়েশা আক্তার বড় মেয়ের শ্বশুর হিটু শেখসহ চারজনকে আসামি করে মাগুরা সদর থানায় মামলা করেন। রিমান্ডে হিটু শেখ ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ